রাঙ্গুনিয়ার দুই বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত

Loading

এম.মতিন চট্টগ্রাম:চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আলমশাহ পাড়া হযরত খাদিজা (রাঃ) বালিকা মাদ্রাসা ও গজালিয়া আছাদিয়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় আলমশাহ পাড়াস্থ হযরত খাদিজা (রাঃ) বালিকা মাদ্রাসার ক্যাম্পাস ও স্কুল চত্বরে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মো. খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম নিজামী ও অভিভাবক প্রতিনিধি কাঞ্চন মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী।

উদ্বোধক ছিলেন লালানগর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, জসিম উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মীর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদার, মীর গোলাম মোস্তফা বাবুল, কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও আতাউল গণি ওসমানী বলেন, প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা যদি শিক্ষিত হও, তাহলে আমাদের নেক্সট জেনারেশন শিক্ষিত হবে। তাই যত বাঁধাই আসুক, তোমরা পড়াশোনা করবে, পড়াশোনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নায়নের বড় কারিগর হচ্ছে মেয়েরা।

তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বেগম রোকেয়া’র লেখা বইগুলো পড়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বেগম রোকেয়া ১৮০০ সালে বলে গেছেন যে, ‘স্বাধীনতা মানে পোষাকের স্বাধীনতার নয়, আমাদের চিন্তা-চেতনা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।’ অতএব, পোষাকের স্বাধীনতা কোন বিষয় নয়, এটা হচ্ছে শালীনতা। তাই আমরা শালীন পোষাক পরিধান করবো।

তিনি বলেন, মেয়েরা তোমাদেরকে যদি কেউ ইভটিজিং করে, তাহলে তোমরা সরাসরি ৯৯৯-এ ওসি ও ৩৩৩-তে কল করে ইউএনও কে জানাবে। আর শিক্ষকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, মেয়েদেরকে সঠিক শিক্ষাটা দিবেন।

এদিকে দুপুর ১টায় লালানগর ইউনিয়নের ১৫নং গজালিয়া আছাদিয়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের সভাপতি মো. আলমগীর চৌধুরী।

শিক্ষক নোমান জাভিদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন তালুকদার।

উদ্বোধক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদার ও প্রধান বক্তা ছিলেন তাসলিম উদ্দিন।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মীর গোলাম মোস্তফা বাবুল, মো. ইয়াকুব, বাবু উজ্জ্বল কান্তি দে, মো. এমজাদ, নুরনবী কোং, নাজিম উদ্দীন মেম্বার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নবীয়া বেগম।

আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবী চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সবিতা বিশ্বাস।

প্রধান অতিথি জসিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। নিয়মিত খেলাধুলা করলে কোন শিক্ষার্থী মাদকসেবী হতে পারে না। একজন ক্রীড়াবিদ দেশের সম্পদ। সরকার শিক্ষার পাশাপশি খেলাধুলারও সমান সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে।

এ সময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।