সাভারের হেমায়েতপুরে বিশেষ পন্থায় যাত্রী পরিবহণ গাড়ি প্রতি নেয়া হচ্ছে পনেরশো টাকা ।

Loading

বিপ্লব সাভার  : ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে সাভারে বিশেষ পন্থায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।

গরু ছাগল মহিষ সহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের মধ্যে বাঁশ দিয়ে কটি বানিয়ে তার ওপর ত্রিপল টা নিয়ে বিশেষ পন্থায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এসব গাড়িতে যাত্রী প্রতি ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি গাড়িতে যাত্রী ভর্তি করার জন্য এক হাজার থেকে ১৫ টাকা করে দিতে হচ্ছে স্থানীয় পুলিশকে।

সরেজমিনে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শত শত যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে ছেলে মেয়ে নিয়ে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেল গাড়ি না পৌঁছানো তে হতাশ হয়ে পড়ছেন তারা। পরে বাধ্য হয়ে পণ্য পরিবহনকারী বা মালবাহী গাড়ির উপরে চড়ে বৃষ্টিতে ভিজে হলো বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। যেই কথা সেই কাজ।

হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডের লালন টাওয়ার এ প্রায় অর্ধশত বাস কাউন্টার রয়েছে। এসব কাউন্টারের যাত্রীরা ভিড় করছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার জন্য। তবে প্রতিটি কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বর্তমানে তাদের যেসব গাড়ি এখান থেকে ছেড়ে যাবে তার প্রতিটি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আরও বেশ কয়েকদিন আগে। ফলে এখন কোন গাড়িতে সিট পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ট্রাকে ওঠে বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা হয়েছেন।

এসব গাড়িতে দিনাজপুর রংপুর এবং পঞ্চগড় সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ডিস্ট্রিকের যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বিশেষ পন্থায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে ত্রিপল ব্যবহার করে কোনোটিতে সার তৈরি করা হয়েছে আবার কোনোটিতে স্বাধীন ভাবে যাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সদালাপ অতিথি গাড়িতে যাত্রীদের জন্য ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আর চাঁদ ছাড়া গাড়িতে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে প্রতিটি গাড়ি লোড করার জন্য স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশ থানা পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে আদায় করছে এক হাজার থেকে ১৫ শ’ টাকা। বিশেষ কিছু দালালের মাধ্যমে এবং সরাসরি ও টাকা নিতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের কে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাকা আদায় কারী রা কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে ট্রাকের চালকরা জানিয়েছেন যেহেতু আমরা ফিরতি পথে চলে যাচ্ছি খালি গাড়ি নিয়ে। এখন গাড়িতে যাওয়ার পথে যদি আমরা ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করতে পারি তবে এটা তো আমাদের লাভ। তবে যাত্রী উঠানোর জন্য প্রতিটি স্টপিস এ ৫০০ থেকে পনেরশো টাকা লোড খরচ এবং রাস্তাঘাটে থাকা আরও পুলিশ সদস্যদের ঘাটে ঘাটে টাকা দেয়ার পরও আমাদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেঁচে যায়। তাই পুলিশকে টাকা দিয়েই আমরা যাত্রী পরিবহন করছি।