রাণীশংকৈলে মাঘের বৃষ্টিতে ভাটা মালিকেরা ১০ কোটি টাকা ক্ষতির শিকার

dav

Loading

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টির প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় কাঁচা ইট ভিজে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন ভাটা মালিকেরা ।

dav

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ২৮টি ইট ভাটা রয়েছে। এ ইট ভাটাগুলোতে পুরোদমে নতুন ইট উৎপাদনের কাজ চলছিল। অসময়ে পৌষের হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রভাবে প্রত্যেকটি ইট ভাটা মালিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে নতুন তৈরি কাঁচা ইট অপসারণ করতে পারেননি তারা। শনিবার রাত পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ভেঙ্গে চুরে যায় লক্ষ লক্ষ পিস কাঁচা ইট। রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সরেজমিনে গিয়ে ইট ভাটার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

রাণীশংকৈলএলাকায় অবস্থিত মাহি ব্রিক্স, এম বি বি ব্রিক্স ও ইট ভাটার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন বিপ্লব জানান, উপজেলার ২৮টি ইট ভাটা চলমান রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে তাদের ইট ভাটায় প্রায় ১ কোটি ৫৫ লক্ষ নতুন তৈরি কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এই ইটগুলো পোঁড়াতে পারলে তা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা বিক্রি করা যেত। তিনি আরো বলেন, এ মাটি পুণরায় ব্যবহার করা সম্ভব হলেও, ইটগুলো তৈরীতে শ্রমিকদের টাকা দিতে হবে, আবার অপসারণ করতে ও নতুন করে তৈরি করতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতে করে ভাটা মালিকদের বড় অংকের টাকা লোকসানে পড়তে হচ্ছে। সন্ধ্যারই জি এইচ ডি ইটভাটা মালিক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার এলাকায় কয়েকটি ইটের ভাটা রয়েছে। বৃষ্টিতে আমার ইটভাটায় প্রায় ৭ লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। ইটগুলোর বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।

মাঘের শেষে অযাচিত বৃষ্টির কারণে তাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এ বৃষ্টির কারণে নতুন ইট তৈরি বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরাও আপাতত কয়েক দিন বেকার হয়ে বসে থাকবে। এদিকে কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিরুপ আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে ইট ভাটা মালিকরা অর্থনৈতিক বড় ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ায় তা কাটিয়ে ওঠা অনেকের পক্ষেই কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে জানান ইট ভাটা মালিকেরা

রাণীশংকৈলে মাঘের বৃষ্টিতে ভাটা মালিকেরা ১০ কোটি টাকা ক্ষতির শিকার

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টির প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় কাঁচা ইট ভিজে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন ভাটা মালিকেরা ।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ২৮টি ইট ভাটা রয়েছে। এ ইট ভাটাগুলোতে পুরোদমে নতুন ইট উৎপাদনের কাজ চলছিল। অসময়ে পৌষের হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রভাবে প্রত্যেকটি ইট ভাটা মালিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে নতুন তৈরি কাঁচা ইট অপসারণ করতে পারেননি তারা। শনিবার রাত পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ভেঙ্গে চুরে যায় লক্ষ লক্ষ পিস কাঁচা ইট। রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সরেজমিনে গিয়ে ইট ভাটার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

রাণীশংকৈলএলাকায় অবস্থিত মাহি ব্রিক্স, এম বি বি ব্রিক্স ও ইট ভাটার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন বিপ্লব জানান, উপজেলার ২৮টি ইট ভাটা চলমান রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে তাদের ইট ভাটায় প্রায় ১ কোটি ৫৫ লক্ষ নতুন তৈরি কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এই ইটগুলো পোঁড়াতে পারলে তা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা বিক্রি করা যেত। তিনি আরো বলেন, এ মাটি পুণরায় ব্যবহার করা সম্ভব হলেও, ইটগুলো তৈরীতে শ্রমিকদের টাকা দিতে হবে, আবার অপসারণ করতে ও নতুন করে তৈরি করতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতে করে ভাটা মালিকদের বড় অংকের টাকা লোকসানে পড়তে হচ্ছে। সন্ধ্যারই জি এইচ ডি ইটভাটা মালিক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার এলাকায় কয়েকটি ইটের ভাটা রয়েছে। বৃষ্টিতে আমার ইটভাটায় প্রায় ৭ লক্ষ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। ইটগুলোর বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।

মাঘের শেষে অযাচিত বৃষ্টির কারণে তাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এ বৃষ্টির কারণে নতুন ইট তৈরি বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরাও আপাতত কয়েক দিন বেকার হয়ে বসে থাকবে। এদিকে কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিরুপ আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে ইট ভাটা মালিকরা অর্থনৈতিক বড় ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ায় তা কাটিয়ে ওঠা অনেকের পক্ষেই কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে জানান ইট ভাটা মালিকেরা