ধামরাইয়ে পুস্তক সমিতির নির্বাচনী প্রার্থীর ফরম যাচাই-বাছাই কমিটির ব্যাপক অনিয়ম।
মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি) : ঢাকার ধামরাইয়ে পুস্তক সমিতির প্রার্থীদের ফরম যাচাই-বাছাই কমিটির ব্যাপক অনিয়ম ধরা পরেছে বলে জানা যায়।আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ধামরাইয়ের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টে নির্বাচনী ফরম যাচাই-বাছাই করা হয়।
ধামরাইয়ের পুস্তক বিক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, নির্বাচনী ফরম যাচাই-বাছাই করার সময় নির্বাচন কমিশন তাঁদের পছন্দের প্যানেলের সদস্যদের ফরম ঠিক রেখে বাকি সদস্যদের ফরম বিভিন্ন কারন দেখিয়ে বাতিল করে দেয়। ফলে বাতিল হওয়া ফরমগুলো নিয়ে অন্যান্য সদস্যরা ব্যাপক হট্রগোল করে।
তাঁদের দাবি নির্বচন কমিশন কীভাবে শুধু তাঁদের পছন্দের সদস্যদের ফরম রেখে বাকি ফরম বাতিল করে দেয়।তাই সকল সদস্য এর বিরুদ্ধে খোব প্রকাশ করে।এ নিয়ে শরীফবাগ বাজারের সততা লাইব্রেরির মালিক বলেন, ঢাকা জেলা পুস্তক সমিতির চিঠি প্রতিটি লাইব্রেরির মালিকদের কাছে পৌছানোর কথা। কিন্তু তারা তা করেন নি।
শুধু মাত্র তাদের পছন্দের সদস্যদের কাছে এ চিঠি দিয়েছেন। আমরা কোন চিঠি পাই নি। কুশুরা বাজারে অবস্তিত পপুলার লাইব্রেরির মালিক গোলাম মোস্তফা তিনিও পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সদস্য। তিনি বলেন, ফরম যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ব্যাপক অনিয়ম করেছে।
কারন,বারবারিয়া বাজারের মা লাইব্রেরির মালিক রিপন হোসেন তিনিও পুস্তক সমিতির নির্বাচনের একজন প্রার্থী। অথচ তিনি কিভাবে ফরম বিক্রি করেন এবং ফরম যাচাই-বাছাই কমিটিতে থাকেন।অপর দিকে দেখা যায়, ধামরাই লাইব্রেরির মালিক সবুজ হোসেন সহ অন্যান্য সদস্য যাদের ফরম কোন কারন ছাড়াই বাতিল করে দেন।
কেন বা কি কারনে তাদের ফরম বাতিল করা হলো তার কোন কারন দেখানো হয় নি। বাস্তবে দেখা যায়, ৬ জন সদস্যের ফরম বাতিল করা হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে সভাপতি পদে মো. আলী আজম, সাধারন সম্পাদক পদে সবুজ হোসেন ও বাবুল হোসেন, যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক পদে রাকিব মাহমুদ রতন,কোষাধ্যক্ষ পদে শামসুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান, সদস্য পদপ্রার্থী কহিনুর রহমানের ফরম বাতিল করা হয়েছে।
তাদের দাবি জেলা পুস্তক সমিতির নিয়োজিত ৩ জন নির্বাচন কমিশনার আক্তার পারভেজ মুন্না, আব্দুল হামিদ নাইম ও শাহ আলম এই অনিয়মের সাথে জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, এই পুস্তক সমিতির ঢাকা জেলা সমিতির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ নাইম সকল অনিয়মের সাথে জড়িত। সে তার নিজের পছন্দের মতো সদস্যদের ফরম ঠিক রেখে বাকি সদস্যদের ফরম বাতিল করে দেন।
কারন জানতে চাইলে তারা কোন প্রকার উত্তর না দিয়ে চলে যান।জানা যায়, বাতিল হওয়া ফরমের সদস্যরা তাঁদের বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল হক বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দিবেন যাতে স্বচ্ছতার সহিত নির্বাচন হয় এবং পুনরায় নতুন করে তফশিল ঘোষণা করা হয়।
সকল সদস্য ও সুশীল সমাজের লোকজনের দাবি, পুস্তক সমিতির নির্বাচন কিভাবে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া হয়। এই নর্বাচন নিয়ে যদি কোন ধরনের বি- শৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তার দায়ভার কে নিবে।তাই আইন প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও সকল সদস্য তাদের দাবি জানান।