সব আগাছা-পরগাছা নির্মূল না হওযা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বরিশালে দলের জেলা ও মহানগরের কর্মী সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
গায়েবি ও রাজনৈতিক সব মামলা প্রত্যাহার ফেব্রুয়ারির মধ্যেই : আসিফ নজরুল
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক ও গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি রয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।’
এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে সারা দেশে যত মামলা রয়েছে সব প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আওতায় বিচারপতি নিয়োগে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে ছয় সদস্যের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার এবং আগামী নির্বাচন আয়োজন সাংঘর্ষিক বিষয় হবে না। বিচার কাজের জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে না বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি)
দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় মাদক, চুরি ও জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরশেদুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিম উদ্দিন, সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রহিম, বিজিবি সদস্য কোম্পানি কমান্ডার মোতালেব হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতাউর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মিজানুর রহমান,সেক্রেটারি রজব আলী, পৌর বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান আলী, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন,আবুল কালাম, আবুল কাশেম, আতিকুর রহমান বকুল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা তারেক মাহমুদ প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার সৈকতের জনসমুদ্রে হারানো ৬ শিশুকে খুঁজে দিল পুলিশ
কক্সবাজার প্রতিনিধি ঃ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নোনাজলে মেতেছিলেন ভ্রমণপিপাসুরা। কী নোনাজল কী বালিয়াড়ি, ৩ কিলোমিটার সাগরতীর জুড়ে কানায় কানায় মানুষ। সবখানে বিরাজ করছে আনন্দ-উৎসব। তবে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সৈকতের লাইফগার্ড কর্মীরা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়; শান্ত সাগরে ঢেউয়ের গর্জন, তার মাঝে মানুষের উল্লাস। নোনাজলে সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি টিউবে গা ভাসিয়ে মেতে ওঠা। আর মাঝে মাঝে জেড স্কী করে সমুদ্রের নীল জলরাশি দেখতে ছুটে যাওয়া।
এ তো গেল নোনাজলে মানুষের আনন্দ উৎসব। বালিয়াড়িতেও রয়েছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সুন্দর মুহূর্তটুকু ক্যামেরাবন্দি করে রাখছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ঘুরছেন ঘোড়ার পিঠে কিংবা বিচ বাইকে।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক ইব্রাহীম বলেন, শুক্রবার তো অনেক মানুষ। সাগরতীরে হাঁটার মতোও সুযোগ হচ্ছে না। তবে অনেক পর্যটক হওয়াতে বেশ আনন্দ হচ্ছে আর ভালো লাগছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রুপা হায়দার বলেন, ‘কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময় কক্সবাজার আসা হয়ে ওঠে না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে দুদিনের জন্য কক্সবাজার আসা। কক্সবাজার আসা হয় মূলত মানসিক প্রশান্তির জন্য।’
আরেক পর্যটক রোহান বলেন, ‘শীতকাল চলছে তাই কক্সবাজার ছুটে আসা। এখানে ঘোড়ার পিঠে, বিচ বাইক ও জেড স্কীতে চড়তে এবং ছবি তুলতে বেশ ভালো লাগছে।’পর্যটকের ভিড়ের মাঝে ঘটছে শিশু নিখোঁজের ঘটনাও। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতায় হারিয়ে যাওয়া শিশুদের উদ্ধার করে হস্তান্তর করা হচ্ছে অভিভাবকদের কাছে।
পর্যটক রফিক আহমেদ বলেন, ‘৬ বছরের ছেলেকে তার মায়ের হাতে দিয়ে গোসলে নেমেছিলাম। কিন্তু তার মায়ের হাত থেকে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক পর ছেলেকে ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে অভিযোগ দিতে এসে পেয়েছি।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আসা শিশু সাবিহা (৭), টাঙ্গাইল কাজীপুরের আনিসা অরিন (৭), চট্টগ্রাম ডাবলমুরিংয়ের বিনয়(১১), জিবরান (১১), ঢাকা মোহাম্মাদপুরের আয়েশা সিদ্দিকা (১২) ও শিশু আরাফ (৫) হারিয়ে যায়। পরে তাদের অভিভাবকদের খুঁজে বের করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। হারানো সন্তানদের ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন তাদের অভিভাবকরা। তারা ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
কক্সবাজার রিজিয়নের ট্যুরিস্ট পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, ঘুরতে এসে বিচে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরাও অত্যন্ত খুশি। ছুটির দিনে অধিক পর্যটকের আগমনে আমরাও সচেষ্ট হয়ে কাজ করছি। তবে এখন পর্যটকদেরও সচেতনতার সঙ্গে বাচ্চাদের সঙ্গে রেখে চলাচল করতে হবে। পর্যটকদের সেবায় সর্বদাই আমরা সব ইতিবাচক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব। এদিকে শীত মৌসুমে হঠাৎ করে সাগরে বেড়েছে ঢেউয়ের তীব্রতা। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে লাইফ গার্ড কর্মীরা।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘প্রচুর পর্যটক। সৈকতের শৈবাল থেকে কলাতলী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সৈকতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। যার মধ্যে বেশিভাগই পর্যটক সমুদ্রস্নান করছে। তবে সাগরের ঢেউয়ের তীব্রতা বেশি থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে সতর্ক রয়েছি। টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ, বালিয়াড়ি টহল ও বোট নিয়ে সাগরের নোনাজলে সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে।’
এদিকে বঙ্গোপসাগর হয়ে প্রতিদিনই কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে পর্যটকবাহী ৫টি জাহাজ।
এস আলমের চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চার ব্যাংক থেকেই দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি লুটপাট করেছে এস আলম গ্রুপ। এর মধ্যে শুধু চটপটির দোকান দেখিয়ে ঋণের নামে ২৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে গ্রুপটি। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র।
বিগত সরকারের সুবিধাভোগী গ্রুপটির দুর্নীতির ফিরিস্তি খুঁজতে দুদকের গঠিত টাস্কফোর্সের অনুসন্ধান প্রতিবেনে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর চটপটির দোকান। দেখতে ছোটখাটো হলেও এই প্রতিষ্ঠান ও দুটি রোস্তোরাঁর মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে কমপক্ষে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমি নওরোজ হলেও প্রকৃত অর্থে ঋণের টাকা যায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলমের পকেটে।
এই অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় দুর্নীতিবাজ ধরতে এখনও দুদকের তৎপরতা বাড়েনি।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁর বিপরীতে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমি নওরোজ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে এস আলমের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক মো. সাইফুল আলম মাসুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে উদঘাটিত হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিএফআইইউ থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দুদকের তথ্য বলছে, এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে নামে-বেনামে লুটপাট করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক থেকে এক লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ও ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এসব নিয়ে টাস্কফোর্সের পাশাপাশি দুদকের একাধিক টিম কাজ করছে।
যদিও দুদকের আইন বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম মনে করেন, বড় দুর্নীতিবাজ ধরার ক্ষেত্রের সক্রিয়তায় এখনও ঘাটতি রয়েছে।
মঈদুল ইসলাম বলেন, ‘সেই সময়কার দুদক এটা (এস আলম গ্রুপ) ধরতে পারেনি বা ধরবার চিন্তাই করেনি সরকারি প্রভাব থাকার কারণে। এখন পট পরির্তন হয়ে গেছে। এখনকার সরকার ও বাইরের পরিবেশ সবটাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সে দিক থেকে দুদকের যে তৎপতরা সেই ক্ষিপ্র গতি দেখছি না। দুদক যেন কেমন ঢিলেমি করছে।’
ইতোমধ্যে বন্ধ হওয়া এস আলমের আটটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে দুদক।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কাউন্দিয়া ইউনিয়নে গরীব অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ (ভিডিও)
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সমাজের হতদরিদ্র , অসহায়,গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নে বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে অন্তত দুই হাজারের অধিক হতদরিদ্র, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে ১৭ ই জানুয়ারি ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলাধীন কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদেরর ভা পাঙ্গনে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ কফিল উদ্দিন।
শীতবস্ত্র বিতরণে সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেন।
কম্বল বিতরণের সভাপতিত্ব করেন কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়িক ও সমাজসেবক দেওয়ান আব্দুল হাই কোম্পানি, কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আকতার কবিরাজ বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শীতবস্ত্র পেয়ে শীতার্ত মানুষ এর মুখে দেখা গেছে অন্যরকম খুশি।
খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য সাভারে দোয়া মাহফিল
বিপ্লব ঃ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় এতিমদের মাঝে কম্বল বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে সাভারে।
শুক্রবার বিকেলে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন এর উদ্যোগে ৯ নং ওয়ার্ডের ঝাউচর এলাকায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি হাজী মো: ইন্তাজ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভাকুর্তা ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কদম আলী ভূঁইয়া,কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান রুবেল পাশা,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাস খান,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নং ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি তাইজুল ইসলাম,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নং ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ আলি,বিশিষ্ট দলিল লেখক বশির আহমেদসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বিনামূল্যে শীতবস্ত্র পেয়ে হাসিমুখে ফিরে যান এতিম শিশুরা।
পরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ তার পরিবারের জন্য দোয়া করা হয়।
সাভারে পর্দার আড়ালে চলছে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা (ভিডিও)
স্টাফ রিপোর্টার: সাভারে অসাধু ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা। গাড়ির চোরাই তেলের ব্যবসা করে কয়েক মাসের মাথায় হয়েছেন বিপুল টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন বেশ কয়েকজন চোরাকারবারী। অবৈধ এই ব্যবসার কারণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে পড়েছে এলাকাবাসী।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের যাদুরচরে দীর্ঘদিন ধরে চোরাই তেলের ব্যবসা পরিচালিত হলেও যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ,পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে চলছে এই ব্যবসা। সরে জমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় সেখানে পদ্মার আড়ালে,ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহণের চালকদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে তেল কিনে তা বাজারের নির্ধারিত মূলের কাছাকাছি মূল্যে বিক্রি করে থাকেন ওই তেল চোরাকারবারি। এতে গাড়ির মালিক ও ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান প্রথমে একটি খুচরা তেল বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন চোরাকারবারিরা।
শুরু থেকেই দেশের বড় বড় শিল্প কারখানার পণ্য পরিবহণকারী ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যানের চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন শত শত লিটার তেল পানির দরে কিনতে থাকেন। তবে বিক্রি করেন বাজারমূল্যেই। এভাবে প্রতিদিন এখানে বেচাকেনা হয় হাজার লিটার তেল।
গাড়ি ভেদে ১০, ২০, ৩০, ৪০ ও ৫০ লিটার তেল কেনা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি পরিবহণের মালিক বলেন, পণ্য সরবরাহের জন্য পরিবহণ নিয়ে চালক যখন বের হয় তখন ফুলট্যাংকি তেল দেয়া হয়। রাস্তায় জ্যামে বসে থেকে ও রাস্তা ঘুরে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এসব তেল চোরাকারবারির কাছে অত্যন্ত কমদামে এ তেল বিক্রি করে থাকে চালকরা।
এ ব্যাপারে চোরাই তেলের ব্যবসায়ীরা বলেন, বিপদে পড়ে যদি কেউ গাড়ি থেকে স্বেচ্ছায় তেল বিক্রি করতে চায় তাহলে সেই তেল আমরা কিনে থাকি। তবে কাউকে গাড়ির তেল বিক্রিতে বাধ্য করি না আমরা। এদিকে চোরাই তেল বিক্রির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে রাতে ছুটে যান সেখানকার বিএনপি নেতা মুরাদ হোসেন। এসময় চোরাই তেল কারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা জানিয়েছেন ,বিষয়টি গভীরভাবে ক্ষতিয়ে দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি-দেখার কেউ নেই
মিরপুর প্রতিনিধি : মিরপুর ১ নাম্বার বেড়িবাঁধ এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো কলা গাছ কেটে, ‘গাছ ও বাঁশের আড়ত বানিয়ে দিয়েছেন নামধারী বিএনপি নেতা মাবেল ভূইয়া । এইজন্য দোকান প্রতি অ্যাডভান্স হিসাবে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
গেল ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পরপরই বেরিবাদ এলাকায় চলছে এমন বেপরোয়া চাঁদাবাজি এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভুক্তভোগীরা ।
আর এসব কাজের ‘সহকারি- সহযোগী হিসেবে সর্বক্ষণ সঙ্গে থাকছেন লুলা ইদ্রিস । এই লুলাইদ্রিসের পরিচয় মিরপুরবাসীর কাছে অজানা নয়। তিনি মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন একসময়,’ বর্তমানেও তিনি মাদকের সাথে জড়িত আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এছাড়াও এমপি তুহিনের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন এই লুলা ইদ্রিস। বর্তমানে তাকে দিয়েই এসব সাম্রাজ্য গড়ে তুলছেন নামধারী বিএনপি নেতা মাবেল ভূইয়া । জানা যায়,’ তিনি ঢাকা উত্তর মহানগর শাহ আলী থানার শ্রমিক দলের আহবায়ক।
এছাড়াও বেরিবাধ এলাকায় গাড়ির গ্যারেজ গুলো থেকে তিনি প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যদি কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তবে তাকে গুনতে হয় আরো বেশি মাসোয়ার। কখনো কখনো টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানো ব্যক্তিকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এসব চাঁদাবাজ দের হাত থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী দোকানদাররা।
সিংগাইরে দিনের সাব রেজিস্ট্রারের অফিস চলছে রাতে-ভোগান্তির শেষ নেই ক্রেতা গ্রহীতার (ভিডিও)
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি ক্রেতা ও গ্রহীতা যেন ভোগান্তির শেষ নেই। দিনের বেলা অফিস না করে রাতে অফিস করেন সাব-রেজিস্ট্রার।