ধামরাইয়ে অপহরণের ১৪ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার-অপহরণকারী আটক।
মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি) : ঢাকার ধামরাইয়ে সূয়াপুর নান্নার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোসা: ইমু আক্তারকে(১৪) অপহরণ ১৪ দিন পর উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। সেই সাথে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীর মুল হোতা মোঃ রাজিব(১৯)আটক করা হয়েছে।
অপহরণকারী রাজিব ইমু আক্তারকে বিভিন্ন জায়গায় রেখে তাকে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগির মা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১২।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিনগত রাতে প্রধান অপহরণকারী মোঃ রাজীবকে আটক করেছে এবং আজ (৯আক্টোবর) সকালে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রাজীব সূয়াপুর নান্নার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোসা: ইমু আক্তারকে স্কুল থেকে যাওয়া আসার পথে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে থাকে এবং বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাজীব তার সহযোগীদের নিয়ে ইমু আক্তার প্রাইভেট পড়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে ধামরাই থানাধীন শিয়ালকুল ব্রিজের উত্তর পাশের রাস্তায় পৌছালে মোটরসাইকেল ও সিএনজি যোগে অপহরণ করে। পরে ইমু আক্তার প্রাইভেট পড়ে সঠিক সময়ে বাড়িতে না আসায় তাকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করতে থাকি। খোজাখুজির এক পর্যায়ে জানতে পারি, প্রাইভেট পড়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে ধামরাই থানাধীন শিয়ালকুল ব্রিজের উত্তর পাশের রাস্তায় পৌঁছালে রাজীব ও তার তিনসহযোগী দুদু মিয়া, (৪৫)ও মোঃ আলী ২৪), আব্দুল খালেক(২২) মিলে তাকে অপহরণ করে ।
এ ব্যাপারে মেয়ের মা মোসা: সাজেদা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ইমু আক্তারকে রাজিব নামে একটি ছেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু আমার মেয়ে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। পরে আমার মেয়ে উক্ত ঘটনা আমাকে জানায়, এবং প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৫-০৯-১৯ সকালে খেয়ে সোয়াপুর নান্নার উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। পরে ইমু আক্তার স্কুলের ক্লাস শেষ করে প্রাইভেট পড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে ধামরাই থানাধীন শিয়ালকুল ব্রিজের উত্তর পাশের রাস্তায় পৌঁছালে রাজীব ও তার তিনসহযোগী দুদু মিয়া, (৪৫)ও মোঃ আলী ২৪), আব্দুল খালেক(২২) মিলে তাকে অপহরণ করে । পরে ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা করি।
এবিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) মোঃ আবুল খায়ের মিয়া বলেন, মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় রাজীব ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন। পরে আমরা অপহরণকারী রাজিব ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করতে থাকি। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রাজীব তার বাড়িতে অবস্থান করছে। তখন অভিযান চালিয়ে রাজীবকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করি। আজ সকালে আসামী রাজীবকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।