মৃধা শাহীন শাইরাজ,তালতলী (বরগুনা)প্রতিনিধি ঃবরগুনার তালতলীতে মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাকে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী নজরুল গাজী (৩০) মঙ্গলবার আত্মসমর্পনের খবর পেয়ে পুলিশ সকিনা এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এর আগে শনিবার (২ মে) বিকেলে এ মামলার প্রধান আসামী মটরসাইকেল চালক জহিরুল আকনকে (২৮) বরগুনার দক্ষিণ বালিয়াতলি এলাকা থেকে পটুয়াখালী র্যাব- ৮এর সদস্যরা আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এ মামলার বাকী ৩ আসামী এমাদুল, সোহাগ ও সাইদুল ইসলামকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে থানায় আত্মসমর্পন করার কথা শোনা যাচ্ছে।
জানাগেছে, ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ১সন্তানের জননী পাথরঘাটা খেয়া পাড় হয়ে তালতলীর তেতুলবাড়ীয়ায় ওঠে নিশানবাড়ীয়া যাওয়ার জন্য জহিরুল আকনের মটরসাইকেলে চরে। মটরসাইকেল চালক জহিরুল আকন ওই নারীকে নিশানবাড়ীয়া না নিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে ভুল বুঝিয়ে উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের ঝাউ বনের গহিন জঙ্গলে নিয়ে তার অন্য চার সহযোগীকে খবর দেয়। জহিরুলের সহযোগীরা আসলে ৭ বছরের কন্যা সন্তানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মাকে গণধর্ষণ করে। পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই নারী অপ্সান হয়ে পরলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এঘটনায় থানায় মামলা না হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে ওই নারীকে ৩০ এপ্রিল খবর দিয়ে এনে ধর্ষন চেষ্টার মামলা নেয় পুলিশ। মামলার পরে গণধর্ষনের খবরসহ ওই নারীর বক্তব্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হলে মামলার প্রধান আসামী মটরসাইকেল চালক জহিরুল আকনকে আটক করে র্যাব। ওই এলাকার একাধিক সুত্রে জানা যায় বাকী ৩ আসামীরা মঙ্গলবার সন্ধার পরের যে কোন সময় থানায় আত্মসমর্পন করার কথা রয়েছে। তারিখঃ ০৫.০৫.২০২০ইং