মাগুরার শ্রীপুর উপজেলাতে ১৩৮টি পুজামন্ডপে শেষ মূহুর্তে মন্দিরে মন্দিরে চলছে রং ও সাজ-সজ্জার কাজ ।

Loading

আশরাফ হোসেন পল্টু,মাগুরা প্রতিনিধি ঃহিন্দু স¤প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা শুরু হতে আর মাত্র ৪দিন বাকী ।

শেষ মূহুর্তে অধিকাংশ মন্দিরে চলছে প্রতীমা রং আর সাজ-সজ্জার কাজ। শ্রীপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন সরকার জানান, এবছর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৩৮টি পূজামন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে গয়েশপুর ইউনিয়নে ১৫টি, আমলসারে ১৭টি, শ্রীকোলে ১৪টি,শ্রীপুরে ১৬টি,দ্বারিয়াপুরে ১৩টি,কাদিরপাড়ায় ১৭টি,সব্দালপুরে ১০টি ও নাকোল ইউনিয়নে ৩৬টি ।

এর মধ্যে ৩৪টি পূজা মন্ডপকে সাধারণ এবং ৬টিকে অধীক ঝুকিপূর্ণ বলে সনাক্ত করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এর মধ্যে গঙ্গারামখালী, গোয়ালবাড়ি, বড়তলা, রাধাকান্তপুর, খালিয়াবাজার, খড়িচাইল, সরইনগর দুইটি পূজামন্ডপগুলি অধীক ঝুকিপূর্ণ বলে ঘোষনা রয়েছে ।

অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরেও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন, পূজামন্ডপগুলিতে নিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃংঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।

আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, উপজেলা আওয়ামীলীগ, জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু,খ্রিষ্টান,বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ও পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি,সম্পাদকসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের মাধ্যমে মন্ডপগুলিতে বিশেষ নজরদারী ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিন কবীর বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা মন্দিরগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে পূজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবাধ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের ক্ষেত্রে প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে। এছাড়াও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সকল পূজা মন্দিরকে প্রশাসনের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন সার্বক্ষণ প্রস্তুত থাকবে ।