সাংবাদিকদের শুদ্ধ সাংবাদিকতা করার প্রবনতা বাড়াতে হবে-আলম রায়হান।

Loading

সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি ঃ সাংবাদিকদের শুদ্ধ সাংবাদিকতা করার প্রবনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক আলম রায়হান।

দেশে বর্তমান অবস্থা তথা দেশে তৃনমূল সাংবাদিকদের মধ্য অধিকাংশরাই সংবাদ লেখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভুল করে থাকেন। আর এ সকল ভুল সংশোধনের জন্য যারা দায়িত্ব প্রাপ্ত সম্পাদকগন সেগুলো না দেখেই অথবা তাদের অগচরেই প্রকাশিত হচ্ছে অসংখ্য সংবাদ।

এ বিষয় বরিশালের জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক আলম রায়হান ১০/০৯/২০১৯ইং তারিখ মঙ্গলবার গোপলগঞ্জের কোটালিপাড়া ও মকসুদপুর উপজেলা সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতায় অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রশিক্ষন কর্মশালায় বক্তব্য প্রদান কালে তৃনমূলে সাংবাদিকদের শুদ্ধ সাংবাদিকতা করার প্রবনতা ও তার ব্যক্তিগত আগ্রহের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু থেকে তুলে ধরে বলেন, কলেজছাত্র থাকাকালে ১৯৭৭ সালে লেখার ক্ষেত্রে হাতে খড়ি হয় বরিশাল কলেজের দেয়াল পত্রিকা ‘তমাল’-এর মাধ্যমে। এ পত্রিকার আমি স্বনির্বাচিত সম্পাদক! মোজাম্মেল স্যার ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এই সূত্রে যোগাযোগ বরিশাল জেলা পরিষদের পাক্ষিক পত্রিকা বাকেরগঞ্জ পরিক্রমা’র সঙ্গে। বয়োবৃদ্ধ ও অভিজ্ঞ সম্পাদক ইয়াকুব আলীকে সহায়তা করার জন্য ছিলেন বরিশাল কলেজের বাংলার অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, আমার অতি প্রিয় শিক্ষকদের একজন।

সম্পাদক প্রতিটি লেখা এমনভাবে দেখতেন যেনো, এটিই তার আখেরী কাজ। এরপর দেখেদিতেন মোজাম্মেল স্যার, যেনো তিনি পরীক্ষার খাতা দেখছেন। দু’জনের এই দেখাদেখির কখনো আগপিছ হয়েছে, কিন্তু দু’জনে দেখা ছাড়া কোন লেখা ছাপা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এর সঙ্গে প্রফেশনাল প্রুফ রিডারতো ছিলেনই। কেবল লেখা এডিট করা নয়, তাঁরা নানান উপদেশও দিতেন অধিকতর শুদ্ধ লেখার বিষয়ে। ফলে একরকম হাইড্রোলি প্রেসার বোধ করতাম আমরা। এই চাপ ধীরে রূপান্তরিত হয় আগ্রহে; এরপর প্রবনতায়।
কালের পরিক্রমায় বহু বছর পেরিগেছে, এ সময়ে আমি সুগন্ধাসহ কয়েকটি সাপ্তাহিক, দৈনিক বাংলারবানী-দৈনিক আমাদের সময়সহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে পত্রীকায় কাজ করার পর বাংলাভিশনের মাধ্যমে শুরু হয় আমার টেলিভিশন জীবন।

বাংলাভিশন ও মাইটিভি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় বছর কাজ করেছি টেলিভিশনে।

১৯৭৭ সাল থেক বহু সময় পেরিয়ে গেছে, বদলে গেছে অনেক কিছু। কিন্তু তৃণমূলের সাংবাদিকদের শুদ্ধ সাংবাদিকতা করার প্রবনতা এবং আগ্রহ রয়েগেছে প্রায় আগের মতোই। সে তুলনায় যারা কেন্দ্রে সাংবাদিকতা করেন, তাদের অনেকের মধ্যেই উল্টো প্রবনতা দেখেছি খুব কাছ থেকে।

এরাই আবার, কারণে অকারণে তৃণমূলের সাংবাদিকতা নিয়ে নাক ছিটকান।