সাফজয়ী ফুটবলার স্বপ্না ও সোহাগী নিজ উপজেলায় উষ্ণ সংবর্ধনায় ভাসছেন

Loading

হুমায়ুন কবির রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সম্প্রতি নেপালে ইতিহাস গড়েছেন বাংলার বাঘিনী ফুটবলাররা।

কাঠমান্ডুর দশরথ রঙঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ানশিপ খেলায় বিজয়ী হওয়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুই খেলোয়ারের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়। দুজনে বাড়ি ফেরার কথা শুনে উপজেলা প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার  ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে দশ টায় সাউন্ড সিস্টেম সম্বলিত সাবাস বাংলাদেশ গান বাজিয়ে গাড়ী বহরে দুই কৃত্তি খেলোয়ারকে বরণ করে তাদের বাড়িতে পৌছে দেন।

তাদের বাড়িতে ফেরা অবদি প্রস্তুতি ছিলো উপজেলা প্রশাসনের। এর আগে পীরগঞ্জ – রাণীশংকৈল উপজেলার সিমানা ফটকে উষ্ণ সংবর্ধনায় বরণ করে নেওয়া হয় সোহাগী কিসকু ও স্বপ্না রাণী কে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, রাঙ্গাটুঙ্গি  ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলাম, জেলা ফুটবল এসোশিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার গুপ্ত, ক্রীড়া সংস্থার সদস্য লেবিন,কোচ খাইরুল বাশার ইউএনও’র প্রতিনিধি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম, কোচ সুগা মুরমু ও থানা পুলিশ।

এ উপজেলার দুজন মেয়ে জাতীয় নারী দলে খেলে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গৌরব অর্জন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির তাদের বরণ করে নেন।

আগামী রবিবার ২ অক্টোবর তাদের রাণীশংকৈল  ডিগ্রি কলেজ মাঠে গণসংবর্ধনায় বরণের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে ওই গণসংবর্ধনার প্রহর গুনছেন উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, পৌরসভা, প্রেস ক্লাবসহ এলাকাবাসী।

নিজ মেয়েকে বাড়িতে পেয়ে খুশিতে ভাসছে সোহাগী ও স্বপ্নার পরিবার। এসময় স্বপ্নার বাবা নিরেন চন্দ্র বলেন আমার স্বপ্না আজ আমার নয় দেশের সম্পদ । আগামীতে সে ভালো কিছু উপহার দিবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন এ অর্জনের পিছনে রয়েছে সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, কোচ জয়নুল ও সুগা মুরমুর অবদান। মেয়ে আসবে তাই গভির রাতে বাতি জ্বালিয়ে রাস্তায় বসে ছিল সোহাগীর বাবা গুলজার কিসকু।

আইনশৃংখলা বাহিনীর গাড়ী দেখে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছিল সে সময় মেয়ে গাড়ীতে নেমেই ঝাপটে ধরলেন তাকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন পরিবারের সকলেই। এসময় বললেন আমার সোহাগী আজ জাতীয় দলের খেলোয়ার তার জন্য আর্শিবাদ করবেন সকলেই।

সে যেন আরো ভাল খেলতে পারে এবং দেশের এই গর্বকে অক্ষুন্ন রাখে।