বাগমারায় ৩স্ত্রী ফেলে আরেক নারী নিয়ে পালালেন মসজিদের ইমাম

Loading

রুস্তম আলী শায়ের,বাগমারা প্রতিনিধিঃ বাগমারায় ৩স্ত্রী কে ফেলে আরেক নারী কে পালিয়েছে তাবলীগ জামাতের সদস্য ও মসজিদের ইমাম।

বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামের মৃত মেছের আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু (৬০) এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।এলাকায় তাকে সবাই বাচ্চু হুজুর নামেই চেনে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের গোয়ালকান্দি (বাগিচাপাড়া) গ্রামের একটি মসজিদে দির্ঘ্যদিন যাবৎ ইমামতি করে আসছিলেন বাচ্চু হুজুর এবং তাবলীগ জামাতের সাথেও যুক্ত আছেন তিনি।

ইমামতি ও তাবলীগ জামাতের সুবাদে গোয়ালকান্দি গ্রামের জনৈক এক নারীর পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ওই নারী কে নিয়মিত কুরআন শিক্ষা দিতে শুরু করেন।

গত ১১এপ্রিল রবিবার জনৈক নারী তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যাবেন বলে ঘর থেকে বের হয় কিন্তু পরে আর বাড়ি ফিরেনি।অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা তাদের পরিবার নিশ্চিত হয় বাচ্চু হুজুরের সাথে প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে দুজন।

গোয়ালকান্দি বাগিচাপাড়ার মসজিদের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন,আমাদের মসজিদে ইমাম থাকাকালিন আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বাচ্চু হুজুর অন্য নারীদের সাথেও পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয়,এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাকে ইমামতি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

হামিরকুৎসা গ্রামের বাচ্চু হুজুরের প্রতিবেশি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন,বাচ্চু কে নিয়ে নারী কেলেঙ্কারির ফিরিস্তি নতুন কিছু নয়,এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি নারী কেলেঙ্কারির সাথে জরিয়েছেন।

তার ঘরে এখনো ৩টি স্ত্রী আছে এবং আবার শুনছি ২সন্তানের জননী কে নিয়ে তিনি পালিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,তাবলীগ জামাতে গিয়ে চট্টগ্রামের এক নারীর সাথে তিনি অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং জনতার রোশানলে পরে ওই নারীকেও বিয়ে করতে বাধ্য হন।

জনৈক ওই নারী ছেলে বলেন,নতুন করে আর কিছু বলার নাই,ছেলে হিসেবে আমরা যে কতটা কষ্টে আছি তা বলে বোঝানো যাবে না।আমরা এখন শুধু তাদের সন্ধান চাই।যদি কেউ বাচ্চু হুজুর কে কোথাও দেখে থাকেন তাহলে ০১৭১৬৮৬৬৫২৯…. ০১৭৮৭৯০০৬৬৫
এই নাম্বার দুটির যে কোন একটি তে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।

সেই সাথে সন্ধান দাতা কে উপযুক্ত পুরষ্কার প্রদান ঘোষনাও দেন তিনি।
জনৈক নারীর ছেলে আরও বলেন,ভন্ড বদমায়েশ বাচ্চুর সাথে আমি তাবলীগ জামাতেও অংশ নিয়েছি কিন্তু সে আমাদের পরিবারের সাথে মিশে আমাদের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিলো।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাগমারা থানায় একটি সাধারন ডাইরি করেছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বাচ্চু হুজুরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে পরিবারের কেউ তার সম্পর্কে কথা বলতে রাজি হয়নি।