বিএনপির আন্দোলনে যদি সহিংসতা হয়, মোকাবিলা হবে: কাদের

Loading

আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস শুরু করে তাহলে তাদের রাজপথে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য এ জরুরি সভার আহ্বান করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধীদল হিসেবে যদি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে সরকার বাধা দেবে কেন? যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত, আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে সরকার কি বসে থাকবে, আঙুল চুষবে। খেলা হবে, মাঠে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে, রাজপথে মোকাবিলা হবে।

বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সুযোগ নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা না করে সরকার উৎখাতের চক্রান্ত চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকেই মনে করেন, হয় তো আমরা রাজপথ ভুলে গেছি, ভুলি নাই। আমরাও আছি অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে তখন আন্দোলনের স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়ায় এখন এক অস্থির সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে। একটা খারাপ সময়ে মুখোমুখি, একটা চ্যালেঞ্জিং টাইমস আমরা অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের ওপর পড়তে শুরু করেছে। সারা দুনিয়ার সংকট। কোথাও এ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে শুনলাম না। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিষয় আলাদা। অন্য কোথাও এনিয়ে আন্দোলন নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। সরকারের দোষ, যত দোষ নন্দ ঘোষ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনায় ভারসাম্যমূলক অবস্থান নিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল রাখায় সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। আজ সেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সরকার উৎখাতের চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। বৈশ্বিক সংকট উত্তরণে সহযোগিতা না করে তারা সরকার উৎখাতে মঞ্চ করছে, আরও কত কী করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম করলে আমাদের দেশেও কমানো হবে। তারপরও বিএনপি ও তাদের দোসরা মাঠে নামছে, সরকারের বিরুদ্ধে বিষদগার করছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শোকের মাসে সাধারণত আমরা রাজপথের কর্মসূচি দেই না। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদের এর প্রতিবাদ করতে হবে, জনগণকে সচেতন করতে হবে। চক্রান্ত মোকাবিলা করা হবে। যার যা কিছু ফ্রি স্টাইল বাংলাদেশে আমরা হতে দেব না।

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ১৪ দলের শরিক কোনো কোনো দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা তাদের বিষয়, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের। তাদের সঙ্গে জোট হয়েছিলো নির্বাচনী জোট। সেখানে আদর্শের কোনো বিষয় নেই। এটা কৌশলগত জোট। তা না হলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট কেন।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশসহ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।