25 C
Dhaka, BD
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

Oplus_0

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই গৃহবধুর নাম কুলসুম আক্তার (৩০) তিনি ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার মো. ইয়ার হোসেনের স্ত্রী।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের শাশুড়ি সুর্য বানু (৪৫), ভাসুরের মেয়ে ইয়াছমিন (১৯) ও শ্বশুর আয়নাল পাগলা (৫৫) ও নিহতের নানী শাশুড়ী আমিনা (৬০)।

মামলার বাদী ও নিহতের ভাই ইকবাল হোসেন বলেন, আজ সকালে আমার বোনের পালিত মুরগী তার শাশুড়ির রুটি বানানোর আটা খেয়ে ফেলে। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বোনের শাশুড়ী, শশুড়, নানী শাশুড়ী, ভাশুরের মেয়ে মিলে আমার বোনকে প্রচন্ড মারধর করে এবং ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আমার বোনটাকে মেরে ফেলেছে। এসময় আমার বোনের জামাই তাদের বাধা দিলে তাকেও আসামীরা মারধর করে। আমি এই খুনিদের বিচার চাই।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের নানি শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাশাপাশি অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটিপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী-এখনো চলছে তার দুর্নীতি

Oplus_0

আবুল কালাম আজাদ: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই দুর্নীতি আর অনিয়ম করলেও বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষে আছেন এফবিসিসিআই, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেসিএক্স ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড জেসিএক্স বিজনেস টাওয়ারের ইকবাল হোসেন চৌধুরী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়া যাওয়ার পরও তিনি বর্তমানে দেশে থেকেই তার দুর্নীতি অনিয়ম কর্মকান্ড ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন তার বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে। এই দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে আবারো প্রতিষ্ঠা করতে ব্যয় করছেন কোটি কোটি টাকা।
পেশায় তিনি একজন ব্রোকার হলেও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি ক্রয় বিক্রয় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এমনকি জমি বিক্রির পর বিকৃত সম্পত্তি মালিক কে না বুঝায়ি আবার নিজের দখলে নেয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন যেসব মালিকেরা তাদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেও তারা সেই সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছেন না। এমনকি সম্পত্তিতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ঘরবাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

ইকবাল হোসেন চৌধুরী তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা ইকবাল হোসেন চৌধুরীর নামে ভয়ে মুখ খুলতে ও চাচ্ছেন না।

গেল ৮ জুলাই তারিখে, ১৯৬ জন সফর সঙ্গী নিয়ে চীন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শূন্য হাতে তিনি দেশে ফিরেছেন। চীনের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন। ১ বিলিয়ন ইয়ানের আশ্বাস পেয়েছেন। ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়ে খালি ঝুড়ি নিয়ে ফ্রি ছিলেন তিনি, ‘এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তালিকা অনুযায়ী ইকবাল হোসেন চৌধুরী ১২৩ নাম্বার যাত্রী হিসেবে সফর সঙ্গী ছিলেন।

প্রশ্ন হলো একজন দালাল কিভাবে প্রধানমন্ত্রী সফর সঙ্গী হলেন? আর তিনি এখনো কিভাবে তার আধিপত্য বিস্তার করে আছেন? শুধু তাই নয় জানা যায় তিনি বসুন্ধরাতে যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জমি বেচাকেনা করেছেন তার মূল হোতা এই ইকবাল হোসেন চৌধুরী । তার দাপটে ও সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কোনো সংবাদ কর্মীর কাছে মুখ খুলতে রাজি নন ভুক্তভোগীরা ,’তবে এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন চৌধুরীর এক সময়ের পার্টনার ব্যবসায়ী জানান, বসুন্ধরা এলাকায় কোন জমি ক্রয় করলে একটি ছাড়-বা অনুমোদন পত্রের প্রয়োজন হয়। যা ইকবাল হোসেন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা যায়। এই ছাড়-বা অনুমোদন পত্র নিতে হলে গুনতে হয় কোটি কোটি টাকা তারপরও মিলছে নাই ছাড়পত্র। ভুক্তভোগীদের দাবি এখনই এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন হাজারো বসুন্ধরাতে ক্রয় কৃত সম্পত্তির মালিকেরা।

আরেক আইটেল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান,প্রতারিত তিনি নিজেও ইকবাল হোসেনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেও পাননি ছার পত্র আর জমি। এখনো তাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দেখানো হচ্ছে ভয় ভিতি।
আরেকজন ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম জানান- আমি জমি ক্রয় করলেও এখনো তা বুঝে পাইনি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে তার ব্যক্তিগত নাম্বার- ০১৭৫৫০৬৬৬৬৬ বারবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি‌।

সিংগাইর উপজেলা প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও-র মত বিনিময় সভা

আবুল কালাম আজাদ (বিপ্লব): মানিকগঞ্জের সিংগাইর নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.কামরুল হাসান সোহাগ সিঙ্গাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সিংগাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক দৈনিক কালের কন্ঠের স্থানীয় প্রতিনিধি মোবারক হোসেন, সদস্য সচিব আজকের পত্রিকার সুজন মোল্লা, সদস্য বাংলাদেশের খবর সাইফুল ইসলাম, বাংলা টিভির রেজাউল করিম, দৈনিক আমাদের সময়ের অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান শামীম, রাজধানী টিভির আবুল কালাম আজাদ (বিপ্লব), আনন্দমেলার মিজানুর রহমান, দৈনিক আমার সংবাদের হাবিবুর রহমান রাজিব, এশিয়ান টিভির ইমরান হোসেন, দৈনিক আলোকিত সকালের অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন সায়েম, জেটিভির আ: গফুর, ঢাকা প্রতিদিনের জসিম উদ্দিন সরকার, আনন্দ টিভির মোশারফ হোসেন মোল্লা, দৈনিক ভোরের বাণীর মো. মামুন হোসাইন, তরুনকণ্ঠের মাহমুদুল হাসান,  দৈনিক সকালের সময়ের মিলন মাহমুদ, মুভি বাংলা টিভির ছানোয়ার হোসেন ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সদ্য যোগদানকারী ইউএনও উপজেলাবাসির সেবা করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাভারে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৯ ধরনের নকল শিশুখাদ্য ২ লক্ষ টাকা জরিমান

ঢাকার সাভারের তেঁতুলঝাড়া ইউনিয়নের হলমার্ক এলাকায় ফরচুন ফুড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ নামের প্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে হ্যালো বেবি উৎপাদন করা ৯ ধরনের ভেজাল শিশুখাদ্য পাওয়া গেছে। এমন অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখটাকা জরিমানা ও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার(৫ অক্টোবর) দুপুরে অভিযানটি পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।

তার সঙ্গে ছিলেন সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।

ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায়, ফরচুন ফুড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্সবিহীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৯ ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করে আসছিল। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, ম্যাংগো ড্রিংকস,  লিচি ড্রিংক, অরেঞ্জ ড্রিংকস। ভায়োলেট কালার ফুড, গ্রিন ফুড কালার, লেমন ইয়েলো ফুড , ইত্যাদি উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাত করে আসছে।

এ ছাড়া, পণ্যের বোতলে লেবেলে উৎপাদন, মেয়াদ, প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা যথাযথভাবে না দেয়া, জেনে বুঝে শিশু খাদ্যে ভেজাল দেয়া, অনুমোদনহীন রং শিশু খাদ্যে মিশ্রণ করা, পণ্যের নকল উৎপাদন করা অপরাধে ২লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফরচুন ফুড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।

ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে আসামীপক্ষের হুমকি, বাদীর সংবাদ সম্মেলন (ভিডিও)

ঢাকার সাভারে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী মা।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ৬ বছর বয়সী ছোট মেয়ে সাভারের রাজাশন এলাকার বর্ণমালা আদর্শ স্কুলে নার্সারিতে পড়ে। গত ৮ জুলাই সকালে আমার মেয়ে স্কুলে যায় পরে ছুটির পর আমি স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে তাকে খুজে না পেলে তার সহপাঠীদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারি অভিযুক্ত ইব্রাহিম স্যার আমার মেয়েকে একটি রুমে নিয়ে গেছে। পরে আমার মেয়ের সহপাঠীদের নিয়ে তাকে খুজতে থাকি একপর্যায়ে স্কুলের বাইরের একটি হোটেলে গিয়ে দেখতে পাই অভিযুক্ত ইব্রাহিম নাস্তা করতেছে আর আমার মেয়ে তার পাশে দাড়িয়ে কান্না করছে পরে আমি ইব্রাহিম স্যারকে এ ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে নানান উল্টাপাল্টা কথা শুনায়। পরে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফিরে দেখতে পাই আমার মেয়ের গাল,গলা ও বুকে কামড়ের দাগ পরে আমি আমার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় ইব্রাহিম স্যার তাকে একটি রুমে আটকে রেখে জোরপূর্বক মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করেছে এবং ধর্ষণ শেষে বাথরুমে নিয়ে তার শরীর ধুঁয়ে দিয়েছে। পরে আমি আমার মেয়েকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসকরা ধর্ষণের আলামত প্রমাণ পেলে ১১ জুলাই আমি সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

কিন্তু এরপর থেকে আসামীর স্বজন এবং বর্ণমালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে এবং আমার স্বামীকে মামলা তুলে নিতে নানান ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি গত ৫ অক্টোবর সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। জিডি নং-৩৭০.

ঢাকার ধামরাইয়ে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ,চালক নিহত

করেসপন্ডেন্ট,সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে একটি সিএনজি এন্ড রিফুয়েলিং স্টেশনে হাইয়েচ মাইক্রোবাসে সিএনজি নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ফারুক হোসেন (৫০) নামের চালক মারা গেছেন। এঘটনায় আহতের খবর পাওয়া যায় নি।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকার এন এন সিএনজি এন্ড রিফুয়েলিং স্টেশনে এঘটনা ঘটে। এসময় পিছনে থাকা অপর একটি প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফারুক হোসেন ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের ধাইরা এলাকার বাসিন্দা। তিনি রেন্ট এ কারে প্রাইভেটকার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফারুক হোসেন নিজে গাড়ি চালিয়ে সিএনজি গ্যাস ভরানোর জন্য এন এন সিএনজি এন্ড রিফুয়েলিং স্টেশনে আসেন। পরে স্টেশন থেকে গাড়ির সিলিন্ডারে গ্যাসের সংযোগ দেয় স্টেশনের কর্মী। ফারুক হোসেন গাড়ির পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় হঠাৎ গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক ফারুক হোসেন মারা যান।

নিহত ফারুক হোসেনের মেয়ের জামাই শাহনেওয়াজ মাহমুদ বলেন, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আমার শ্বশুর মারা গেছেন। আমরা এখন মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত, আপনাদের পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিটারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিবেট প্রিমিয়ার লীগ “

স্টাফ রিপোর্টার: সাভারের নয়ারহাটে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) -এ আগামী ১ নভেম্বর, ২০২৪ নিটার ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ডিবেট প্রিমিয়ার লীগ (ডিপিএল)- ২৪ এর যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।

ডিপিএল -এ নির্বাচিত টিম সর্বমোট ১৪টি এবং উক্ত টিমগুলোতে অংশগ্রহণকারী মোট ৫৬জন। ১৪টি টিমে ১জন করে মোট ১৪ জন ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন।

গত ১০ই জুলাই, ২০২৪ বিকেল ৪.৩০ মিনিটে ডিপিএল এর অকশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীদের ৪ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছিলো। দীর্ঘ দেড় ঘন্টার অকশন অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হয় এবং প্রতিযোগীদের আগ্রহ ছিলো প্রশংসনীয়। অকশনে সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য ছিলো ২১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্যের বিতার্কিক নির্বাচিত হন তানজিদ মাহমুদ (টিম ওয়ারিয়র্স)। এরপর ২০০ টাকার ভিত্তিমূল্যে বিতার্কিক ছিলেন সিফার হায়দার শিবিব (টিম চেকমেট), ১৮০ টাকার ভিত্তিমূল্যে বিতার্কিক ছিলেন অঙ্কিতা পোদ্দার (আইডিয়া ডমিনেটরস)।

ডিবেট প্রিমিয়ার লীগ (ডিপিএল) এ মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করছে নিটার সাংবাদিক সমিতি (নিসাস), ফটোগ্রাফি পার্টনার হিসেবে থাকছে নিটার ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (এনএফপিএস) এবং শুভেচ্ছা অনুমোদনে থাকছে নিটার গেমস এন্ড স্পোর্টস ক্লাব।

বহুল কাঙ্ক্ষিত এই প্রতিযোগিতায় সকলের কৌতূহল এবং আকর্ষণ প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম হিসেবে বিতর্কে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত এবং ডিবেট প্রিমিয়ার লীগ সফল ও উত্তেজনাপূর্ণভাবে সমাপ্ত হবে বলে তারা আশাবাদী।

আশুলিয়ায় জুয়ার আসর থেকে ১০ জুয়ারি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার আশুলিয়ায় একটি রিকশা গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ১০ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে গেল বুধবার বুধবার রাতে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকার সমশের প্লাজা সংলগ্ন নুরুল আমিন মণ্ডলের মালিকানাধীন রিকশা গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ এবং উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মামুনুর রশিদ, আসলাম শেখ, দবির উদ্দিন ফকির, ছাইদুল ইসলাম, সুমন মোল্লা, অন্তর শেখ, সুরমান মণ্ডল, কায়েস, আব্দুল আলীম ও আফসারুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই রিকশার গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে তারা জুয়া খেলার কথা স্বীকার করেছে।

ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

যানজটে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ নিরসনে জমজ ও সহোদরদের একই স্কুলে ভর্তির দাবি “

Oplus_0

নিজস্ব প্রতিবেদক: যানজটের দিক থেকে রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম শহর। ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন কঠিন থেমনি ব্যায়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। “ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট” এর হিসেব অনুযায়ী দৈনিক প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা ঢাকায় যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে । যার দৈনিক অর্থমূল্য প্রায় ১শ ৩৯ কোটি এবং বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক।

এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মতিঝিলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যমজ ও সহোদর ভাই বোনদের একই স্কুলে শতভাগ ভর্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মো. শাহাদাৎ ঢালী শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে বলা হয়, সহোদর ও জমজ ভাই-বোনদের আলাদা স্কুলে পড়ানোর ফলে তাদের আনা নেয়া করার ক্ষেত্রে প্রচন্ড যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় অভিভাকদের। এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে যাতায়াতে যেমন কর্মঘণ্টা নস্ট হয় তেমনি অতিরিক্ত অর্থ ব্যায়সহ অভিভাবকদের সহ্য করতে হয় অসহনীয় ভেগান্তিতে।

আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সুনাম রক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে যমজ ও সহোদরদের শতভাগ ভর্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালের পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েন অভিভাবক প্রতিনিধিগণ।

শিশুর সার্বিক বিকাশে মূল্যবোধ শিক্ষা

আফসরী খানম (গোহালাকান্দা): মূল্যবোধ হলো এমন একটি বিষয় যা প্রতিটি মানুষ শৈশবকাল থেকেই দীর্ঘদিনের আচার আচরণ, বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে অর্জন করে থাকে। পরিবার হলো শিশুর মুল্যবোধ শিক্ষা অর্জনের ভিত্তি। পারিবারিক গণ্ডির বাইরে শিশুর মূল্যবোধ বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয় বিদ্যালয়ে এসে।

পরিবার ও বিদ্যালয়ের মূল্যবোধের চর্চা শিশুর পরবর্তী জীবনের আদর্শবান, দেশপ্রেমিক ও বিশ্বনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার প্রেরণা যোগায়। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপকল্পটি হলো “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, উৎপাদনমুখী, অভিযোজনে সক্ষম ও সুখী বৈশ্বিক নাগরিক”। বর্তমানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ এর রূপকল্পটিতে শিশুকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ, জাতীয় ইতিহাস সংস্কৃতি লালনকারী সৎ, নৈতিক, মূল্যবোধসম্পন্ন, বিজ্ঞানমনস্ক, দক্ষ, সৃজনশীল, আত্ববিশ্বাসী ও সুখি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা হয়েছে। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুর মধ্যে মূল্যবোধ চর্চার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পাঠ্যবইয়ের বিষয়সমূহের মধ্যে মূল্যবোধ অর্জনে সহায়ক ঘটনা, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি সংযোজন করা হয়েছে। শ্রেণিতে শিশু শুধুমাত্র জ্ঞানই অর্জন করবে না তার পাশাপাশি মূল্যবোধ অর্জনে সহায়ক কার্যাবলীও পাঠপরিকল্পনায় বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে বলা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাক্রমটি নির্দিষ্ট যোগ্যাতার আলোকে এমনভাবে পরিমার্জিত করা হয়েছে যেখানে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশু অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সর্বোত্তম প্রয়োগ ঘটাতে সক্ষম হবে। এখানে উদাহরণসরূপ বলা যায়ঃ একটি গাড়ি কিভাবে চালাতে হয় তা যখন বই পড়ে, দেখে বা শুনে একজন শিক্ষার্থী জানতে পারে তখন তার জ্ঞান অর্জিত হয়।

ঐ শিক্ষার্থী যখন গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশগুলো হাতে কলমে পরিচালনা করতে শিখে অর্থাৎ গাড়ি যখন সামনে পেছেনে ডানে বামে চালাতে পারে, ব্রেক করতে পারে তখন তার দক্ষতা অর্জিত হয়। আর যখন চালিয়ে নিজের ও রাস্তার সকল মানুষ, প্রানী ও সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষা করে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে তখন ঐ শিক্ষার্থীর গাড়ি চালনা বিষয়ে যোগ্যতা অর্জিত হয়। এভাবে বর্তমান পরিমার্জিত শিক্ষক্রম ২০২১ এর মাধ্যমে শিশু জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে বাস্তব জীবনে প্রয়োজনীয় প্রেক্ষাপটে প্রয়োগে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। বর্তমান পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে তাই যোগ্যতার চারটি উপাদান হিসেবে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি মূল্যবোধকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যোগ্যতার ধারণায়নের প্রেরণা হিসেবে উপলব্ধি ও অনুধাবন করে জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও গুণাবলী এই চারটি উপাদানের মধ্যে নিবিড় আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে যোগ্যতার ধারণাকে এই শিক্ষাক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমের রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, ১০টি মূলনীতি, ১০টি মূলযোগ্যতা, ১০টি শিখনক্ষেত্র, বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা, প্রাথমিক স্তরের শিখনক্ষেত্রভিত্তিক যোগ্যতা প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল্যবোধের বিষয়টি বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। শিক্ষাক্রমে মূল্যবোধ চর্চার জন্য যে বিষয়গুলো প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেগুলো হলোঃ সংহতি, দেশপ্রেম, সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা, শ্রদ্ধা,সম্মান, শুদ্ধাচার।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা সমাপনান্তে শিক্ষার্থীর মধ্যে যেসব মানবিক গুণাবলী প্রত্যাশা করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ সততা, পরিশ্রমী, গণতান্ত্রিক, অসম্প্রদায়িক, উদ্যোগী, ইতিবাচক, নান্দনিক, মানবিক, দায়িত্বশীল ও সহমর্মিতা। এছাড়া শিক্ষাক্রমে পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষার্থীর কাঙ্খিত দক্ষতার ক্ষেত্র উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমে দক্ষতা হচ্ছে যোগ্যতার সামগ্রীক ধারণার অংশ যেখানে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ ইত্যাদির অর্জন পারস্পরিক নির্ভরশীল। যেমনঃ জ্ঞান অর্জনের জন্য জ্ঞানগত দক্ষতার প্রয়োজন আবার মূল্যবোধ চর্চার জন্য মনোসামাজিক ও আবেগীক দক্ষতার প্রয়োজন।

একইভাবে ব্যবহারিক দক্ষতা বা আবেগীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন এবং মূল্যবোধ চর্চা জরূরী। বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়ে প্রযুক্তির জ্ঞান শিক্ষার্থীর জন্য যতটা প্রয়োজন সেই সাথে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধের চেতনা গড়ে তোলাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী মূল্যবোধ অর্জনের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে অভিযোজনে সক্ষম হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতের দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আত্বপ্রকাশ করবে এটা আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি।

সর্বশেষ আপডেট...