সিংগাইরে সন্ত্রাসী রাজু শেখের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

Loading

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিংগাইরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজু শেখ নামের এক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শুক্রবার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে সিংগাইর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- ঢাকার সাভারের উত্তর চাপাইন এলাকার রাজু শেখ, সিঙ্গাইরের নয়াপাড়া গ্রামের আবুল হাশেম, জসিম উদ্দিন, রাজিব হোসেন এবং শ্যামল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি কেনা বেচা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী প্রিয়ারজান বেগমের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল এই জাকির হোসেনের।

আর সন্ত্রাসী রাজু শেখ পিয়ার জানের মেয়ের স্বামী বলে জানান স্থানীয়রা।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর এই সন্ত্রাসী রাজু শেখ রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে হামলা চালিয়ে ছিল জাকির হোসেনের ফার্নিচারের কারখানা সহ তিনটি বসত বাড়িতে, এই সময় লুটপাট সহ ঘরবাড়ি ও জাকির হোসেনের কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় নারীসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

ওই চাঞ্চল্যকর ওই ডাকাতির ঘটনায় ১২-১৪জনের নামে মামলা মামলা হয়। তাতে অনেকে গ্রেফতার হলেও এই সন্ত্রাসী রাজু শেখ কে গ্রেফতার করতে পারেননি থানা পুলিশ।

তারি বিরোধের জেরে, বৃহস্পতিবার সিংগাইরের ভূমদক্ষিণ এলাকা থেকে জাকিরকে কৌশলে জোরপূর্বক প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যান আসামিরা। অপহরণকারীরা তাকে প্রাইভেটকারে করে ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে বেদম মারধর করেন। এ সময় সন্ত্রাসী অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এতে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন রাজি না হলে, অপহরণকারীরা তাকে আবারও হাত পা চোখ বেঁধে বেদম মারধর করে। এরপর তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা নিয়ে নেন অপহরণকারীরা। পরে জাকির হোসেন তার নিজের ভাইয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের বিকাশ নম্বরে ১৭ হাজার টাকা পাঠান। পরে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেন।

এছাড়া সন্ত্রাসী রাজু শেখের বিরুদ্ধে নারী চক্র দিয়ে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীকে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে।

তবে স্থানীয়দের দাবি, রাজু শেখকে যদি আগের মামলা গ্রেপ্তার করা হতো তাহলে এমন ঘটনার পুনাবৃত্তি হতো না।

সিংগাইর থানার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি এ ঘটনায় মামলার হয়েছে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াধীন ।