প্রচ্ছদঅপরাধযশোরের শার্শা-বেনাপোলে ৪ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে ২২০০০(বাইশ হাজার) টাকা জরিমানা ।
যশোরের শার্শা-বেনাপোলে ৪ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে ২২০০০(বাইশ হাজার) টাকা জরিমানা ।
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ ও বেনাপোল বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অসাধু ৪ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে ২২০০০(বাইশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর শুক্রবার শার্শা উপজেলার বেনাপোল ও নাভারন বাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়।শার্শা উপজেলার নাভারন, শার্শা, বাগআঁচড়া, গোগা, পুটখালী, বেনাপোল , বাহাদুরপুর, গোড়পাড়া সহ বিভিন্ন বাজারে ২৪ থেকে ২৫০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া রসুনের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ২০০ টাকা দরে। দীর্ঘদিন ধরে বাজার মনগড়া উচ্চ মুল্যে অস্থিরতা থাকলেও প্রশাসনিক কোন প্রতিকার নেই। নেই বাজার মনিটরিং। কোন দোকানে পাইকারী বা খুচরা মুল্যেও তালিকা নেই। যে কারনে ক্রেতা সাধারনের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েগেছে।
এ ব্যাপারে একজন ব্যবসায়ী জানান, দেশে পেঁয়াজ না থাকায় ও আমদানিকারকেরা পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারী সুবিধা না পাওয়ায় এবং সিন্টকেটের কারনে পেঁয়াজের মুল্য বৃদ্ধি হচ্ছে।
একজন ক্রেতা জানান, দাম বাড়াতে পেঁয়াজ ক্রয় বন্ধ কওে দিয়েছি। তিনি জানান, পেঁয়াজ ছাড়া আলু, ডাল ভত্তা ভাল না লাগলেও খেতে হচ্ছে।
একজন ভাজাপুড়া বিক্রেতা জানান, পেঁয়াজের এত দাম যে এখন তিনি তার ভাজার দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। পেঁয়াজের মুল্য বেশি হওয়াতে সাধরন ক্রেতা থেকে শুরু করে সকলের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে দেখা যায় যে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং সিন্ডিকেট পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক করে সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। ব্যবসায়ীদের কেউ ১৩০ টাকা পাইকারি ক্রয় করে খুচরা ২০০-২৩০টাকা বিক্রি করছে । আবার কেউ ১৫০-১৬০টাকা ক্রয় করে খুচরা ২০০-২৩০টাকা বিক্রি করছে।
সাধারণ জনগণ অর্থাৎ ভোক্তারা এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ক্রয়কৃত পণ্যের মুল্য তালিকা দেখাতে ব্যর্থ এবং পণ্যের মূল্য প্রদর্শন না করে বেশি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করায় নাভারণ ও বেনাপোল রাজারস্থ চারটি পাইকারি দোকানদারকে ভোক্তা-আধিকার আইনে ২২০০০/-(বাইশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের নিত্যদিনের পণ্যের উপর উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।