নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে রাতের আঁধারে প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা ব্যক্তি মালিকাধীন জমির সীমান প্রাচীর ভাংচুর করে ভালু ভরাটসহ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে নুরানী কনসট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী জমির মালিক মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (১৫৪৩৮/২০২২) দায়েরসহ সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও বন্ধ হয়নি নির্মান কাজ।
তাই বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার বিলামালিয়া মৌজায় অবস্থিত ওই জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক লাগোয়া জমিতে ঢুকতেই তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক মিটারসহ দুটি গ্যাস সংযোগ রয়েছে। যেখানে বেশ কয়েক বছর আগে রাবার রোল ইন্ড্রাস্টিজ ছিলো।
অভিযোগ উঠেছে রাতের আধাঁরে জমিটির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে দুই একর জমিতে বালু ভরাট করে স্থাপনা নির্মান কাজ চলমান রেখেছে নুরানী কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। প্রায় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী দিয়ে দিনে-রাতে সমানে তরিঘরি করে এই নির্মানকাজ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জমির মালিকদের।
জমির মালিক হাজী সাজ্জাদ হোসেন রাজধানী টেলিভিশনকে জানান, প্রায় ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় হঠাৎ রাতের আধাঁরে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে দুই একর জমিতে বালু ভরাট করে একটি চক্র। এঘটনায় আমারা মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (১৫৪৩৮/২০২২) দায়ের করেছি।
কিন্তু চক্রটি আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জোরপূর্চক নির্মান কাজ চালাচ্ছে। এঘটনায় আমরা সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং আগের চেয়ে অধিক লোকবল নিয়ে দিনে-রাতে সমানে কাজ করে যাচ্ছে নুরানাী কনস্ট্রাকশন। বালু ভরাটের সময় আমরা তাদের বাঁধা প্রদান করেছি। কিন্তু তারা আমাদের বাঁধা অমান্য করে কাজ করছে।
জোরপূর্বক কাজ করার অভিযোগের বিষে জানত চাইলে নুরানী কনস্ট্রাকশনের সাইট ম্যানেজার খোরশেদ আলম খোকন বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর আমাদের কাজ করার ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী এখানে ভবন নির্মানের কাজ করছি। জমিটি নিয়ে আদালতের রিট হলেও আমাদেরকে কাজ করতে বলেছে ইঞ্জিনিয়ার সবুজ। আইনের উর্দ্ধে কেউ না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর আমাদের কাজ বন্ধ করতে বললে আমরা কাজ বন্ধ রাখবো।
নির্মান কাজের দায়িত্বে থাকা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সবুজ বলেন, ডিসি অফিস থেকে পিডি অফিসে জমিটিতে স্কুল নির্মানের জন্য বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পিডি অফিস এসে আমাদেরকে জমিটি মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর আমার নির্মান কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করি। এটা কার জমি, কিভাবে একর করা হয়েছে, জমিতে কোন রিট এবং মামলা রয়েছে কিনা সেটা আমাদের জানা নাই। এবিষয়ে কেউ আমারদের সাথে যোগাযোগও করেনি। জমি নিয়ে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে ডিসি অফিসে কথা বলেন।
এব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত ঢাকা জেলা প্রশাসক (এল.এ) পারভেজ চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি। কখন কল করলে কথা বলা যাবে জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলে লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে আবারও চেষ্টা করা হলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।