সংবিধান কি বড় পাথর যে সংশোধন করা যাবে না: রিজভী

Loading

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক কখনোই সংবিধানে ছিল না। আওয়ামী লীগসহ সব দল আন্দোলন করে এনেছে। এখন বিএনপি আন্দোলন করছে। তাহলে সংবিধান কি বড় পাথর যে সেটা সংশোধন করা যাবে না, প্রশ্ন রাখেন রিজভী।

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে যশোর শহরের ভোলা ট্যাঙ্ক রোডে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীসহ দেশবাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আমরা এখন বৃহৎ কারাগারে বন্দি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আলোর গতিতে বাড়ছে। চিনি এখন বিদেশিনী হয়ে গেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা, লন্ডনে গিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনান।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে ওটা নির্বাচন হবে না। রাতেই ভোট হয়ে যাবে। পুলিশ যেহেতু লাঠিয়াল বাহিনী হয়েছে তাতেই হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’

রিজভী বলেন, ‘আমেরিকা নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করলেও সরকার তা লুকিয়ে রেখেছিল। শেখ হাসিনা আমেরিকার ওপর রাগান্বিত। তার প্রতিহিংসা কেমন তা এখন বিশ্বও টের পাচ্ছে। কিন্তু আমেরিকাকে প্রতিহিংসা দেখিয়ে তিনি লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের ক্ষতি করতে চান।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ও তার লোকজন মনে করে, এ দেশের মানুষ তাদের ক্রীতদাস। এদের কথা বলার অধিকার নেই। তারা মনে করেন এ দেশ তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। অথচ আমরা মনে করি, এ দেশ জনগণের। এখানে প্রত্যেকের সমান অধিকার।

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোথাও বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিতে চায় না। তারা গুণ্ডা সন্ত্রাসীর মতো আচরণ করে। আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়, এটা এখন সন্ত্রাসী সংগঠন। ওরা নির্বাচনে জিততে পারবে না জেনেই সন্ত্রাসী, গুণ্ডামি করে টিকে থাকতে চায়।’ এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা বক্তব্য দেন।