মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোলে প্রথমবারের মত অবৈধভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ২০০ কেজি পাউডার ভায়াগ্রা চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউজ।
বুধবার(২৪/০৭/১৯)তারিখ এক প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বেনাপোল কাস্টম ক্লাব এ অনুষ্ঠিত এই প্রেসব্রিফিং এর নেতৃত্ব দেন বেনাপোল কাস্টম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী। উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, চালানটি ধরাপড়ার কিছুদিন আগে অসাধু একটি চক্রের অবাধে আমদানিযোগ্য পন্যের আড়ালে অপঘোষনার মাধ্যমে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে ভায়াগ্রা আসবে এমন একটি গোপন সংবাদ আমার কাছে এসে পৌছে। সে আলোকে সন্দেহজনক কতিপয় পন্য চালান এ দপ্তরের সতর্ক নজর দারীতে রাখা হয়। এ সন্দেহের তালিকার শীর্ষে ছিল “ফ্লেভার” ঘোষনায় আমদানিকৃত একটি পন্য চালান। চালানটি’র বিবরনীতে দেখা যায়।
দশটি অপঘোষিত পণ্য পাওয়া গেলেও এটিকে স্বাভাবিক আমদানিযোগ্য পণ্যের চালানই মনে হয়েছে। মূলত, বৈধ পণ্যের আড়ালে আমদানিযোগ্য পণ্য অপঘোষণা দিয়ে অপঘোষণার জরিমানা ও শুল্ককর পরিশোধের দোহাই দিয়ে কাস্টমস কর্মকতাদের বোকা বানিয়ে পাউডার ভায়াগ্রা পাচারের অপচেষ্টা করে।পরীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়ার পর গোপন সংবাদ দাতা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য তাগিদ দেন। তোলা হয় “ফ্লেভার” ও পাউডার জাতীয় পন্যের প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা।অধিক সতর্কতার জন্য কাস্টম হাউসের নিজস্ব অত্যাধুনিক ল্যাবে রমন স্পেক্ট্রোমিটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।
সতর্ক পরীক্ষা শেষে ফ্লেভার সঠিক পাওয়া গেলেও ২০০ কেজি পাউডার পরীক্ষায় ভায়াগ্রার উপাদান আছে বলে সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক আকস্মিক দাবী করেন। একাধিকবার পরীক্ষা করেও একই ফলাফল পেয়ে রিপোর্ট দেন। ডঈঙ প্রদত্ত সেই রমন স্পেক্ট্রোমিটারের পরীক্ষায় ঠেকে যায় ভারত থেকে খাবারের ফ্লেভারের আড়ালে আমদানিকৃত আলোচ্য পাউডার ভায়াগ্রা।
চালানটির আমদানিকারক ও খালাসের কাজে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজ কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।ফলে সাময়িক ভাবে সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টার প্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।