“হেল্পলাইন ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে মুক্তি মিললো কিশোরের”

Loading

নিজস্ব প্রতিবেদন :করোনাভাইরাসের মহামারি পাল্টে দিচ্ছে পৃথিবীর নিয়ম। একের পর এক দেশে সংক্রমিত হতে হতে এই ভাইরাসের মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবী জুড়ে। প্রাণঘাতি ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে দেশের সকল অফিস-আদালত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।তবে, এই ক্রান্তিকালীন সময়ে অসহায় শ্রমিক, ভাড়াটিয়া, কারাবন্দী, পারিবারিক সহিংতার শিকার অসহায় নারী, ত্রাণের জন্য দুঃস্থ ব্যক্তি – প্রত্যেকের আস্থার জায়গা সরকারের এই জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০। প্রত্যেক নাগরিক যেন ঘরে বসে যেকোন আইনগত প্রয়োজনে আইনগত পরামর্শ বা তথ্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ২৪ ঘন্টা চালু রাখছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

কলসেন্টার কার্যক্রম মনিটরিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ( সিনিয়র সহকারী জজ) মাসুদা ইয়াসমিন জানান, যেকোন নাগরিক ১৬৪৩০ নম্বরে অথবা ঘধঃরড়হধষ খবমধষ অরফ ঝবৎারপবং ঙৎমধহরুধঃরড়হ পেইজটিতে তার আই্নগত সমস্যার পরামর্শ চাইতে পারে।

গত ১৪ ই এপ্রিল ২০২০ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দিলারা খাতুন নামে এক নারী ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন দিয়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে জানান, তার ১৪ বছর বয়সী সন্তান জীবন মিয়া গাজীপুর জেলে (গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র) আটক আছে।

দুইমাস আগে জামিন পেলেও এখনও কিশোরটি আটক। বিষয়টি কলসেন্টার কার্যক্রম মনিটরিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ( সিনিয়র সহকারী জজ) মাসুদা ইয়াসমিনের নজরে আসলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে হবিগঞ্জ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসারের সাথে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যোগাযোগ করেন।

জানা যায়, কিশোর জীবন মিয়া এক মাস আগে শিশু আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও সংশ্লিষ্ট জিআরও কাস্টডি ওয়ারেন্টে ভুল থাকায় মুক্তি মেলেনি তার। পরবর্তীতে সংশোধিত কাগজাদী পাঠানো হলেও করোনা পরিস্থিতিতে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র জামিন সংক্রান্ত কাগজাদী পায়নি। গত ১৯ শে এপ্রিল ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে কিশোর জীবন মিয়ার পিতা এবং আইনজীবী সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গাজীপুর উন্নয়ন কেন্দ্রে যাবার পর পুনরায় বাধাগ্রস্থ হলে তারা কল সেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে।

কলসেন্টার থেকে এ বিষয়ে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কাগজপত্র বুঝে নেয়। অবশেষে জামিন প্রাপ্তির প্রায় একমাস পর মুক্তি মিলে কিশোর জীবন মিয়ার।