রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধসহ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটা, ময়দা ও সুজি দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে বাজারে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে।
যে ওষুধ মানুষের জীবন বাঁচায়, সেগুলোই হয়ে উঠছে মৃত্যুর কারণ। ওষুধের পরিবর্তে আটা, ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজেই আসার কথা নয়।
অথচ ওষুধের নামে এসব জিনিসই সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে চক্র। সম্প্রতি এমনই প্রায় ৫ লাখ পিস নকল ওষুধসহ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করছে ডিবি। চক্রটি প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর যাবত ভেজাল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কারবার করে আসছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
ডিএমপির ডিবি প্রধান সোমবার (১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে জানান, ময়দা ও সুজিসহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে চক্রটি নকল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরি করছিল। আবু বকর নামে একজন এটা তৈরি করে দিয়ে দিতেন শহীদুল নামে আরেকজনের কাছে। শহীদুল ওই ওষুধ বরিশালে গুদামজাত করতেন। এরপর সেখান থেকে সারা দেশে তারা বাজারজাত করতেন। শুধু গোডাউন থেকেই ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ভেজাল ওষুধের কারবারে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক কোম্পনির সঙ্গে কিছু বিক্রয়কর্মীও জড়িত জানিয়ে হারুন অর রশিদ বলেন,
কিছু বিক্রয়কর্মীও এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন।