ধামরাইয়ে স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ এর মামলায় প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার গ্রেপ্তার
মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই ঢাকাঃ-ঢাকার ধামরাইয়ে যাদবপুর স্কুল এন্ড কলেজের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার (৪৪) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে স্কুল কলেজের টাকা তছরুপের ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
মামলার পরই সকালেই আলী হায়দারকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ ।এর আগে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ধানতাড়া বাজারে এলাকাবাসী স্কুল কলেজের টাকা তছরুপের ঘটনায় আলী হায়দারকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।আসামিরা হলেন, যাদবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার (৪৪) ও যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতারা গ্রামের সুরজত আলীর ছেলে লিটন মিয়া (৪৫)। আলী হায়দার ভোলা জেলার ভিদুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে। সে বর্তমানে ধানতারা বাজারে আলালের বাড়ির ভাড়াটিয়া।মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা মামলার ২নং আমসামি লিটন মিয়ার সহায়তায় প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২০২২ সালের ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ফি বাবদ ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮ শত ৬০ টাকা আদায় করেন। আলী হায়দার ৫ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার রিসিভ দেখান। কিন্তু মামলার বিবাধী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার কেন্দ্র সচিব ও অন্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২ লক্ষ টাকা জমা করেছেন। বাকি টাকা তিনি তসরুপ করেন। স্কুল হইতে বার বার বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বললে তিনি দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
প্রতিষ্ঠানের টাকা না দিয়ে তসরুপ করার চেষ্টা করেন তিনি। নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অপরাধে প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে কয়েক মাস আগে অব্যাহতি দেন প্রতিষ্ঠান থেকে।এছাড়াও স্কুল কলেজে চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানতারা বাজারে পাওনাদাররা আলী হায়দারকে গণধোলাই দেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, প্রতিষ্ঠানের টাকা নিজের কাছে বা তসরুপ করার কোন পথ নেই। টাকা ব্যাংকে জমা দিবে প্রয়োজনে সেখান থেকে উত্তোলন করে খরচ করবে। এই টাকা সে আত্মসাৎ করেছে।তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি অনেক অনিয়ম দূর্ণিতির সাথে জড়িত। নানা অভিযোগের কারণে তাকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অব্যাহতির পরও স্কুলে পিয়ন নিয়োগের বিষয়ে তিনি একজনের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক ( এস আই) মফিজুর রহমান মল্লিক বলেন, যাদবপুর বি এম স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারসহ দুজনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ তসরুপের মামলা হয়েছে।
সেই মামলায় শিক্ষক কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আরেক আসামি লিটনকে ধরার চেষ্টা চলছে।