নাশকতা প্রতিরোধে ‘সাইবার ওয়ারফেয়ার’ নামে কাজ শুরু করেছে পুলিশের একটি সমন্বিত ইউনিট।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে জামায়াত-বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির নামে একাধিক ফেসবুক একাউন্ট এবং পেইজ খুলছে। আর তাদের সহায়তা করতে দেশে সক্রিয় রয়েছে বেশক’টি গ্রুপ। এ ধরণের নাশকতা প্রতিরোধে ‘সাইবার ওয়ারফেয়ার’ নামে কাজ শুরু করেছে পুলিশের একটি সমন্বিত ইউনিট।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাম দিয়ে খোলা হয় অন্তত ৫টি ভুয়া পেজ। যেখানে অনবরত ছড়ানো হচ্ছিলো মিথ্যা তথ্য এবং নানা ধরণের অপপ্রচার। শেষ পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের এই মিথ্যা ও অপপ্রচার রোধে বিবৃতি দিতে হয় আইএসপিআরকে। তারপরও বন্ধ হয়নি এধরণের তৎপরতা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়া থেকে খোলা হচ্ছে এসব ভুয়া ফেসবুক পেজ।
নূরে আলম মিনা(পুলিশ সুপার) বলেন, ‘মনোবল ভাঙ্গার জন্যে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরির জন্যে তারা প্রচুর মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করছে এবং ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাবো তারা যেন গুজবে কান না দেয়।’
মূলত নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা সৃষ্টি এবং জনমনে আতংক সৃষ্টির জন্যই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার।
আবদুল মান্নান (বিভাগীয় কমিশনার) বলেন, ‘মানুষ যাতে কোন শঙ্কার মধ্যে, ভীতির মধ্যে না থাকে এর সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা করেছি।’
এদিকে ভুয়া পেজ খোলার মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্তের জন্য পুলিশের ‘সাইবার ওয়ারফেয়ার’ নামে একটি বিশেষ দল কাজ শুরু করেছে ।
মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান (কমিশনার) বলেন, ‘একটি টিম সার্বক্ষণিক ভাবে এগুলোর মনিটরিং করে থাকেন। গুজবগুলো যে সব সাইট থেকে আপলোড করা হয় সেগুলো শনাক্ত করে বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি।’
২০১৩ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের পর তাকে চাঁদে দেখা গিয়েছে বলে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হয়। এতে সংঘাতে সারাদেশে মারা যায় অন্তত ১০জন।