সাভারে পারিবারিক দ্বন্দ্বে আপন খালুর হাতে প্রাণ গেল আট বছর বয়সী শিশু রাজিয়ার।

Loading

বিপ্লব,সাভার:নিখোঁজের তিন দিন পরে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির খুনিকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নিখোঁজের তিনদিন পর সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া রাজাঘাট এলাকার একটি বিলের কচুরিপানার মধ্যে থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গেল ৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার রাজাঘাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে রাজিয়া সুলতানা নামের আট বছরের ওই শিশু নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা সাভার মডেল থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি করলে পুলিশ শিশুটির আপন খালু নাজমুল মিয়াকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। কিন্তু শিশুটির আপন খালু কোনোভাবেই শিশুটিকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে শিকার করেননি।

পরে আজ ভোর রাতে শিশুটিকে হত্যার কথা শিকার করে নাজমুল। পরে তাকে নিয়ে আজ ভোর রাতে তরফ রাজাঘাট এলাকার একটি বিলের কচুরী পানার নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটি পূর্ব শক্রুতার জের ধরে পানিতে চুবিয়ে তিনি হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। শিশুটিকে হত্যা করায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে শিশুটির পরিবার।

এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই শিশুর বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার হুলাশুগ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে। সে বাবা মার সাথে রাজাঘাট এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। শিশুটির হত্যাকারী একটি গার্মেন্টস চাকরি করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।