সৌমেন মন্ডল, ব্যাুরো প্রধান রাজশাহীঃ শীত যেন এবার পঞ্জিকা ধরেই নেমে আসলো। পৌষের শুরুতেই যে শীত জেঁকে বসবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। শীতের তীব্রতা বাড়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।বেশি কষ্ট পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে অসহাই খেটে খাওয়া গরিব মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা বেড়ে গেছে। ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দি-কাশি ইত্যাদি রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ বেশি বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের ভর্তির হার বেড়েছে।
শীতের সঙ্গে আছে হিমালয় থেকে আসা ঠাণ্ডা বায়ুর প্রবাহ। আছে ঘন কুয়াশাও। কুয়াশার প্রকোপ বাড়ায় বিভিন্ন স্থানে সূর্য দেখা যায়নি। রাজশাহীসহ আশপাশ এলাকায় আজ দুদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি কোন সময়।
আজ বিকাল থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। আর ভোর থেকে চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। ঘন কুয়াশায় আলোর স্বল্পতা সৃষ্টি হওয়ায় দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চালানো হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে মানুষের চলাচল কমে গেছে।
হঠাৎ শীতের কারণে রাজশাহীসহ সারা দেশে গরম কাপড়ের দোকানে বিক্রি বেড়েছে। এদিকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক দরিদ্র মানুষ।
এখন রাজশাহী ফুটপাত গুলোতে ভীর করছে সল্প রোজগারের মানুষ।
এই শীতে সবচেয়ে বিপাকে পরেছে দিনআনে দিন খাই মানুষ জন।তীব্র শীতে কাজে বের হতে পারচ্ছে না তারা। রাস্তার পাশে আগুন জ্বালীয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে তারা।