ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া গ্রামে সরকারী রাস্তা দখল করে একাধিক বাড়ী নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কিছুদিন আগে বিষয়টি নিয়ে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে এলাকার সাধারণ জনগন মৌখিক অভিযোগ করা হয়। কিন্তু জবর দখল কারীরা বিত্তবান ও পেশীশক্তির প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি দীর্ঘদিন আটকে রাখে। ফলে রাস্তা দিয়ে গাড়ী ও সাধারণ জনগনের চলাচলের বেঘাত ঘটে। এছাড়া ধামরাই কুল্লাইউনিয়ন ভুমি অফিসের লোকজন জরিপ চালিয়ে সরকারী রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করলেও এখন পর্যন্ত কোন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি বলে এলাকাবাসির দাবি।
রাস্তাটি পাশ ছিল ৪০ফুট কিন্তু বর্তমানে আছে মাত্র ১০ ফুটের কম।
অনুসন্ধানের তথ্যে জানাযায়, ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া গ্রামের কেলিয়া মৌজার আর এস ১১৩২দাগের সরকারী রাস্তার পুর্ব পাশের প্রায় অংশ জবর দখল করে মোঃ আতাউর রহমান,মোঃ জিয়ারউদ্দিন, মোঃ মজিবর রহমান,মোঃ আওলাদ হোসেন, উভয় পিতা মৃত কিয়ামুদ্দিন এরা জবর দখল করে পাকা ভবন তৈরি করিয়া বসবাস করিতেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ব্যাপারে কেলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, সরকারী রাস্তার উপর বাড়ী নির্মাণের ফলে আমাদের রাইচ মিলে গাড়ী যাওয়া আসা করতে অসুবিধা হয়। যার কারণে আমাদের প্রায় ১০ কিলো জায়গা ঘুরে গাড়ী নিয়ে রাইছমিলে ডুকতে যাতায়াত খরচ বেশি হয়ে যায়। এর জন্য ব্যবসায় দিন দিন ক্ষতির পরিমাণবাড়ছে। তাই আমাদের দাবি অতি তাড়া তাড়ি সরকারী রাস্তা বের করে দিতে হবে।
এই ব্যাপারে বাড়ীর মালিকের মোঃ আতাউর রহমান গং জানান, আমারা সরকারী রাস্তার মধ্যে ঘর নির্মাণ করেছি এটা সত্য। তবে আমরা একা করি নাই আরও অনেক আছে তারা সরকারী রাস্তার উপর ঘর করেছে, তাদের যে দশা হবে আমাদের ও তাই হবে।
এই ব্যাপারে বাড়ীর মালিক মোঃ রজ্জব আলী বলেন, আগে এই জায়গাটা খালছিল পরে আমরা মাটি দিয়ে ভরে বাড়ী করেছি ।
এই ব্যাপারে কেলিয়া গ্রামের মেম্বার মোঃ মালেক মিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে মটুফোনে বার বার কল করে তাকে পাওয়া যাইনি।তবে এলাকার লোকজনের দাবি এই ঘটনায় মেম্বার সব জানে কিন্তু সে কিছু করতেছে না।
এই ব্যাপারে কুল্লা ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কালিপদ সরকার জানান,যে বিষয়টি জরিপ করে রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু জবর দখল কারীরা তা অমান্য করে নির্ধারিত সীমানার খুটি উপরে ফেলে বাড়ী নির্মাণ অব্যহত রাখে,তবে পরে বিষয়টি আমাকে কেলিয়া গ্রামের লোকজন আর জানায়নি।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম জানান, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে ঐ এলাকার লোকজন আসলে আমি তাদের একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলি।