সাভারে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ পালিত ( ভিডিও )

Loading

বিপ্লব, সাভারঃ সাভারে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ পালিত হয়েছে । রবিবার সকালে , ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ সাভার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ।

এছাড়াও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।

এসময় সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজীব  বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাত্র ১৭ মিনিটের যুগান্তকারী ভাষণের স্মারক হিসেবে দিনটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রস্তুত করেছিলেন।

উক্ত সময়ে ঢাকা জেলা উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইম মোল্লা নেতৃতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ,সাভার থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রণজিৎ সাহা, সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ আরিফ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক টিপু সুলতান, সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রতন সাহা, সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ লিটন, প্রচার সম্পাদক জাবেদ হোসেন, সহ গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মুক্তার হোসেন আলম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাসির আলী মাহাবুব, সাভার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ খান সজিব সহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতাকর্মী ।

এসময় ঢাকা জেলা উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইম মোল্লা বলেন ,ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা গৌরবের এক অনন্য দিন। ৫০ বছর আগের এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে গর্জে উঠেছিল উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী স্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত পত করে উড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা।

শপথের লক্ষ বজ্র মুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার উপর। অগ্নিঝরা সেই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহতী কাব্যের কবি হয়ে এলেন বঙ্গবন্ধু। তার বজ্রকণ্ঠের নিনাদে বাংলার আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হলো স্বাধীনতার ঘোষণা।