সিংগাইরের বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ
সিঙ্গাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
কোন ধরনের দরপত্র ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই একের পর এক গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। গত তিন মাসে বিদ্যালয়ের প্রায় ৪০/৫০টি গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে শিক্ষকদের দাবি গাছ কেটে বিদ্যালয়ের দড়জা-জানালা তৈরি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ে শতাধিক মেহগনির গাছ রোপন করা হয় প্রায় ৩০ বছর আগে। গাছগুলো বেশ বড় আকৃতি হওয়ায় নজরে আসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাহ হোসেনের। বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই প্রতি নিয়ত গাছগুলো কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
গত তিন মাস ধরে ৫/৭টি করে প্রায় ৪০/৫০টি মেহগনি গাছ কাটার সত্যাত্য পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। কয়েকটি গাছ দিয়ে বিদ্যালয়ের কিছু দড়জা-জানালা বানালেও বাকি গাছগুলো অন্যত্রে বিক্রি করা অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র রুবেল খান বলেন, প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেস করে দড়জা-জনালা বানানোর নাম করে প্রায় ১০ লাখ টাকার গাছ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট ও কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও মোটা অঙ্কের টাকা বানিজ্য করেন বিল্লাল হোসেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান হিরু বলেন, পরিবেশ, বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা বেআইনি। এবিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেনের অফিসে দুই দিন গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, ভালো কাজ করলে কিছুটা অনিয়ম করতেই হয়। বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি নিতে গেলে বছরের পর বছর ঘুরতে হতো। তাই একটি রেজুলেশন করে গাছগুলো কেটে বিদ্যালয়ের ভাঙ্গা দরজা-জানালা মেরামত করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির আহ্বায়ক (ইউপ চেয়ারম্যান) দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু বলেন, এবিষয় আমি মোবাইলে কথা বলতে চাইনা। আমার অফিসে এসে সরাসরি কথা বলুন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। অফিসিয়াল অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এবিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।