মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন (ধামরাই প্রতিনিধি) ঢাকার ধামরাইয়ে স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতন সইতে না পেরে মুনমুন আক্তার (২৮)নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। মুনমুন আক্তার ধামরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কুমড়াইল এলাকার আব্দুল লতিফের মেয়ে।
১১ বছর আগে ধামরাই সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম আজাহারের সাথে বিয়ে হয়। মুনমুনের আট বছরের একটি ছেলে আছে। আরিফুল ইসলাম আজাহার ইট বালু ব্যবসায়ী। স্বামী আজাহার একই গ্রামের এক গার্মেন্টস কর্মীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত আছে। মুনমুন এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রায়ই তার উপর চলতো নির্যাতন।গত মঙ্গলবার এ নিয়ে কথা হলে স্বামী আজাহার মুনমুনকে বেধরক পিটিয়ে জখম করলে তার গলার অনেকটা অংশ কেটে যায়। পরে মুনমুনের বাড়ির লোকজন এসে তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার মুনমুন আক্তার কিছুটা সুস্থ হলে ধামরাই কুমড়াইলে তার বাবার বাড়ি নিয়ে আসে। বাড়িতে আসার পর তার স্বামী আজাহারের সাথে ফোনালাপ হয়।
পরে কাউকে কিছু না বলে ঘরে গিয়ে ফাঁস নেয়। স্থানীয়দের খবর পেয়ে থানাপুলিশ সন্ধ্যার পরে মুনমুনের লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মুনমুনের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। রাতের বেলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুনমুনের শ্বশুর শাশুড়ীকে গ্রেফতার করলেও তার স্বামী মৃত্যুর খবর পেয়েই পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার এস আই সেকান্দার বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মুনমুনের স্বামী আজাহারকে গ্রেফতারের জন্যে অভিযান চলছে।