(সাভারের আশুলিয়ায় এক সপ্তাহে পৃথক তিনটি ধর্ষণের মামলা:আসামী সৎ বাবা ও চাচা )
নিজস্ব প্রতিবেদক ;
গেল এক সপ্তাহায় সাভারের আশুলিয়ায় শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে আশুলিয়া থানায়। দুটি মামলায় আসামী ভুক্তভোগীদের সৎ বাবা অপর মামলায় আসামী চাচা। এরই মধ্যে দুটি মামলার আসামী গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ধরনের ঘটনায় উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা। সচেতন মহল বলছে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা।
আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় ৪০ বছর বয়সী শাবলু মাদবরকে। ১৪ বছর বয়সী সৎ মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় উত্তেজিত জনতার রোষানলে পরে শাবলু মাদবর।
গেল ৫ বছর আগে শাবলু মাদবরকে বিয়ে করেন ভুক্তভোগীর মা। এরপর থেকে শাবলু মাদবরকে নিয়ে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ১ম পক্ষের ২ মেয়েসহ ভাড়া বাসায় থাকেন। ভুক্তভোগীর মা পোশাক কারখানায় কাজে বের হয়ে গেলে সৎ বাবার ধর্ষনের শিকার হয় ভুক্তভোগী কিশোরী। ভুক্তভোগীর অভিযোগ প্রায় ১ বছর ধরে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করা হয় ভুক্তভোগীকে।
এর আগে গত ১২ মার্চ আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত লুৎফর রহমান।
অপর দিকে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকায় বাবার মামাতো ভাইয়ের দ্বারা ধর্ষনের শিকার হয় ৮ বছরের এক শিশু। এ ঘটনায় ১১ মার্চ মামলা দায়েরের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত রাসেল।
এসব ঘটনায় উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনের কঠোর প্রয়োগ দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধের মতো নানা কর্মসুচি পালন করে শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা। তাদের দাবি অপরাধীদের উপযুক্ত বিচারের। তবুও যেন লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না ঘৃণিত ধর্ষকদের।
এ ধরনের বিকৃত মানসিকতা ও মানবিক অবক্ষয় রোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলার আসামী গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর মামলার আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।