দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় এ অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানি বাড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা জানান, দেশের চিকিৎসাখাতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে বড় একটি অংশ আমদানি হয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।
প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার মে.টন অক্সিজেন আমদানি হয়ে থাকে। করোনাকালীন আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে সম্প্রতি এ অক্সিজেনের চাহিদা আরও বেড়েছে। এ সম্পদটির অপচয় রোধ ও সঠিক ব্যবহারের প্রতি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ভারতে করোনা মহামারিতে অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ায় গত ২১ এপ্রিল দেশটি বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরবর্তীতে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় আবার গত ২১ জুন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
এ ক্রান্তিকালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র অক্সিজেন আমদানির সুযোগ দেওয়া এটি বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি বন্ধুত্বেরও উদাহরণ বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫ আমদানিকারক, লিন্ডে বাংলাদেশ, এক্সপেক্ট্রা অক্সিজেন, পিউর অক্সিজেন, বেঙ্গল অক্সিজেন ও ইসলাম অক্সিজেন আমদানি করে থাকে।
এর মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশ ও এক্সপেক্ট্রা অক্সিজেন নামে দুই আমদানিকারক ৯০ শতাংশ অক্সিজেন আমদানি করে। গত বুধবার এক্সপেক্ট্রা, লিন্ডে অক্সিজেন ও ইসলাম অক্সিজেন নামে তিনজন আমদানিকারকের নামে ১৬৩ মে.টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে।
গত ২১ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৭৮৪ মে.টন ৮৮৫ কেজি। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১১০ মে.টন অক্সিজেন আমদানি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।