আশরাফ হোসেন পল্টু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কালুকান্দি গ্রামে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার আজিজুর রহমান (৩০) এর বিছিন্ন মাথা ও একটি পা ৮দিন পর সোমবার রাত ৮টার দিকে মাগুরা সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের ঘোড়ানাছ গ্রামের কালভার্টের নিঁচ থেকে পা ও পাট ক্ষেত থেকে খন্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে ব্যার-৬ ।
সোমবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর একটি চৌকস দল যশোরের শার্শা থেকে আজিজুর হত্যার মূল হত্যাকারী আশরাফ আলী বিশ্বাস (৩২) কে আটক করে। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উক্ত স্থান থেকে আজিজুরের মাথা ও পা উদ্ধার করা হয় এবং সে র্যাবের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
র্যাব খুলনার অধিনায়ক লে.কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ জানান, আশরাফ সদর উপজেলার মালিকগ্রামের আহম্মদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। মাগুরা শহরের বেলতলায় তার হোমিও প্যাথির ব্যবসা আছে।
পাশাপাশি সে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং-এমএলএম ব্যবসা করে। এই ব্যবসার সূত্রেই আজিজুরের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। আশরাফ আজিজুরের নিকট ৩ হাজার টাকার ইনসেন্টিভ পেত কিন্তু আজিজুর তাকে ৫ শত টাকা দিতে চাওয়ায় দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হয়। এ দ্ব›েদ্বর জের ধরেই ৫ জুন খুনি আশরাফ আলী আজিজুরকে নিজ হোমিও দোকানে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মস্তিস্কে হত্যা করে।
হত্যার পর দেহ থেকে মাথা ও পা খন্ডিত করে ঘোড়ানাছ গ্রামের কালভার্টের নিঁচে পা ও পাট ক্ষেতে খন্ডিত মাথা লুকিয়ে রাখে। আর মূল দেহসহ একটি পা বস্তাবন্দি করে আজিজুরের মামা বাড়ির সন্নিকটে কালুকান্দি গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে রেখে আত্মগোপন করে।
উল্লেখ্য, পরে ৬ জুন সকালে কালুকান্দি গ্রামের মতিয়ার মোল্যার পুকুরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত বস্তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বস্তা ভর্তি মাথা ও একটি পা বিহীন লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন । এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান ওইদিনই মহম্মদপুর থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ও র্যাব এ হত্যাকান্ডে অভিযান শুরু করেন এবং হত্যার মূল খুনি আটকের পর সকল রহস্য উন্মোচিত হয় ।