24.4 C
Dhaka, BD
রবিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৫

লাপাত্তা ভারতীয় ঠিকাদার, ১৫৩ কোটির হাইটেক পার্কের ভবিষ্যৎ কী?

সাত মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ময়মনসিংহ হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় ৪৫ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই পালিয়ে যায় ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এতে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা, তেমনি কাজ বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে ১৫৩ কোটি টাকার নির্মাণসামগ্রী।

 

আইটি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বন্ধ থাকা এ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সময় যেখানে ছিল প্রায় আড়াইশো শ্রমিকের বিশাল কর্মযজ্ঞ, সেখানে এখন অনেকটাই সুনসান নীরবতা। পড়ে আছে ভারী যন্ত্রপাতি-নির্মাণ সামগ্রী।

নির্ধারিত সময় শেষে এক বছর সময় বাড়িয়েও শেষ করা যাচ্ছে না ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ। ৫৫ শতাংশ কাজ হওয়ার পর গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এলঅ্যান্ডটি’ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ভয়েন্টস সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড লাপাত্তা হওয়ায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ। এতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ময়মনসিংহ নগরের কিসমত এলাকায় ৬ দশমিক ১ একর জমির ওপর হাইটেক পার্কের কাজ শুরু হয়। সাত তলা বিশিষ্ট এই ভবনের প্রতি তলায় ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা থাকবে। ২০২৪ সালের জুনে কাজ শেষ না হওয়ায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আরও এক বছর সময় বাড়ানো হয়। ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা আছে প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা। পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর অন্তত এক হাজার তরুণের প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও তিন হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।


স্থানীয় বাসিন্দা শহীদুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাইটেক পার্কের কাজও বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত পার্কটি বাস্তবায়িত হোক। এটি চালু হলে আমাদের এলাকার চিত্র বদলে যাবে। আমাদের এলাকার ছেলে-মেয়েরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে উপকৃত হবেন।’

 

আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পার্কটি চালু হলে বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

আইটি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বন্ধ থাকা এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মো. সাহিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রকল্পটি চালু করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। প্রয়োজনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে হলেও কাজটি শেষ করা দরকার।’


তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে দেখভালের জন্য উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান প্রকল্পটিতে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ভারতে চলে যাওয়ায় পুরো প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শ্রমিক সংকটে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে কাজ চালুর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির ৫৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমরা এক বছর সময় পেলে কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করতে পারব।’


ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম বলেন, ‘প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি আমরা। আশাকরি শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ দেখতে পাব।’

দেড় ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা।

এর আগে এমআরটি পুলিশ সদস্যদের হাতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ডাক দেন কর্মীরা। ফলে সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচলে নানা জটিলতা তৈরি হয়। বিশেষ করে যাত্রীদের ভাড়া আদায় করার ব্যবস্থা কোথাও কোথাও অকার্যকর হয়ে পড়ে।

টিকিটের কাউন্টারগুলোও বন্ধ ছিল। কেউ টিকিট কাটতে পারেননি। ফলে যাদের এমআরটি ও র‍্যাপিড পাস আছে শুধু তারাই যাতায়াত করেন। ফলে মেট্রোরেল চলাচল করলেও ভোগান্তিতে পড়েন অন্য যাত্রীরা।

এরআগে, রোববার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এতে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ বিকেল সোয়া ৫টায় ডিএমটিসিএলের চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ দ্বারা মৌখিকভাবে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। মূলত আনুমানিক বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে দুজন মহিলা কোনো ধরনের পরিচয়পত্র না দেখিয়েই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে অবস্থিত সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।

তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন ও একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএর সঙ্গেও ইএফও তে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএর কাঁধে বন্দুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমওর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে।

উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীরা বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। এ ধরনের ঘটনা মেট্রোরেলের কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) তিনি উক্ত ঘটনার পর ঘটনার বিবৃতি দেয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ডিএমটিসিএল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ৬ দফা দাবি-

১) আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা উক্ত পুলিশ সদস্যকে (এসআই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল পুলিশ সদস্যকে শাস্তি দিতে হবে এবং তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২) মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।

৩) এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৪) স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্যান্য সকল কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫) অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া ও অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। 

পুলিশের সামনে বিবাদীকে পেটাল বাদী-অবরুদ্ধ ৪ পুলিশ সদস্য

কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে বাদীপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আসামির বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সামনেই বাদীপক্ষের লোকজন বিবাদীকে পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দুই পায়ে ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে, পুলিশের সামনে থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে চার পুলিশ সদস্যকে একটি ঘরে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

পরে সেনাবাহিনী, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও স্থানীয় উপজেলা বিএনপির নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দিনগত রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা তিতাস উপজেলার জিয়ার কান্দি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দড়িকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা তিতাস উপজেলার জিয়ার কান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মামলার বাদীপক্ষ জসিম উদ্দিনের ছেলে রাকিব হোসেন ও বিবাদীপক্ষের একই এলাকার মৃত লালা ভূঁইয়ার ছেলে মাওলান এবং তার ছেলে মাসুদ ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছিল। ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার বাগ্‌বিতকণ্ডা হয়।

বুধবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় কুড়েরপাড় স্ট্যান্ডের সামনে রাকিবকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে। পরে রাকিব বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তিতাস থানায় মাসুদ ভূঁইয়া ও তার বাবা মাওলান ভূঁইয়াসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে।

এ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে শুক্রবার রাতে আসামিদের বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বাদীপক্ষের ১০/১৫ জন যায়। এ সময় মামলার ২নং আসামি মাওলান ভূঁইয়াকে দেখতে পেয়ে বাদীপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাওলান ভুঁইয়ার দুই পা জখম করে পুলিশের সামনে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা মাওলানকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশের সামনে এমন ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের একটি ঘরে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও স্থানীয় উপজেলা বিএনপির নেতারা গিয়ে স্থানীয়দের কঠিন বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া সময় সংবাদকে বলেন, ‘পুলিশের সামনে বিবাদীকে কুপিয়ে জখম করা পর স্থানীয়রা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ ঘটনা জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনদের সাথে কথা বলে এ ঘটনার তদন্ত করে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন আশ্বাস দিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’

এ বিষয়ে জানতে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কল রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান সময় সংবাদকে জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানেন না, এ বিষয় জানতে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কল দেন।

সিংগাইরে ৪টি ড্রাম ট্রাকের মালিক কে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের পাকা রাস্তা নষ্ট করে চলাচলের অনুপযোগী করার অভিযোগে ৪টি ড্রাম ট্রাকের মালিক কে নগদ এক লক্ষ দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার (১২ই মার্চ) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কামরুল হাসান সোহাগ এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন।

এর আগে গেল মঙ্গলবার (১১ই মার্চ) রাতে গ্রামের ভিতরের পাকা রাস্তা হয়ে “ড্রাম ট্রাক দিয়ে ইট ভাটায় মাটি নেয়ার সময় রাস্তা নষ্ট হওয়ায় স্থানীয়রা সিংগাইর থানা পুলিশকে অবগত করে করলে , সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে, ও, এম তৌফিক আজম তাৎক্ষণিক এস,আই মামুনের সহযোগিতায় ড্রাম ট্রাক গুলোকে আটক করতে সামর্থ হন ।

সাবেক মেয়র আতিকসহ ৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম হটস্পট রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মীকেও হাজির করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উত্তরার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা এবং কনস্টেবল হোসেন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুল ভূইয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মানোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আল মামুন মন্ডল, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. বশির উদ্দিন এবং মহানগর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রুবেলকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।’

অভিযুক্তরা বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আছেন জানিয়ে বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, “প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। ট্রাইব্যুনাল আমাদের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।”

এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনী আনা হয় ট্রাইব্যুনাল আইনে। নতুন সংশোধনীতে তদন্তকালে নথিপত্র ও আসামিদের সম্পত্তি জব্দের ক্ষমতা দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালকে। এছাড়া এখন থেকে আসামিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন বিশেষ আদালত।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ২০২৪ সালের সংশোধনীতে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যে আসামির সম্পত্তি ভুক্তভোগী বা রাষ্ট্রকে দেয়া হবে। এখানে সংশোধনী এনে এই ধারাটিকে কার্যকর করার জন্য ট্রায়ালের সময় আসামির সম্পত্তি ফ্রিজ করে রাখা বা ট্রাইব্যুনালের অধিনে নিতে পারে– সেই ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালকে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশযাত্রায় ট্রাইব্যুনাল যেকোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে, সেই সংশোধনীও নতুন করে আনা হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার যে কটি স্থানে জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালানো হয় এর মধ্যে উত্তরা ছিল অন্যতম। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, ভিডিও ফুটেজে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও গুলি ও নির্যাতন চালাতে দেখা যায়। এ পর্যন্ত ১৮ মামলায় ১২২ জনকে বিচারের মুখোমুখি করেছে প্রসিকিউশন। এরমধ্যে তিন থেকে চারটি মামলার তদন্ত শেষ হতে পারে এ মাসে।

কালো আঙুর খেলে কী হয় ?

আঙুর ফল নানা রঙের হয়ে থাকে। লাল, কালো, সবুজ। তবে সব রংয়ের আঙুরের মধ্যে কালো আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। কালো আঙুরের গুণ জানলে সত্যি অবাক হতে হয়। স্বাস্থ্য, ত্বক, চুল বা চোখ সব কিছুর জন্যই উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ছোট্ট এই কালো ফলটি। আর এজন্যই আঙুরকে ‘কুইন অব ফ্রুট’ বা ‘ফলের রাণী’ বলা হয়।

১. ক্যানসার প্রতিরোধ: ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে কালো আঙুর।

২. হার্ট ভালো রাখে: কালো আঙুর খেলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল ভালো হয়। এর ফাইটোকেমিক্যাল হার্টের পেশিকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

৩. দৃষ্টিশক্তি: দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত আঙুর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: কালো আঙুর আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। বলা হয় যে, কালো আঙুর মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়।

৫. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কালো আঙুর।

৬. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা: কালো আঙুরের ফ্ল্যাবনয়েডস, খনিজ, অরগ্যানিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা দূর করে। দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৭. ত্বক: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কালো আঙুর ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে বলিরেখা, কালো ছোপ, শুষ্ক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় কালো আঙুর খান ও ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ করুন।

৮. চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর: কালো আঙুরের বীজ পেস্ট করে, অলিভ অয়েলে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। এই তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই চুল পড়ার সমস্যা কমায় ও চুল সাদা হয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।

৯. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: কালো আঙুরে পাওয়া সাইটোকেমিক্যালগুলো হৃত্‍পিণ্ডের জন্য ভাল এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।

১০. ওজন হ্রাসে সহায়ক: কালো আঙুর ওজন হ্রাসে সহায়তা করতে পারে। এর জন্য আপনাকে এটি নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। এগুলোর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন সরিয়ে দেয় এবং এইভাবে ওজন কমায়।

সতর্কতা-

১. দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে কালো আঙুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২. রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ খান যারা, তাদেরও কালো আঙুর খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

সাভারে “স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ”এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে (ভিডিও)

 

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভারে “স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ”এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, সকাল ৯ টায় সাভারের হেমায়েতপুর , বাগবাড়ীমোড় ‘স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এলাকার বালুর মাঠে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক

মোঃ রাকিবুল ইসলাম শাকিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য কালে বলেন, ‘নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। অভিভাবকদের উচিত ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাসহ অন্যান্য গঠনমূলক সহশিক্ষায় নিয়োজিত করা।’

এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিপুলসংখ্যক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নব উদ্দীপনায় মেতে ওঠেন।

সাদা কাপড়ে মাটির নিচেই যেতে হবে, দুনিয়ায় কেউ চিরস্থায়ী নই : সারজিস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা দুনিয়ায় কেউ চিরস্থায়ী নই। সবাইকে একদিন বিদায় নিতে হবে। দিন শেষে একটা সময় কয়েক গজ সাদা কাপড়ে মাটির নিচেই যেতে হবে।’

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বামনকুমার এলাকার রাখলদেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিজ দাদার তজির উদ্দীনের জানাজায় গিয়ে এ কথা বলেন সারজিস। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাদার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

এ সময় দাদার জন্য দোয়া প্রার্থনা করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, দাদার এই জানাজাকে শুধু জানাজা না মনে করে একটি শিক্ষা মনে করি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে কিছু রীতিনীতি আছে, কেউ মারা গেলে ৩ দিন, ১০ দিন বা ৪০ দিন পর একটি দোয়ার দাওয়াতের আয়োজন করা হয়। আমি এ বিষয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলে দেশের বড় বড় আলেমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, নবীর আমল থেকে এমন কোনো নিয়ম বা সংস্কৃতি ছিল না। এতে লাভের কোনো দিক নেই, তবে গুনাহের কোনো উপলক্ষ তৈরি হয়ে যেতে পারে। তো আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, আমাদের দাদা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাই আমরা এমন কিছু করবো না, যা ইসলামের রীতিনীতি ছিল না।

জানাজায় এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিসের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সারজিস আলমের দাদা তজির উদ্দীন সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার সময় নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

সাদপন্থিরা আগামী বছর টঙ্গীতে ইজতেমা না করার শর্তে এবার অনুমতি পেলেন

আগামী ১৪, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী ময়দানে তাবলিগ জামায়াত বাংলাদেশ (মাওলানা সা’দ এর অনুসারী)-এর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত দেয়া হয়েছে, আগামী বছর থেকে টঙ্গী ময়দানে তারা ইজতেমা ও তাবলিগি কার্যক্রম করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে।

উপসচিব আবু সাঈদ সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টঙ্গী ময়দানে আগামী বছর থেকে ইজতেমা এবং তাবলীগি কার্যক্রম না করার শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এ বছর দ্বিতীয় পর্বে শুধুমাত্র ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি সা’দপন্থিরা বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপনে, বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনটি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১. তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজামের অনুসারীরা (মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের) ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইজতেমা ৫ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন করে ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন।
২. তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা সা’দ সাহেবের অনুসারী)-এর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আগামী ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব তারা ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন।

তবে আগামী বছর থেকে তাদের বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগি কার্যক্রম টঙ্গীস্থ ইজতেমা ময়দানে করতে পারবেন না। এই শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইজতেমা করতে পারবেন।

৩. আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা ময়দান শুরায়ী নেজামের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, শনিবার তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। আর আগামীকাল বুধবার প্রথমপর্বের ২য় দফার আখেরি মোনাজাত হবে বেলা ১২টায় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইজতেমা মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেবে পুলিশ। শুক্রবারও পুলিশের কাছেই থাকবে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে নাজমুল করিম খান বলেন, এবার মোনাজাতের সময় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। সকলের প্রতি অনুরোধ মোনাজাতের সময় রাস্তায় কেউ বসবেন না।
তিনি বলেন, প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের ইজতেমা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। পুরো মাঠে ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। পেট্রোল, মোবাইল এবং চেকপোস্ট ডিউটির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মাঠের ভেতরে আমাদের সদস্যরা সাদা পোশাকে কাজ করছেন। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের মতো আমরা সবার সহযোগিতায় দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমাও সুন্দরভাবে করতে চাই।

আগামীকাল বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা।

সাভারে বি’এন’পির সভাপতিসহ আহত ৩০ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারে বনগাঁও এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটির জমি নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এঘটনায় সাভার থানা বিএনপির সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে বনগাঁও ইউনিয়নের বনগ্রাঁম এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটির বিএনপির সমর্থিত লোকজন ও থানা বিএনপির সাইফুল ইসলামের সাথে সংঘর্ষ হয়।

আহতের মধ্যে সাইফুল ইসলাম, কমর উদ্দিন, খন্দকার মোস্তাক আহমেদ রনি, আজমত আলী, মোশারফ হোসেন, ডালিম, ওয়াসিম উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, সায়েম মোরশেদ, মকবুল হোসেন, রাহুল, আমজাদ আলীকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের বনগ্রাঁম এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটিতে চাঁদা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সাভার থানা বিএনপির সভাপতি ও বনগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন সাইফুল হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এ ঘটনায় নর্থ সি ইকো সিটি এমডি আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার আবাসন কোম্পানীতে সাইফুল ইসলাম ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। এর আগেও দুই বার চাঁদার দাবিতে আমার কোম্পানির অফিস ভাঙচুর করে, এঘটনায় আমি একটা মামলাও করি। আজ আবারও চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সেই নিজে ভাড়া করা লোক দিয়ে সেখানে হামলা করে। এসময় আমার ১০ জনকে মারধর করে অফিস ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়।

সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফউদ্দিন সাইফুল বলেন, ওই আবাসন কোম্পানীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সবসময় আড্ডা দেয়। তারা সক্রিয় হয়ে মিছিল করতে পারে তাই আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে একটি পক্ষ মানববন্ধন করেছে। সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জানান, বনগ্রাঁম এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটি নিয়ে সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও অপর একটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধের জের হিসেবে মারামারি হয়েছে। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেট...