মানিকগঞ্জ জেলার সিংগার থানার কাংশা এলাকায় বিষপানে আত্মহত্যা, স্ট্রোকে মৃত্যু বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ।

Loading

নিজস্ব প্রতিবেদক:মানিকগঞ্জ জেলার সিংগার থানার কাংশা এলাকায়, মুনাফ মোল্লা (৪০) নামের এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, স্থানীয়দের বেশ কয়েকজন, জানান, মৃত মুন্নাফ মোল্লা প্রায় ২২ বছর যাবত , সৌদি আরব প্রবাসী জীবন যাপন করেন, গত দুই মাস আগে তিনি দেশে ফেরত আসেন, তারপর থেকেই তার সংসারে চলছিল নানান বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ।

তার উপার্জনের কোটি টাকা তার সমুন্ধি আঃ সাত্তার বায়রা, ডাঃ সেলিম ও বায়রা মোঃআলী এবং তাহার স্ত্রীর নিকট থাকার পরেও ডায়েবিটিস এর ঔষধ কিনতে চাইলেও , মুন্নাফ মোল্লার তাহাদের কাছে টাকা চেয়ে ঔষধ কিনতে হতো বলে জানা যায় ।

এছাড়াও স্থানীয়রা আরো জানান, মুন্নাফ মোল্লা গেল ২৯ এপ্রিল বেলা ১২ ঘটিকায় ভাড়াটিয়া বাসার কাংশা তিন রাস্তার মোড়ে রুপচানের বিল্ডিং এর দুতালায় বিষপানে আত্মহত্যা করেন ।

বিষ পান করার সময় তিনি ওই বাসার দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে বিষপান করেন বলেও জানা যায়, যদিও পরবর্তীতে মুন্নাফ এর পরিবার স্ট্রোকের কারণে মারা গিয়েছেন বলে দাবি করেন ।

বিষ পান এরপর নিহত মুন্নাফ মোল্লাকে প্রথমে সিংগাইর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় , সিংগাইর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার চিকিৎসা না করায়, মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

কোটি টাকা থাকা সত্ত্বেও কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে সুচিকিৎসার জন্য, তাকে না নিয়ে, কেন তাকে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর মনে আজও বিরাজমান । আর বিষপানের রোগীকে সিংগাইর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে, মানিকগঞ্জের রাস্তায় নিয়ে মরতে সহোযোগিতা করেছে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের ।

তার পরই তড়িঘড়ি করে, স্থানীয় বেশ কয়েকজন কে সাথে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থান ,খরার চড়ে নিহত মুন্নাফ মোল্লার দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয় ।

জানা যায়, বিগত দুই যুগ প্রবাসে জীবন কাটানোর পর তাহার ইচ্ছে ছিল নিজের জায়গায় একটি বাড়ি করবেন সে জন্য তিনি একটি বাড়ি করার জন্য জায়গাও কিনেছিলেন, এছাড়াও প্রায় কোটি টাকা তার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়স্বজনদের কাছে রেখে যায় তিনি ।

কেন তিনি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনও তা কেউ জানতে পারেননি ।
মৃত্যুকালে মুন্নাফ মোল্লার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন ।

এ বিষয়ে মুন্নাফ মোল্লার স্ত্রী পারভীন আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিক নাম শুনেই সঙ্গে সঙ্গে ফোনের সুইচটা অফ করে দেন । এ ব্যাপারে তার সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি ।