কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের নির্বাচনী শেষ জনসভায় আসার পথে ধানের শীষের মিছিলে লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জনসভায় আসার পথে অন্তত পাঁচটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল জানান, শেষ নির্বাচনী জনসভা ছিল শহরের শহীদ সরণির দলীয় কার্যালয়ের সামনে। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেয় ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের পাহাড়তলি এলাকা থেকে একটি মিছিল জনসভায় যোগ দিতে আসার পথে কালুর দোকান এলাকায় পৌঁছালে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীরা বাধা দিলে গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান বলেন, একইভাবে শহরের কলাতলী, বাস টার্মিনাল, খুরুশকুল ব্রিজ এলাকা ও পিএমখালীর নয়াপাড়া এলাকায় ধানের শীষের মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় আটজনকে আটক করা হয়। আমাদের জনসভাকে কেন্দ্র করে শহরের খুরুশকুল ব্রিজ এলাকার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তখন গুলি বর্ষণ করে পুলিশ।
নির্বাচনী মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ ও হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাজল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের জনসভায় আসার পথে আওয়ামী লীগ হামলা করেনি, অথচ হামলা করেছে পুলিশ। যেন পুলিশই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। পুলিশের এমন আচরণ বেআইনি এবং তাদের পোশাকের শপথ ভঙ্গের সামিল।
ধানের শীষের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণের বিষয়ে জানতে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। বিষয়টি জানিয়ে তার মোবাইলে এসএমএস পাঠালেও রিপ্লে দেননি তিনি।