মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানায় এক তরুণীকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
তারা হলেন (এস আই) মোঃ সেকেন্দার হোসেন এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম।তাদের দুই জনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (১০ ফ্রেরুয়ারী) বেলা ১২ ঘটিকার সময় মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ রিফাত হোসেনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।
লিখিত অভিযোগে তরুণী দাবি করে, তার এক খালা সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ সেকেন্দার হোসেনের কাছে দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পায়। ঐ টাকা আনতে গত বুধবার (৬ ফ্রেরুয়ারী) বিকাল ৫ঘটিকার সময় খালার সাথে সাটুরিয়া থানায় যায়। কৌশলে এস আই সেকেন্দার খালা ও বোনজিকে নিয়ে সাটুরিয়া ডাক বাংলায় নিয়ে গিয়ে তাদের দুইজনকে রোমের ভিতরে আটকে রেখে এস আই সেকেন্দার ও এ এস আই মাজহারুল দুইজনে মিলে বোনজিকে আলাদা ঘরে নিয়ে অস্ত্রের মুখে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। পরে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে দুই পুলিশ কর্মকর্তা।পরে গত শুক্রবার (৮ ফ্রেরুয়ারী) সকাল পর্যন্ত আটকে রেখে দুপুরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে এস আই সেকেন্দার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যাইনি।
এই ব্যাপারে এসপি রিফাত হোসেন বলেন,ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।তার আগ পর্যন্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রাখার নির্দেশ দেন।