ধামরাইয়ে শিশু মনিরকে হত্যার প্রতিবাদে অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসির বিক্ষোভ।

Loading

ঢাকার ধামরাইয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ সোনামিয়ার ছোট ছেলে মনিরের হত্যার ঘটনায় তার পরিবার আজ এলোমেলো হয়ে গেছে। শিশু সন্তান মনিরকে হারিয়ে তাদের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম । ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মা। এই সময় অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসির বিক্ষোভ। পরে বিক্ষোদ্ধ জনতা আসামী রাব্বির বাড়ী ভাঙচুর করলে পুলিশ গিয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করে।

আজ বুধবার (৩০জানুয়ারী) বেলা ১২ ঘটিকার সময় ধামরাই মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বিক্ষোদ্ধ জনতা শিশু মনির হত্যার অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করে।

গত শনিবার বিকাল বেলা খেলা করার সময় কৌশলে অপহরণ কারীর মুলহোতা মাজেদুল ইসলাম শিশু মনিরকে বিস্কুট এর কথা বলে ডেকে নিয়ে তার মুখে কষ্টটিব দিয়ে ঘরের ভিতর আটকে রেখে দশ লক্ষ টাকার দাবি করে সোনামিয়ার ফোনে কল দেয়। কিন্তু সোনামিয়া ওরফে কালা টাকা দিতে না পেরে ঘটনাটি ধামরাই থানা পুলিশকে জানান এবং একটি জিডি করেণ। এ দিকে অপহরণ কারীরা টাকা না পেয়ে শিশু মনিরকে হত্যা করে। পরে শিশু মনিরের লাশটি মাজেদুল, মানছুর ও রাব্বি মিলে রাব্বির বাড়ী ঘোয়াল ঘরের পিছনে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দিয়ে দেয়।

এর পর পুলিশ তাদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে মোবাইল ফোন নাম্বারটি টেকিং করে সোমবার দিনগত রাতে কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের মোঃ মানছুরকে গ্রেফতার করে। পরে মানছুরের তথ্য অনুযায়ী মাজেদুলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলে দেয় শিশু মনিরকে তারা তিনজনে মিলে রাব্বির বাড়ীর ঘোয়ার ঘরের পিছনে মাটি চাপা দিয়েছে। তখন পুলিশ মঙ্গলবার সকালে মানছুর ও মাজেদুলকে সাথে নিয়ে ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ রাব্বির বাড়ীতে থেকে ৫বছরের শিশু মনিরের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত শিশু মনির হোসেনের বাড়ী ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ সোনামিয়া (কালা) ছেলে। আটককৃত মাজেদুলের (২৫) বাড়ী ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে।, কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ মানছুর আলী।এই সময় রাব্বি হোসেন পলাতক ছিল। কিন্তু আজবেলা ২ঘটিকার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এই ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার সংবাদিকদেরকে জানান, আজ বেলা ১২ ঘটিকার সময় বিক্ষোদ্ধ জনতা শিশু মনিরের হত্যা কারীদের ফাঁসির দাবিতে ধামরাই-মির্জাপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং আসামী রাব্বির বাড়ী ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে আসামীদের সর্বচ্চো শান্তির আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়।