রাজশাহী জেলার আট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে দুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত। অপর ছয়জন জিতে এলেন ভোটের মাঠে লড়াই করে।
আজ রবিবার অনুষ্ঠিত ভোটে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- গোদাগাড়ীতে জাহাঙ্গীর আলম, তানোরে লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, পুঠিয়ায় জিএম হিরা বাচ্চু, বাগমারায় অনিল কুমার সরকার, দুর্গাপুরে নজরুল ইসলাম ও চারঘাটে ফকরুল ইসলাম।
আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন বাঘায় লায়েব উদ্দিন লাভলু ও মোহনপুরে আবদুস সালাম।
বেসরকারি ফলাফলে চারঘাটে নৌকার প্রার্থী ফকরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী টিপু সুলতান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪০১।
পুঠিয়ায় নৌকার প্রার্থী জিএম হিরা বাচ্চু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আনসার আলী লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৪৩ ভোট।
তানোরে আওয়ামী লীগের লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২২ ভোট। মাত্র ৩৫৪ ভোট কম পেয়ে ময়নার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৬৬ ভোট।
বাগমারায় নৌকার প্রার্থী অনিল কুমার সরকার পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ ভোট।
গোদাগাড়ীতে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বদিউজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২১ ভোট।
দুর্গাপুর উপজেলায় নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৪৯ ভোট।
পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফায় রাজশাহীর নয় উপজেলার মধ্যে শুধু পবা উপজেলায় নির্বাচন হলো না। পবার নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সীমানা জটিলতায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেখানকার নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।
রাজশাহীতে ভোট হওয়া আট উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ৫২২টি। আর ভোটার ছিলেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৫ জন।