আশুলিয়ায় জুয়ার আসর থেকে ১০ জুয়ারি গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার আশুলিয়ায় একটি রিকশা গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ১০ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গেল বুধবার বুধবার রাতে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকার সমশের প্লাজা সংলগ্ন নুরুল আমিন মণ্ডলের মালিকানাধীন রিকশা গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ এবং উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মামুনুর রশিদ, আসলাম শেখ, দবির উদ্দিন ফকির, ছাইদুল ইসলাম, সুমন মোল্লা, অন্তর শেখ, সুরমান মণ্ডল, কায়েস, আব্দুল আলীম ও আফসারুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই রিকশার গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে তারা জুয়া খেলার কথা স্বীকার করেছে।
ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
যানজটে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ নিরসনে জমজ ও সহোদরদের একই স্কুলে ভর্তির দাবি “
নিজস্ব প্রতিবেদক: যানজটের দিক থেকে রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম শহর। ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন কঠিন থেমনি ব্যায়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। “ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট” এর হিসেব অনুযায়ী দৈনিক প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা ঢাকায় যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে । যার দৈনিক অর্থমূল্য প্রায় ১শ ৩৯ কোটি এবং বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক।
এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মতিঝিলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যমজ ও সহোদর ভাই বোনদের একই স্কুলে শতভাগ ভর্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মো. শাহাদাৎ ঢালী শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে বলা হয়, সহোদর ও জমজ ভাই-বোনদের আলাদা স্কুলে পড়ানোর ফলে তাদের আনা নেয়া করার ক্ষেত্রে প্রচন্ড যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় অভিভাকদের। এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে যাতায়াতে যেমন কর্মঘণ্টা নস্ট হয় তেমনি অতিরিক্ত অর্থ ব্যায়সহ অভিভাবকদের সহ্য করতে হয় অসহনীয় ভেগান্তিতে।
আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সুনাম রক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে যমজ ও সহোদরদের শতভাগ ভর্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালের পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েন অভিভাবক প্রতিনিধিগণ।
শিশুর সার্বিক বিকাশে মূল্যবোধ শিক্ষা
আফসরী খানম (গোহালাকান্দা): মূল্যবোধ হলো এমন একটি বিষয় যা প্রতিটি মানুষ শৈশবকাল থেকেই দীর্ঘদিনের আচার আচরণ, বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে অর্জন করে থাকে। পরিবার হলো শিশুর মুল্যবোধ শিক্ষা অর্জনের ভিত্তি। পারিবারিক গণ্ডির বাইরে শিশুর মূল্যবোধ বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয় বিদ্যালয়ে এসে।
পরিবার ও বিদ্যালয়ের মূল্যবোধের চর্চা শিশুর পরবর্তী জীবনের আদর্শবান, দেশপ্রেমিক ও বিশ্বনাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার প্রেরণা যোগায়। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপকল্পটি হলো “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, উৎপাদনমুখী, অভিযোজনে সক্ষম ও সুখী বৈশ্বিক নাগরিক”। বর্তমানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ এর রূপকল্পটিতে শিশুকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ, জাতীয় ইতিহাস সংস্কৃতি লালনকারী সৎ, নৈতিক, মূল্যবোধসম্পন্ন, বিজ্ঞানমনস্ক, দক্ষ, সৃজনশীল, আত্ববিশ্বাসী ও সুখি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা হয়েছে। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুর মধ্যে মূল্যবোধ চর্চার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পাঠ্যবইয়ের বিষয়সমূহের মধ্যে মূল্যবোধ অর্জনে সহায়ক ঘটনা, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি সংযোজন করা হয়েছে। শ্রেণিতে শিশু শুধুমাত্র জ্ঞানই অর্জন করবে না তার পাশাপাশি মূল্যবোধ অর্জনে সহায়ক কার্যাবলীও পাঠপরিকল্পনায় বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে বলা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাক্রমটি নির্দিষ্ট যোগ্যাতার আলোকে এমনভাবে পরিমার্জিত করা হয়েছে যেখানে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশু অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সর্বোত্তম প্রয়োগ ঘটাতে সক্ষম হবে। এখানে উদাহরণসরূপ বলা যায়ঃ একটি গাড়ি কিভাবে চালাতে হয় তা যখন বই পড়ে, দেখে বা শুনে একজন শিক্ষার্থী জানতে পারে তখন তার জ্ঞান অর্জিত হয়।
ঐ শিক্ষার্থী যখন গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশগুলো হাতে কলমে পরিচালনা করতে শিখে অর্থাৎ গাড়ি যখন সামনে পেছেনে ডানে বামে চালাতে পারে, ব্রেক করতে পারে তখন তার দক্ষতা অর্জিত হয়। আর যখন চালিয়ে নিজের ও রাস্তার সকল মানুষ, প্রানী ও সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষা করে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে তখন ঐ শিক্ষার্থীর গাড়ি চালনা বিষয়ে যোগ্যতা অর্জিত হয়। এভাবে বর্তমান পরিমার্জিত শিক্ষক্রম ২০২১ এর মাধ্যমে শিশু জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে বাস্তব জীবনে প্রয়োজনীয় প্রেক্ষাপটে প্রয়োগে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। বর্তমান পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে তাই যোগ্যতার চারটি উপাদান হিসেবে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি মূল্যবোধকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যোগ্যতার ধারণায়নের প্রেরণা হিসেবে উপলব্ধি ও অনুধাবন করে জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও গুণাবলী এই চারটি উপাদানের মধ্যে নিবিড় আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে যোগ্যতার ধারণাকে এই শিক্ষাক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমের রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, ১০টি মূলনীতি, ১০টি মূলযোগ্যতা, ১০টি শিখনক্ষেত্র, বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা, প্রাথমিক স্তরের শিখনক্ষেত্রভিত্তিক যোগ্যতা প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল্যবোধের বিষয়টি বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। শিক্ষাক্রমে মূল্যবোধ চর্চার জন্য যে বিষয়গুলো প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেগুলো হলোঃ সংহতি, দেশপ্রেম, সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা, শ্রদ্ধা,সম্মান, শুদ্ধাচার।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা সমাপনান্তে শিক্ষার্থীর মধ্যে যেসব মানবিক গুণাবলী প্রত্যাশা করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ সততা, পরিশ্রমী, গণতান্ত্রিক, অসম্প্রদায়িক, উদ্যোগী, ইতিবাচক, নান্দনিক, মানবিক, দায়িত্বশীল ও সহমর্মিতা। এছাড়া শিক্ষাক্রমে পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শিক্ষার্থীর কাঙ্খিত দক্ষতার ক্ষেত্র উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষাক্রমে দক্ষতা হচ্ছে যোগ্যতার সামগ্রীক ধারণার অংশ যেখানে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ ইত্যাদির অর্জন পারস্পরিক নির্ভরশীল। যেমনঃ জ্ঞান অর্জনের জন্য জ্ঞানগত দক্ষতার প্রয়োজন আবার মূল্যবোধ চর্চার জন্য মনোসামাজিক ও আবেগীক দক্ষতার প্রয়োজন।
একইভাবে ব্যবহারিক দক্ষতা বা আবেগীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন এবং মূল্যবোধ চর্চা জরূরী। বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়ে প্রযুক্তির জ্ঞান শিক্ষার্থীর জন্য যতটা প্রয়োজন সেই সাথে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধের চেতনা গড়ে তোলাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী মূল্যবোধ অর্জনের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে অভিযোজনে সক্ষম হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতের দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আত্বপ্রকাশ করবে এটা আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি।
ওয়ারীতে জমি বিক্রি করেও দখল দেননি কথিত প্রতারক আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার পরিবর্তনের পর রাজধানীর ওয়ারীতে সাফ কবলা জমি বিক্রি করেও দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেছে দেশের স্বনামধন্য আবাসন কোম্পানি আল মুসলিম বিল্ডার্স। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন কোম্পানির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনসারুজ্জামান, এ্যাডভোকেট সাজিরুল হাসান ও প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার এম এ কাইয়ুম প্রমুখ।
লিখিত বক্তৃতা তুলে ধরে আইনজীবী আনসারুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকার ১নং নবাব স্ট্রিটে ৯২.০৫ শতাংশ জমি কেনার জন্য কোম্পানিটি আইনজীবী সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে বায়না চুক্তি সম্পাদন করে। ওই সময় আজহারুল কবীর নিজেকে সম্পূর্ণ জমির মালিক দাবি করে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে কাগজপত্র তল্লাশি করে আরও দুইজন মালিকের নাম বেরিয়ে আসে। এরপর আজহারুল কবীর নিজেদের ভিতর আপস মীমাংসা করে সম্পূর্ণ জমি কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে দ্বিতীয় দফায় চুক্তিবদ্ধ হয়।
ওই সময় তিনি জাল কাগজপত্র সৃজন করে কোম্পানিকে জমিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় কোম্পানি মূল মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ওই জমি কিনে নেয়। ওই জমিতে আজহারুল কবীরের মাত্র ৬.১৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এ নিয়ে মামলা আদালতে গড়ালে আদালতের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের ১২ মে সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে পুণরায় একটি আপোষ চুক্তি সম্পন্ন হয়। যার ফলে তিনি জমির মালিকানার সমস্ত দাবি ত্যাগ করেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আরো ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট ২১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়, বর্তমানে তার ওই সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার নেই। তিনি সেখান থেকে বাসা স্থানান্তর করার জন্য কোম্পানির কাছ থেকে তিন মাস সময় নেয়।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৭ আগস্ট সৈয়দ আজাহারুল কবীর ও তার পুত্র ইজাজ কবির এবং তাদের সহযোগীরা ওই জমিতে অনুপ্রবেশ করে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও আল-মুসলিম গ্রুপের কর্মচারীদের উপর গুলি বর্ষণ করে কোম্পানির সম্পত্তি দখল করে নেয় এবং কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় এক কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্ৰহন করা হয়েছে। তাছাড়া গত ২০ আগস্ট প্রতারক আজহারুল কবীর ওই জমি নিজের দাবী করে প্রতারণামূলক তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে আল মুসলিম বিল্ডার্স ও আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়।
এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের সঙ্গে এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদানে ওই প্রতারকের কবল থেকে জমিটি উদ্ধার করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখলে সমন্বয়ক পরিচয়ে অগ্নিসংযোগের হুমকি
সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় সমন্বয়ক পরিচয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ও টিফিন ব্যবসা জোরপূর্বক দখলসহ কারখানা জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আতঙ্কিত কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগটি করেন দক্ষিণ গৌরিপুর এলাকার আলটিম্যাট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার তত্ত্বাবধায়ক তোছাদ্দেক হোসেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গতকাল সকালে নাজমুল মন্ডল ও গোলাম রসুলসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূর্বক কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা কারখানার ঝুট ও টিফিন ব্যবসা তাদের দিয়ে দেয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এমনকি তাদের কথায় সম্মত না হলে কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়াসহ শান্তিতে এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে দেবে না বলেও হুমকি প্রদান করে চলে যায় তারা।
আলটিম্যাট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার তত্ত্বাবধায়ক তোছাদ্দেক হোসেন বলেন, একটি চক্র আমাদের কারখানার ঝুট ও টিফিন ব্যবসা জোরপূর্বক বেআইনি ভাবে দখলের চেষ্টা করছে। গতকাল যারা কারখানায় এসেছিলো তারা নিজেদের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়েছে। যারা শিক্ষার্থী পরিচয়ে এমন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
অভিযুক্ত নাজমুল মণ্ডল বলেন, আমি একজন স্টুডেন্ট ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির একজন সমন্বয়ক। আমি ওই কারখানায় গিয়েছিলাম তাদের ব্যবসা নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না এটা জানতে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ দায়ের করেছে আমি জানি না। বাদীর নম্বরটা দেন আমি একটু কথা বলবো।
এব্যাপার আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাভারের সাবেক এমপিসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পিটিয়ে ও গুলি করে শিক্ষার্থী আস-সাবুর হত্যার অভিযোগে ‘ঢাকা-১৯’ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদ জং মুরাদসহ ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহত আস-সাবুরের চাচাতো ভাই সাহিদ হাসান মিঠু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আস-সাবুর (১৬) নওগাঁর মহাদেবপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের নায়েদ জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতো। আস-সাবুর জামগড়া শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মামলায় আরো আসামী করা হয় আওয়ামী লীগের সাবেক আরেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন ও তার বাবা সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর ও ইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূইয়াসহ ১১৯ জন।
উল্লেখ্য,গত ৫ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র আস-সাবুর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।