নওগাঁর মান্দায় গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টা থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ছিল হালকা বাতাস। বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি একটানা চলে সারারাত।
শনিবার সকালে তা প্রবল বর্ষণে রুপ নিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে দমকা ঝড়ো হাওয়া।এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠের পাকা- আধাপাকা ধান নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। একটানা বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধান মাটিতে পড়ে গেছে। অনেক খেতে বৃষ্টির পানি জমে পড়ে যাওয়া ধান তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। যে সকল কৃষক মাঠে ধান কেটে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন সময়ের অভাবে শুকানো ধান মাঠ থেকে ঘরে তুলতে না পারায় ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
এছাড়া নিচু এলাকাগুলোতে সবে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফণীর তা বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে ঠাকুরমান্দার বিল, পরানপুর, বিলউথরাইল, ঘোনা, কুরকুচি, শাল্যো, সগুনিয়া, বলাক্ষেত্র, সিমলাদহ বিলসহ আরও অনেক এলাকার কৃষকরা ধান বিপাকে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, ফণীর কারণে ধানকাটা পিছিয়ে যাওয়ায় শ্রমিকের সংকট দেখা দিতে পারে। শ্রমিকের মজুরিও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে ধান নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
অন্যদিকে ফণীর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় মৌসুমী ফল আম ঝরে গেছে। একই সঙ্গে লিচু বাগানেও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে ঘূণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় জরুরী সভা করেছে মান্দা উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও খন্দকার মুশফিকর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এমদাদুল হক মোল্লা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ফারুক হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।