খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সিংগাইরে দোয়া মাহফিল
স্টাফ রিপোর্টার :৩ ডিসেম্বর বুধবার , বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ডাওটিয়া বাজারে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জামির্তা ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ও এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল শেষে এতিম ও স্থানীয়দের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ডাওটিয়া বাজার মসজিদের ইমাম আলামিন ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল সামাদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনজুরুল ইসলাম , যুব দলের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, যুবদলের আহ্বায়ক ইমদাদুল হক মিলন, যুবদলের আহবায়ক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এনইআইআর বাস্তবায়নে নয়া বিতর্ক : সুরক্ষার নীতি, ‘নাকি বাজার নিয়ন্ত্রণের ফাঁদ
নিউজ ডেস্ক : এনএআইআর এর মাধ্যমে প্রতিটি হ্যান্ডসেটকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এটি কার্যকরের পর থেকে অননুমোদিত হ্যান্ডসেট দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে না।
চাইলেই একজনের সিমকার্ড খুলে আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। হ্যান্ডসেট হাত বদলের আগে করতে হবে ‘ডি-রেজিস্ট্রেশন’। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। এর জন্য গ্রাহককে কোনো দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, ইমপোর্ট লাইসেন্স থাকলেও, কেউ যদি কোনো ব্র্যান্ডের পণ্য আনতে চায়, তাহলে ঐ ব্র্যান্ড বা তাদের স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের ‘অনুমতি’ (NOC) প্রদানের শর্ত রয়েছে, এমন দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, বাস্তবে ঐ অনুমতি পাওয়া খুব কঠিন, এবং ফলে অনেক পাইকারি বা খুচরা ব্যবসায়ী বাজার থেকে হারিয়ে যাবে।
এই সীমাবদ্ধতা অনুসরণে বাজার কনসেন্ট্রেট হয়ে ছোট একটি সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর মধ্যে চলে আসতে পারে,এমন আশঙ্কা তারা ব্যক্ত করেছেন।
একাধিক ব্যবসায়ী ও পর্যবেক্ষকের বক্তব্যে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে দুইটি বড় প্রশ্ন উঠেছে — প্রথম, NOC ধারাটি কীভাবে প্রয়োগযোগ্য ও স্বচ্ছ হবে; দ্বিতীয়, যদি কেবল কিছু ব্র্যান্ড ও আমদানিকারককেই সুবিধা হয়, তাহলে বাজারে প্রতিযোগিতা কোথায় থাকবে?
এ বিষয়ে নীতিনির্ধারক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে (BTRC) নীতিমালা প্রণয়নের আগে বিস্তৃত স্টেকহোল্ডার পরামর্শ ও বাস্তবভিত্তিক পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিল। তারা আরও বলেন, যে কোনো নীতি যদি বাজারে কয়েকটি বড় প্লেয়ারকে সুবিধা দেয় এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বাজার থেকে উচ্ছেদ করে, তা দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা ও দেশের সার্বিক অর্থনীতির ক্ষতি করবে।
কয়েকজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও প্রশাসক-পরামর্শক জানান, নির্বাচনের আগে বড় ধরনের নিয়ন্ত্রক পরিবর্তন দ্রুত প্রয়োগ করা হলে তা নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে, এবং এমন সিদ্ধান্তগুলোকে রাজনৈতিক প্রসঙ্গে বিশ্লেষণ করা স্বাভাবিক। তারা মনে করিয়ে দেন, নীতিনির্মাণে সময়সীমা, ট্রায়াল-পিরিয়ড ও পর্যায়ক্রমিক প্রয়োগ রাখা হলে বাজার ও নাগরিকদের উপর নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।
সম্ভাব্য সমাধানগত ধাপ (বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব)
* BTRCর এনওসি (NOC) নীতির পরিবর্তে একটি স্বচ্ছ অনুমোদন মেকানিজম চালু করা
* আমদানি শুল্ক ও কর কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রতিবেশী দেশ ও স্থানীয় উৎপাদনকারীদের অনুরুপ প্রতিযোগিতামূলক হার নিশ্চিত করা।
* একটি অন্তর্বর্তী সময়ে, দেশের সকল মোবাইল ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা ও পাবলিক অবজারভেশন পিরিয়ড রাখা।
* ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য বিটিআরসি ইমপোর্ট লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসা।
নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অবস্থান অনুযায়ী, NEIR বাস্তবায়নের লক্ষ্য অ-নিবন্ধিত ও ক্লোন ডিভাইসগুলোর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং ব্যবহারকারীর ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু নীতির প্রয়োগপদ্ধতি ও সময়নির্ধারণের ওপর যদি প্রয়োজনীয় স্টেকহোল্ডার পরামর্শ না নেয়া হয়, তাহলে তা বাজারে অনিশ্চয়তা এবং আর্থিক ক্ষতির কারণে বৃহৎ সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমান সময়েই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে (বিটিআরসি, এনবিআর, বণিক-সমিতি ও ব্যবসায়ী সংগঠন) আন্তঃকর্মযোগ করে দ্রুত আলোচনা আয়োজন করা অনিবার্য মনে করছেন বিশ্লেষকগণ।
একদিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও ডেটা সুরক্ষার যুক্তি, অন্যদিকে ব্যবসা ও প্রতিযোগিতার বাস্তবতা—এই দুই মেরুর টানাপোড়েনে এখন নীতি-নির্ধারণের দিকনির্দেশ নির্ভর করছে সময়োপযোগী সংলাপের ওপর। যদি এখনই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এক টেবিলে না বসে, তাহলে একদিন হয়তো আমরা দেখব—মোবাইলের পর্দায় শুধু নেটওয়ার্ক হারানো নয়, হারিয়ে যাবে বাজারের ভারসাম্যও।
সিংগাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে এসিল্যান্ডের মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা সরকারী কমিশনারের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবেল উদ্দিন ভূমি সংক্রান্ত সেবাকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, ভূমি অফিসের প্রতিটি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও গঠনমূলক পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বেদখল হওয়া খাল ও খাস জমি উদ্ধার, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ও কৃষি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিংগাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক দৈনিক কালের কন্ঠের মোবারক হোসেন, সদস্য সচিব আজকের পত্রিকার সুজন মোল্লা, সদস্য বাংলা টিভির রেজাউল করিম, দৈনিক আমাদের সময়ের অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান শামীম, রাজধানী টিভির আবুল কালাম আজাদ বিপ্লব, শীর্ষ নিউজের জসিম উদ্দিন সরকার ও আনন্দ টিভির মোশারফ হোসেন মোল্লা প্রমূখ।
তারা ভূমি অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি বিভিন্ন সমস্যা, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, ভূমি সংক্রান্ত মামলার দীর্ঘসূত্রতা এবং সেবা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষের হয়রানির বিষয়ে এসিল্যান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় এসিল্যান্ড ভূমি অফিসের বিদ্যমান সমস্যা, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। এসব কাজে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা কারেন তিনি।
এসময় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ আবু সাঈদ, আব্দুল আলিম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য এশিয়ান টিভির ইমরান হোসেন, দৈনিক ভোরের বাণীর মো: মামুন হোসাইন, তরুনকণ্ঠ ও আমার বার্তার মাহমুদুল হাসান, মানিকগঞ্জ দর্পন ও দৈনিক সকালের সময়ের মিলন মাহমুদ, ইনফো বাংলার রুহুল আমিন, দৈনিক মুক্ত খবরের আসলাম হোসেন, মুভি বাংলা টিভির ছানোয়ার হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের আতিকুর রহমান, দৈনিক আলোকিত সকালের সোহেল রানা, নব বাণীর কামরুল হাসান ও ভোরের আওয়াজের সানাউল্লাহ সাকিব উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন
হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: গাজীপুরে সাংবাদিক(দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ) আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব (পুরাতন) এর যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাব সভাপতি আশরাফুল আলম( এশিয়ান টিভি), সম্পাদক খুরশিদ আলম শাওন,(আজকের পত্রিকা), সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিল্পী (কালের কন্ঠ) , সম্পাদক হুমায়ুন কবির (কালবেলা), সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম(ইত্তেফাক) সাবেক সম্পাদক নুরুল হক(উত্তরা), সাবেক সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ(মোহনা টিভি), ও মোবারক আলী(আমার দেশ), সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ(আমাদের সময়), সাবেক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (বায়ান্ন’র আলো) যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব আলম (প্রতিদিনের সংবাদ)
পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন, সাংবাদিক আহাম্মেদ ইসমাম, লেমন সরকার (দৈনিক সকালের সময়), হযরত আলী,নাজমুল হোসেন(আজকের দর্পণ) প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী রজব আলী,পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহাজান আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ ও ছাত্র প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে নিহত সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারিদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি দাবি করেন। এই সাথে তারা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিদাতা ক্যাসিনো ব্যবসায়ী মাসুদ রানা’কে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য রাণীশংকৈল থানা পুলিশের প্রতি জোর দাবি জানান। এজন্য তারা আগামী ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক একে আজাদ।
চুনারুঘাটে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৫৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় সেনাবাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চানপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন মাধবপুর আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে দুটি বস্তায় রাখা ৫৬ কেজি গাঁজাসহ দুই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের সুনীল চন্দ্র দেবের ছেলে সুসেন দেব (৩৬) এবং সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাজী খলিল উল্লাহর ছেলে আবু বক্কর (৩৫)।
সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক পরিবহনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অভিযানকালে উদ্ধার হওয়া মাদক ও আটককৃতদের চুনারুঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম বলেন, “সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিচালিত এই অভিযান অত্যন্ত সফল। আটক দুই আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ক্যাডারের বঞ্চিত ৭৮ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির সুপারিশ
প্রশাসন ক্যাডারের পর এবার অন্যান্য ক্যাডারের বঞ্চিত ৭৮ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান।
বুধবার (২০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়া প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেন পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান।
পদোন্নতি পাওয়াদের মধ্যে মধ্যে গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ পদে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জন কর্মকর্তা আছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে চাকরিতে বঞ্চনার শিকার এবং উল্লিখিত সময়কালের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০২৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট গঠিত কমিটি দুই ধাপে তার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
আরও পড়ুন: পদোন্নতি বঞ্চিত ৮ হাজার চিকিৎসক-শিক্ষক, কী অভিযোগ?
কমিটি প্রথম ধাপে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে বঞ্চনার আবেদনসমূহ পর্যালোচনাপূর্বক ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করে।
দীর্ঘ প্রত্যাশিত মওলানা ভাসানী সেতু চালু হলো
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান পেরিয়ে উদ্বোধন করা হলো গাইবান্ধা-কুড়িগ্রামবাসীর স্বপ্নের মওলানা ভাসানী সেতু। সেতুটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুই জেলার মধ্যে শুরু হলো সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ। সেতুটির উদ্বোধনকে ঘিরে আনন্দে ভাসছে দুই পরের মানুষ।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সেতুর হরিপুর প্রান্তে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনের পর সেতুটি খুলে দেয়া হয় দুই পাড়ের মানুষের জন্য। দীর্ঘদিন পর স্বপ্নের সেতুতে আসা যাওয়া করতে পেরে খুশি দুই পাড়ের মানুষ। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ শেষ হওয়ায় উচ্ছ্বাসিত তারা।
তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক তৌফিক ইসলাম জানান, দুই জেলার মানুষ আজ আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। এ সেতু শুধু যোগাযোগ নয় দুই জেলার মানুষের যোগাযোগ, শিল্পায়নসহ সামগ্রিক উন্নয়নের দাড় উন্মোচন হলো। আজ থেকে মানুষের চিরচেনা দুর্ভোগ শেষ হলো।
১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এলজিইডি’র নির্মিত দেশের প্রথম বৃহৎ সেতু। এটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দুই জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ সৃষ্টি হলো।
সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিসি গার্ডার এ সেতুটি নির্মাণ করেছে। সেতুটিতে বসানো হয়েছে ৩১টি স্প্যান। সেতুর পাশাপাশি এর উভয়পাশে স্থায়ীভাবে নদী শাসন করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার।
সেতুটি এখন গাইবান্ধা কুড়িগ্রাম ছাড়াও আশপাশের জেলার সাথে সড়ক পথে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগে সময় কমাবে প্রায় ১শ’ কিলোমিটারের বেশি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে দুই পাড়ে।
আরও পড়ুন: অবশেষে চালু হচ্ছে স্বপ্নের তিস্তা সেতু, অপেক্ষা ঐতিহাসিক মুহূর্তের
২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির কাজের ফলক উন্মোচন করা হয়। কিন্তু এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। নির্মাণ ব্যয় হয় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ জার্মানি পূর্ব শাখার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বার্লিনে একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল জার্মানি পূর্ব শাখার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।





























