সাভারে “স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ”এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে (ভিডিও)
উপসচিব আবু সাঈদ সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টঙ্গী ময়দানে আগামী বছর থেকে ইজতেমা এবং তাবলীগি কার্যক্রম না করার শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এ বছর দ্বিতীয় পর্বে শুধুমাত্র ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি সা’দপন্থিরা বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপনে, বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনটি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, শনিবার তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। আর আগামীকাল বুধবার প্রথমপর্বের ২য় দফার আখেরি মোনাজাত হবে বেলা ১২টায় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইজতেমা মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেবে পুলিশ। শুক্রবারও পুলিশের কাছেই থাকবে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে নাজমুল করিম খান বলেন, এবার মোনাজাতের সময় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। সকলের প্রতি অনুরোধ মোনাজাতের সময় রাস্তায় কেউ বসবেন না।
তিনি বলেন, প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের ইজতেমা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। পুরো মাঠে ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। পেট্রোল, মোবাইল এবং চেকপোস্ট ডিউটির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মাঠের ভেতরে আমাদের সদস্যরা সাদা পোশাকে কাজ করছেন। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের মতো আমরা সবার সহযোগিতায় দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমাও সুন্দরভাবে করতে চাই।
আগামীকাল বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা।
সব আগাছা-পরগাছা নির্মূল না হওযা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বরিশালে দলের জেলা ও মহানগরের কর্মী সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, গণহত্যাকারী সিন্ডিকেট দল বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা চাই গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হোক, তাদের দলের বিচার হোক।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো নিজেদের দেশপ্রেমিক দাবি করেন; তো দেশপ্রেমিক হলে আসেন না। বিচার মোকাবিলা করুন। আমাদের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়েছেন। আপনারা তো প্রকাশ্যে গণহত্যা চালিয়েছেন।’
জামায়াত প্রধান বলেন,‘স্বাধীনতার পর থকে বিভেদ তৈরি করে দেশটাকে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে অনেকেই জীবন দেয়। কিন্তু এভাবে বুক পেতে জীবন দেয়া আবু সাঈদের ঘটনা বিরল। আবু সাঈদ মুক্তির মহানায়ক। জুলাই-আগস্টে শহীদরা যে জন্য জীবন দিয়েছেন সেই লড়াইটা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন; তারা এখন জিন্দা শহীদ।
বরিশালের অর্থনীতি ও বাণিজ্য নিয়ে তিনি বলেন‘ভোলার গ্যাস সারা দেশে যাক; তবে সবার আগে বরিশালে আসুক। আর একটি সেতু বরিশাল থেকে ভোলায় যাক। ভোলাসহ পুরো বরিশাল বিভাগকে উন্নত দেখতে চাই। আমাদের যদি আল্লাহ সুযোগ দেন তাহলে বরিশালবাসীর সব দাবি পূরণের চেষ্টা করব। আর যদি বিরোধী আসনেও থাকি তবে আপনাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।’
কর্মী সম্মেলনের সভাপতি বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, ঈদগাঁ মাঠে যাতে সম্মেলন হতে না পারে তার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সব বাঁধা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠান সফল করা হয়েছে।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ইসলাম নির্মূল করার উদ্দেশ্যে সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। তারপরও জামায়াত নেতারা পালিয়ে যাননি।’
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিভেদ নয়, ঐক্য ধরে রাখতে হবে। জনমত তৈরি করে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে। আগামী নির্বাচন ফেয়ার হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব নয়, বরং সুসম্পর্ক রয়েছে: ডা. তাহের
সম্মেলনে সনাতনী ধর্মের মানুষের পক্ষে বক্তব্য দেন অসিম কুমার হালদার। তিনি বলেন, ‘এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বেশি কিছু চায় না, তারা চায় শুধু শান্তি। ৫ আগস্টের পর আমার এলাকায় হিন্দুদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। আমাদের খোঁজ রেখেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।’
এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জমায়াতে ইসলামীর ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার, বরগুনা জেলা আমির মাওলানা মহিববুল্লাহ হারুন, পটুয়াখালী জেলা আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, ভোলা জেলা আমির মাস্টার জাকির হোসাইন, ঝালকাঠি জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, বরিশাল মহানগর ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি কামরুল আহসান হাসান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক কবির আহমেদ, শিবিরের বরিশাল মহানগর সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, জেলা সভাপতি আকবর হোসেন প্রমুখ।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক ও গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি রয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।’
এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে সারা দেশে যত মামলা রয়েছে সব প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আওতায় বিচারপতি নিয়োগে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে ছয় সদস্যের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার এবং আগামী নির্বাচন আয়োজন সাংঘর্ষিক বিষয় হবে না। বিচার কাজের জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে না বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।