যশোরের বেনাপোল ও শার্শায় রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে আট জনকে শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে আহত করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার(১০মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে আহত পাঁচ মানসিক রোগীকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া মানসিক রোগীরা হলেন, যশোরের রায়পুর ইউনিয়নের বাঘারপাড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামের অরবিন্দের স্ত্রী বুলু(৭০), সিলেটের দক্ষিনসার গ্রামের মেশের আলীর ছেলে গিয়াসউদ্দীন(৩৩), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শৃকলম গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী সকিনা বেগম(৪৮), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার রানদিয়া গ্রামের সঞ্জিতের স্ত্রী নমিতা রানী(৪২) ও অন্য এক নারী হলেন মনোয়ারা(৩৬)।
স্থানীয় বাসীন্দা আরিফ জানায়, প্রথমে বেনাপোল মাছ বাজারে এক বৃদ্ধ নারীকে রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে স্থানীয়রা মারধোর করে পুলিশে দেয়। এর পর পরই এলাকায় রোহিঙ্গা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এলাকায় অবস্থানরত মানসিক ভারসাম্য সব পাগল শ্রেনীর নারী,পুরুষদের রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে মারধোর করে পুলিশে দিতে শুরু করে ।
বেনাপোল পোর্টথানা এসআই এইচ এম লতিফ আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি রাসেল ইসলামকে জানান, শিশুদের অবিভাবকদের সাথে কথা বলে শেষ পর্যন্ত মনে হয়নি আটকরা ছেলে ধরা। এছাড়া তারা কেউ রোহিঙ্গা না। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় চেয়ারম্যানদের জেম্মায় উদ্ধার হওয়া পাচ নারী,পুরুষকে তাদের নিজ নিজ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।