তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন (ভিডিও)
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবছরের ন্যায় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নবাসীকে এবারও তাক লাগিয়ে দিলেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের “চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর”।
নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়বাসী তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলায়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেন।
সকাল ১০.০০ ঘটিকায় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর শুভ উদ্ভোধন করেন। তারপর সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের সৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান “মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর” এবং তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও অফিস স্টাফগন এবং গ্রাম পুলিশ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন বঙ্গবন্ধুর সৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সকল স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যলায়ের ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে কুচকাবাজের আয়োজন করা হয় । এ সময় সকলের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয় ।
শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কোরআন তেলোয়াত ও দোয়া শেষে
আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, স্বাধীনতা বিষয়ক বক্তব্য ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক , ফখরুল আলম সমর , ইউনিয়নের সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিভিন্ন ওয়ার্ড মেম্বার সহ ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম,
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুমন, এছাড়াও ইউনিয়ন হকার্স লীগ সহ আওয়ামী অঙ্গ গঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পেঁয়াজের বাজারে ভোক্তার অভিযান, ৮৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশের বাজারে অভিযান চালিয়ে ৮৫ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভোক্তা-অধিকার।
এতে বলা হয়, বুধবার ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিন ঢাকা মহানগরীতে অধিদফতরের ৩টি দল বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় শহরসহ দেশের মোট ৪১টি জেলায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সারাদেশে ৪৩টি দলের অভিযানের মাধ্যমে ৮৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা-অধিকার রক্ষায় অধিদফরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সারাদেশের বাজারে অভিযান চালিয়ে ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এছাড়া সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সারাদেশের বাজারে অভিযান চালিয়ে ১২২ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করে সংস্থাটি। রোববার (১০ ডিসেম্বর) ৮০ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার।
সিঙ্গাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময়
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তার সরকারি অফিস কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর বিদায়ী ইউএনও দিপন দেবনাথের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু। তিনি বিসিএস ক্যাডারের ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। এর আগে কিশোরগঞ্জ জেলার কমিরগঞ্জ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে কর্মরত ছিলেন পলাশ কুমার বসু।
মতবিনিময় সভায় ইউএনও পলাশ কুমার বসু বলেন, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে দেশের উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা পালন করতে হবে। সব সময় সবার জন্য ইউএনও’র দরজা খোলা থাকবে। সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সিঙ্গাইর গড়তে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এসময় উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক দৈনিক কালের কণ্ঠের আঞ্চলিক প্রতিনিধি মোবারক হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাইটিভির বাদল হোসাইন, সদস্য সচিব দৈনিক আজকের পত্রিকার সুজন মোল্লা, সদস্য পৃথিবী প্রতিদিন সম্পাদক এফএম ফজলুল হক, বাংলা টিভির রেজাউল করিম, দৈনিক আমাদের সময়ের অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান শামীম, ৭১ বাংলা টিভির আবুল কালাম আজাদ বিপ্লব, দৈনিক আলোকিত সকালের অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন সায়েম, জেটিভির আ: গফুর, অনলাইন নিউজ পোর্টাল জনশক্তির সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, তরুনকণ্ঠের মাহমুদুল হাসান, দৈনিক আমার সংবাদের হাবিবুর রহমান রাজিব, দৈনিক চিত্রমেলা সম্পাদক মিজানুর রহমান, এশিয়ান টিভির ইমরান হোসেন, দৈনিক অধিকারের মিলন মাহমুদ, দৈনিক ভোরের বাণীর মো. মামুন হোসাইন, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের আতিকুর রহমান ও দৈনিক প্রলয়ের আমিনুর রহমান।
এছাড়াও সভায় আনন্দ টিভির মোশারফ হোসেন মোল্লা, আইপি টিভি মুভি বাংলার সানোয়ার হোসেন, দৈনিক বসুন্ধারার মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও দৈনিক রুদ্র বাংলার জালাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
লিপস্টিকের সাতকাহন, কোন রং কী বার্তা দেয়
নারীর সাজসজ্জার অন্যতম অনুষঙ্গ লিপস্টিক; ঠোঁট রাঙাতে যার বিকল্প নেই। শুধু যে সৌন্দর্যের জন্য শত রঙের লিপস্টিক ব্যবহৃত হয়, তা নয়। লিপস্টিক আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এখন প্রশ্ন হলো- কীভাবে এলো লিপস্টিক? কবে থেকে এটি প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহার করেন নারীরা?
ঠোঁট রাঙাতে নানা ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই লক্ষ্য করা যায়। তখন এর নাম ‘লিপস্টিক’ ছিল না। সে সময় নারী এবং অনেক পুরুষ বিভিন্ন গাছের রং এবং ফলমূলের রং দিয়ে ঠোঁট রাঙাতেন। মিশরীয়, সুমেরীয়, রোমান সভ্যতার সময় নারী পানের পাতা, রত্নচূর্ণ, ব্রোমিন, আয়োডিন, অ্যালজিন, বেরী জাতীয় ফল, মাটি, মেহেদী ইত্যাদি দিয়ে ঠোঁট রাঙাতেন। সে সময় কারমাইন রং ব্যবহার করা হতো যা কোচিনিয়াল নামে এক ধরনের পোকা থেকে পাওয়া যেত।
এরপরই লিপস্টিক ব্যবহার শুরু করেন সমাজের নির্দিষ্ট এক শ্রেণীর নারীরা। গ্রিসে আইন করা হয়- পতিতারা বাধ্যতামূলক লিপস্টিক ব্যবহার করবেন। সে সময় অনেক যৌনকর্মী এই আইন না-মানায় তাদের আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এরপর ষোল শতকে আবারও লিপস্টিকের ব্যবহার শুরু হয় রানী এলিজাবেথের মাধ্যমে। রানীর ঠোঁটের উজ্জ্বল রং জনপ্রিয় হয়ে ওঠে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
লিপস্টিকের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফ্রান্সের নাম। ১৮৮০ সালে প্যারিসে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে লিপস্টিক উৎপাদন শুরু হয়। প্যারিসের সুগন্ধী শিল্প থেকেই চালু হয় এই প্রসাধনীর। ১৮৯০ সালের দিকে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে থাকে লিপস্টিক। লিপস্টিক সে সময় কাগজের কৌটা এবং টিউবে বিক্রি হতো। মরিস লেডি সর্বপ্রথম ১৯১৫ সালে লিপস্টিকের ধাতব কৌটা তৈরি করেন যা বর্তমান লিপস্টিকের মতো নিচ থেকে ঘুরিয়ে উপরে তোলা যায়। বলাবাহুল্য এই লিপস্টিক দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সাধারণত দুই ধরনের লিপস্টিক পাওয়া যায়। গ্লসি এবং ম্যাট। ১৯৩০ সালে ম্যাক্স ফ্যাক্টর সর্বপ্রথম লিপগ্লস লিপস্টিক তৈরি করেন। এটি ব্যবহার করতেন তারকারা। হলিউডের অভিনেত্রীদের মাধ্যমে এই লিপস্টিপ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী।
ম্যাট লিপস্টিক সাধারণ। এটি ঠোঁটে লেগে থাকে কিন্তু চকচকে হয় না। অনেকে মনে করেন, যেসব নারী ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করেন তারা অনেক বেশি আত্মসম্মান সচেতন এবং বাস্তববাদী।
নারী কেন লিপস্টিক ব্যবহার করেন?
নারী প্রধানত ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে লিপস্টিক ব্যবহার করেন। লিপস্টিকের পাশাপাশি লিপলাইনার এবং লিপগ্লস ব্যবহার করেন অনেকে। আবার অনেকে এটি আত্মবিশ্বাসী হতে ব্যবহার করেন। লিপস্টিক মূলত নারীদের মানসিক শক্তি দেয়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেকের শরীরে ছাপ পড়তে থাকে। ছাপ পড়ে ঠোঁটেও। সেই ছাপ অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় লিপস্টিক। ফলে নারীকে অপেক্ষাকৃত কম বয়সের মনে হয়।
মানুষ সামাজিক বা পারিবারিক যে কোনো অনুষ্ঠানে নিজেকে আকর্ষণীয় হিসেবে দেখতে চান। অনেক নারী আকর্ষণ বাড়াতে লিপস্টিক ব্যবহার করেন। মূলত ব্যক্তিগত পছন্দ থেকেই নারীরা লিপস্টিক ব্যবহার করেন।
কোন রঙের লিপস্টিক কি অর্থ প্রকাশ করে
লাল রং : লাল রঙের লিপস্টিক সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন নারীরা। সহজেই এটি নজর কাড়ে। লাল রঙের গ্লসি লিপস্টিক ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। অন্যদিকে ম্যাট রং ফুটিয়ে তোলে আবেদন।
গোলাপি : গোলাপি ঠোঁটের কদর সর্বত্র। হালকা গোলাপি ঠোঁট ফুটিয়ে তোলে নারীর কোমলতা। কোনো নারীর এই রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা মানে এই বার্তা দেয় যে সে নমনীয় ও কোমল।
কমলা : কমলা রঙের লিপস্টিক অনেকেই ব্যবহার করেন। এই রং তারুণ্যের বার্তা দেয়। অন্তরের খুশি, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এই রঙের লিপস্টিক। নিজেকে প্রাণবন্ত ও তরুণ দেখাতে এই রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করেন অনেকে।
পার্পেল : পার্পেল রঙের লিপস্টিক হাজারো মানুষের মাঝে আপনাকে আলাদা করতে পারে। এই রঙের লিপস্টিক মর্যাদা, অভিজাত্য এবং ক্ষমতার জানান দেয়। তাই জমকালো সাজের সাথে ব্যবহার করতে পারেন পার্পেল কালার লিপস্টিক।
ব্রাউন : বর্তমানে এই রঙের লিপস্টিকের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এই রং জানান দেয় নিরপেক্ষতা।
নীল বা বেগুনি : সাধারণত এই রঙের লিপস্টিক বেশি ব্যবহার হয় না। তবে যারা এ ধরনের গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করেন তারা অত্যন্ত সাহসী হন বলে ধরে নেয়া হয়।
এক জাহাজেই ঘুরতে পারবেন ১৩৫ দেশ
বিশ্ব ভ্রমণ করার নেশা যাদের রয়েছে তারা এক বাহনেই ১৩৫টি দেশ ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন। ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য এমন সুযোগ করে দিয়েছে বিলাসবহুল প্রমোদতরী এমভি জেমিনি। এই জাহাজে আপনি ঘুরতে পারবেন ৪ মহাদেশ এবং ১৩৫টি দেশ।
এমভি জেমিনিতে বিশ্ব ঘুরে দেখতে আপনার সময় লাগবে ৩ বছরের মতো। তবে এ জন্য গুণতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা।
প্রতি বছরের জন্য ২৯ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। বাংলাদেশের টাকার যার মূল্য ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৬ টাকা। এই টাকায় সংযুক্ত থাকবে খাবার খরচও। এমবি জেমিনিতে ১ লাখ ৩০ হাজার মাইল পাড়ি দেওয়ার পর দেখতে পারবেন বিশ্বের ১৩টি ‘ওয়ান্ডারস অব দি ওয়ার্ল্ড’। এ ছাড়াও দেখা মিলবে বিশ্বের ৩৭৫টি পোর্টের মধ্যে ২০৮টি পোর্ট।
বিলাসবহুল প্রমোদতরী এমভি জেমিনিতে রয়েছে ৪০০ কেবিন। জাহাজটি ১০৭৪ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে। জাহাজটি ইস্তাম্বুল, বার্সেলোনা এবং মিয়ামি থেকে ছেড়ে যায়।
সমুদ্রযাত্রার প্রকৃতি ও সময় বিবেচনায় রেখে জাহাজে আছে দুটি মিটিং রুম, ১৪টি অফিস, একটি ব্যবসায়িক লাইব্রেরি, একটি আরামদায়ক লাউঞ্জ ও একটি ক্যাফে, ওয়াইফাই, প্রিন্টার, কনফারেন্স সরঞ্জাম ও স্ক্রিনসহ দূরবর্তী কাজের সুবিধা। জাহাজে একটি ম্যাচমেকিং স্কিম রয়েছে। যেখানে যাত্রীরা বিভিন্ন সময় ও মৌসুমে চাইলে অন্য কারও সঙ্গে একটি কেবিন ভাগাভাগি করতে পারবেন। আরও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকছে এমভি জেমিনিতে।
এমভি জেমিনিতে ১৩৫টি দেশের নয়নাভিরাম ১০০টির মতো ক্রান্তীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং পাহাড় ও পর্বতের দেখা মিলবে। দেখতে পারবেন রিও ডি জেনিরোর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি, ভারতের আগ্রার তাজমহল, মেক্সিকোর চিচেন ইতজা, গিজার পিরামিড, মাচু পিচু ও চীনের গ্রেটওয়ালসহ নানা স্থাপনা। দেখতে পারবেন ১০৩টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপ।
ঠাকুরগাঁওয়ে হানিফ কোচের ধাক্কায় প্রাণ হারালো শিশু সুরাইয়া
হুমায়ুন কবির ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে হানিফ কোচের ধাক্কায় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সুরাইয়া আক্তার (৮) নামে এক শিশু মৃত্যু বরণ করেছে।
সদর উপজেলার ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের তেঁতুলতলা চব্বিশ টিউবওয়েল নামক স্থানে ওই শিশু রাস্তা পার হতে গিয়ে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন। সুরাইয়া গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার নামাপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তার মা হাসনা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে চাকরির সুবাদে স্বামী-স্ত্রী ঢাকায় থাকেন।
ছোটবেলা থেকেই শিশুটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে তার নানা-নানির কাছে বড় হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার দিন সকালে শিশুটি মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে রাস্তা পার হতে গেলে হানিফ পরিবহণের একটি কোচ তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মাথা দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন এসে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, শিশুটি মাদ্রাসা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হলে রাস্তা পারাপারের সময় সামনে থেকে হানিফ কোচটি ধাক্কা দিলে মাথা দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
কয়েক লাখ টাকার সোয়েটার পরে নজর কাড়লেন নাগার্জুনা
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীদের বিলাসবহুল গাড়ি ও স্পোর্টস বাইকের প্রতি আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। মার্কেটে নতুন মডেলের গাড়ি বা মোটর সাইকেল এলেই তা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন তারা।
তেলেগু সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনিরও বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ির প্রতি ভালোবাসা কম নয়। বয়স ৬৪ বছর হলেও এখনো সাজপোশাকে তাক লাগিয়ে দেন এই অভিনেতা। এবার কয়েক লাখ টাকার সোয়েটার পরে নজর কাড়লেন এই অভিনেতা।
নাগার্জুনার একটি ছবি অন্তর্জালে ভেসে বেড়াচ্ছে। তাতে দেখা যায়, নাগার্জুনার মাথার চুলগুলো এলোমেলো, মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ। পরনে অফ হোয়াইট রঙের সোয়েটার। নাগার্জুনার পরনের সোয়েটারটি প্রথম দেখায় অনেকেরই মনে ধরেছে। তবে এর মূল্য প্রকাশ্যে আসার পর নেটিজেনদের চোখ কপালে উঠেছে।
নাগার্জুনার পরনের সোয়েটারটি তৈরি করেছে বিলাসবহুল ফরাসি ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁর। ব্র্যান্ডটির ওয়েব সাইট ভিজিট করে দেখা যায়, সোয়েটারটির মূল্য ২ হাজার ১৯৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ২ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৬ টাকার বেশি।
নাগার্জুনা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দ্য গোস্ট’। এতে অবসরপ্রাপ্ত একজন ‘র’ এজেন্টের চরিত্রে দেখা যায় তাকে। প্রবীণ সাত্তারু পরিচালিত এ সিনেমা গত বছরের ৫ অক্টোবর মুক্তি পায়। নাগার্জুনা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— সোনালি চৌহান, মনিষ চৌধুরী, রবি ভার্মা, জয় প্রকাশ প্রমুখ।
উঠতি জনগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলার পরামর্শ
দেশের উঠতি জনগোষ্ঠীর সুবিধা গ্রহণের জন্য তাদের স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেকোনো বিষয়ে কথা বলার এবং তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর পর্যাপ্ত ক্ষেত্র তৈরী করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসডুপে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেয়: তরুণরা কথা বলে’ শীর্ষক সংলাপে এ পরামর্শ দেন তিনি। হারনেট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দূতাবাসের সহযোগিতায় এ সংলাপ হয়। হারনেট টিভির পরিচালনায় ট্রান্সফরমেটিভ কথোপকথনের ওপর ইভেন্টের চতুর্থ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে অতিথিরা বলেন, জীবনের শুরু থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করার জন্য পরিবারের অনেক বড় ভূমিকা আছে। তারা তাদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হলে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে বৈশ্বিক যেকোনো ক্ষেত্রে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।
‘বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস (বিডিওয়াইএস)’ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য—বাংলাদেশের তরুণদের মুখোমুখি হওয়া এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। ইভেন্টটি ১০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী তরুণদের একত্রিত করেছে।
বাংলাদেশের ফরাসি দূতাবাস ও সৌদি আরব দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, হারনেট টিভি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল, ব্লু প্ল্যানেট গ্রুপ ও অন্যান্য অংশীদারদের সহায়তায় এ গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টটি করা হয়েছে।
সংলাপে ইউল্যাবের ছয়জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এই পর্বের বিষয়বস্তু হলো—‘Power in Participation: Policy Making, Rule of Law, Human rights, Civic Education।’ আজকের পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউল্যাবের ভাইস চ্যান্সেলর ইমরান রহমান। সভাপতিত্ব করেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসডুপে।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান, হারনেট টিভির চেয়ারপারসন হোসনা প্রধান, ইউল্যাবের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর জুড ডব্লিউ আর জেনিও, সার্ক চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর শেলডন ইয়েট, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক, জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট দিলরুবা আহমেদ, মেঘনা ব্যাংকের সম্মানিত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিওয়া সাদাত, বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান সম্পাদক জাফর সোবহান প্রমুখ।
খুলনার খালিশপুরে খাসি ও গরুর মাংসের কথা বলে কুকুরের মাংস বিক্রি
খুলনার খালিশপুর উপজেলায় খাসি ও গরুর মাংসের কথা বলে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে খালিশপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি পরিত্যাক্ত ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস ধরে কয়েকজন তরুণ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কুকুর ধরে বাগানের মধ্যে ওই পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে যেত। বেশ কয়েকবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এদিন বিকেলে এলাকাবাসী তাজ (১৪), প্রেম (১৭), সিয়াম (১৭) ও আরমান (২২) আবু সাঈদসহ কয়েকজনকে একটি কুকুর নিয়ে বাগানের দিকে যেতে দেখে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দিলে পুলিশ চারজনকে আটক করে। তবে আরমান, উৎসব, রনি ও সজল পালিয়ে যায়। সেখানে জবাই করে রাখা একটি কুকুর পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কুকুরের দেহাবশেষ পাওয়া যায় পরিত্যক্ত ভবনটিতে।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পশু চিকিৎসক এসেছেন। আরমান নামের ওই যুবক তাদেরকে মাস খানেক আগে কুকুরের মাংস বিক্রির প্রস্তাব দেয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ফুচকা, ভ্রাম্যমাণ বিরিয়ানি, বার্গারসহ বিভিন্ন দোকানে কম দামে কুকুরের মাংস সরবরাহ করত তারা।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানান তিনি।