সিংগাইরের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৭

Loading

স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার জামির্তা ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২ ফেব্রুয়ারী জামির্তা ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা ও আলী হোসেন মেম্বারের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে ডাউটিয়া বাজার সংলগ্ন একটি জমিতে জোবেদা আক্তার ঘর নির্মাণ করতে গেলে ওই একই এলাকার আমজাদ হোসেন ঘর
নির্মাণ কাজে বাধা দেন, তাতেই সংঘর্ষের সৃষ্টি সৃষ্টি হয়।

জোবেদা আক্তারের দাবি তিনি তার জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ করেই স্থানীয় আমজাদ হোসেন ও তার ভাই বাদশা তাদেরকে জমিতে কাজ করতে বাধা দেন এবং জামির্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা ও স্থানীয় মেম্বার আলী হোসেনের সামনেই অতর্কিত হামলা চালান সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন (৪০) তার ভাই বাদশা মিয়া(৫৮) পিতা-মৃত: হাসেম, একই এলাকার সেলিম (৩০) পিতা:ইসলাম,শাহিনুর রহমান সেন্টু(৪০), পিতা:মৃত তোফাজ্জল হোসেন (টেপা), মামুন(৩৫), পিতা:মৃত আবুল কালাম সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ।

হামলায় জোবেদা আক্তার সহ ছেলে জয় (২৪) , দিপু (২৫), ভাই আলতাফ হোসেন (৫০), জয়ের বন্ধু কামরুল (২৫),ও মাতা আমেনা খাতুন (৬০) গুরুতর আহত হয় । এরপর স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ভুক্তভোগী জুবেদা আক্তার আরো বলেন, এরা বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে জামির্তা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবত জমি দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন, তারা জামির্তা ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী , তাদের কারো কোন নিজস্ব ব্যবসা নেই, শুধুমাত্র জামির্তা ইউনিয়নে বিভিন্ন লোকদের জমি দখল , চাঁদাবাজি,বিচার সালিশ করে টাকা নেয়া,সন্ত্রাসী কার্যক্রম তাদের উপার্জনের একমাত্র রাস্তা । তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে এই সন্ত্রাসী বাহিনী তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে করে আসছিলেন, তাই তিনি গত বৃহস্পতিবার ২ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আমজাদ হোসেনের দাবি, জোবেদা যে জমিতে ঘর নির্মাণ করছিলেন এটা তাদের ক্রয়-কৃত সম্পত্তি । জমিতে ঘর নির্মাণে বাধা দিতে গেলে জোবেদা ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে ও তার ভাই বাদশা মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালালে তারা গুরুতর জখম হয়, তারপর স্থানীয়রা আমজাদ হোসেন ও তার ভাই বাদশা মিয়া কে উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়া কে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠিয়ে দেন ।

এ বিষয়ে জামির্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লাকে 01787588360 নাম্বারে বারবার কল দিলেও তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি। তবে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করলেন স্থানীয় মেম্বার আলী হোসেন।

এ বিষয়ে সিংগাইর থানায় জোবেদা আক্তারের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

তবে এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান, অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে ।