ধামরাইয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি) : ঢাকা জেলার ধামরাই পৌরসভায় রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মানাধীন অবস্থায় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধির তোপের মুখে পড়ে ঠিকাদারের লোকজন।
পরে জেলা পরিষদের প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে নিম্নমানের উপকরণ বাতিল করা হয়। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলাপৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলা পরিষদের অর্থায়নে ধামরাই পৌরসভার থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে নতুন দক্ষিণপাড়ার পর্যন্ত একশত ৩৮ মিটার রাস্তা আরসিসি (রড, সিমেন্ট, কংক্রিট) ঢালাইয়ের কাজ পায় মেসার্স আবদুল বাসেদ জিহাদী নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এই রাস্তাটি নির্মানে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা।গতকাল রবিবার রাস্তার ঢালাই শুরু হওয়ার সময় এলাকাবাসী রাস্তা নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী, খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ ঘটনাস্থলে আসেন।
এ সময় স্থানীয় জনতা ও জনপ্রতিনিধির রোষানলে ঠিকাদারের ছেলে ও তার লোকজন পালানোর চেষ্টা করে। কাউন্সিলর শহিদুল্লাহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন।এ ছাড়া যে রড দেওয়া হয়েছে তাও সিডিউলের চেয়ে প্রায় ৫-৬ ইঞ্চি ফাঁক ফাঁক রড বিছানো হয়েছে। এ রাস্তার কাজে এতো নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে তা তিনি জীবনেও দেখেননি বলে মন্তব্য করেন।
জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, সরেজমিনে এসে দেখলাম ঢালাইয়ে নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের তাছাড়া রডের ব্যবহার সঠিকভাবে করা হয়নি এছাড়া নিয়ম হচ্ছে রাস্তা ঢালাইয়ের আগের দিন কর্তৃপক্ষকে জানানো, কিন্তু এ কাজে আমাদের কোনো প্রকৌশলীকে জানাননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। আমরা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী বাতিল করেছি। রাস্তায় ঢালাইয়ের কাজ করতে হলে আমাদের আগের দিন জানিয়ে থাকেন ঠিকাদার। কিন্তু এ কাজে আমাদের কোনো প্রকৌশলীকে জানাননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
এতে বোঝা যায় ঠিকাদারের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। তিনি বলেন, যেসব উপকরণ আনা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে।নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কথা স্বীকার করে ঠিকাদার আবদুল বাসেদ জিহাদী বলেন, আমি সব মালামাল সড়িয়ে নিচ্ছি।