রানীশংকৈল পৌর নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলরের প্রতীক বরাদ্দ

Loading

হুমায়ুন কবির (রাণীশংকৈল) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ২৭ জানুযারি বুধবার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

এ উপলক্ষে এদিন সকালে উপজেলা হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আঁখি সরকারের নেতৃত্ব প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পৌর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকল মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রমে ৩ জন দলীয়ভাবে মনোনীত প্রার্থী বাদে ৮ জন বিদ্রোহী ও ১জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রতীক লটারীর মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার আঁখি সরকার।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, বিএনপি দলীয় মনোনীত প্রার্থী মাহামুদুল নবী পান্না বিশ্বাস পেয়েছেন ধানের শীয় প্রতীক, জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনীত প্রার্থী আলমগীর হোসেন পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রফিউল ইসলাম (ভিপি) পেয়েছেন কম্পিউটার প্রতীক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আলমগীর সরকার পেয়েছেন ক্যারামবোর্ড প্রতীক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নওরোজ কাউসার কানন পেয়েছেন চামুচ প্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ইস্তেকার আলম পেয়েছেন মোবাইল ফোন প্রতীক,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমানে আ’লীগ নেতা রুকুনুল ইসলাম ডলার পেয়েছেন রেল ইঞ্জিন প্রতীক, উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক পেয়েছেন জগ প্রতীক, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন বসাক পেয়েছেন নারিকেল গাছ প্রতীক, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোকলেসুর রহমান পেয়েছেন কাপড় ঝুলানো হ্যাংগার প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকারম হোসাইন পেয়েছেন ইস্ত্রি মেশিন প্রতীক। একিই সাথে কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদেরও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দের সময় সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান ও আচরণ বিধি লঙ্ঘন না করার পরামর্শ প্রদান করেন। এবং আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রসঙ্গত: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গত ৩ জানুয়ারি ৪র্থ পর্বের নির্বাচন ঘোষনা দেন, ৪ জানুয়ারি থেকে ফরম বিক্রি শুরু হয়, ১৭ জানুযারি ছিল মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন। এ দিন ১২ জন মেয়র পদে ৩৩ জন কাউন্সিলর পদে এবং ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। গত ১৯ জানুযারি সকলের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষে সকলকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসার। গত ২৬ জানুযারি প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিনে শুধুমাত্র ১ জন পুরুষ কাউন্সিলর ফজলুর রহমান (৬ নং ওয়ার্ড) তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।