ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর থেকে বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের মধ্যে মহিশাষী বাসস্ট্যান্ডটি ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্ট্যান্ড।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বালিয়া ও সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড যাইতে এর মাঝখানে হল মহিশাষী বাজার বাসস্ট্যান্ড এই আঞ্চলিক সড়কের মধ্যে মহিশাষী বাসস্ট্যান্ডটি অত্যন্ত গুরুত্ব পুর্ণ একটি স্ট্যান্ড। কারণ মহিশাষী বাজারে উত্তর আঞ্চলের সকল লোকজন এখানে এসে বাসে উঠে ঢাকায় যাতায়াত করে। সেই জন্য এই স্ট্যান্ডে সর্বক্ষণ লোকজনের আনা গুনাই বরপুর থাকে। আর এই স্ট্যান্ডের ব্রিজের উপর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বসিয়েছে ইজিবাইক স্ট্যান্ড।
ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এতে বিভিন্ন সময় এই বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনাসহ জ্যামে পড়ে বসে থাকতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
ব্যস্ত এই বাসস্ট্যান্ডে শত শত যানবাহনে হাজার হাজার যাত্রী উঠানামা করে প্রতিনিয়ত। তবে ব্রিজের উপর ইজিবাইকের স্ট্যান্ডে ফলে যানজটের পড়ে বসে থাকতে হচ্ছে ঢাকাগামী যাত্রীদের ।
ইজিবাইকের স্ট্যান্ডের ফলে রাস্তা পারাপার হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।কারণ ইজিবাইকের কারণে যাত্রীবাহী গাড়ী অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। ফলে সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় হুমকির মুখে। তাই এলাকাবাসির দাবি ব্রিজের উপর থেকে অতি তাড়াতারি ইজিবাইক স্ট্যান্ড তুলে দেওয়া।
এই ব্যাপারে মহিশাষী বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, আমরা প্রতিবাদ করে কোন ফল পায় নাই। উল্টো আমাদের বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হয়। কারণ প্রভাব শালীদের ছত্রছাওয়াই গড়ে উঠা ব্রিজের উপর ইজিবাইক স্ট্যান্ড ।
তিনি আর বলেন আমাদের এই রাস্তা দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীরা দেখে ও না দেখার ভান করে চলে। কারণ তাদের গাড়ী যখন আসে তখন সব গাড়ী সাইড করে দেয়।
এই ব্যাপারে ইজিবাইক চালক মোঃ আবুল হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ ইজিবাইক চালিয়ে কোন রকম সংসার চালায়। কারণ আমরা মহিশাষী বাজারে কোন ইজিবাইক স্ট্যান্ড না পাওয়ার কারণে ব্রিজের উপর গাড়ী রেখে চালাইতেছি। আমরা মহিশাষী বাজার থেকে বাথুলি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চালাই।আমাদের একটি স্ট্যান্ড হলে ব্রিজ থেকে চলে যাব।
এই ব্যাপারে সওজ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আতিকুল্লা ভুইয়া জানান,বিষয়টি সর্ম্পকে আমি অবগত নয়। তবে শিঘ্রই ব্রিজের উপর থেকে ইজিবাইক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হবে।