স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভুয়া ফার্মেসি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এবং ভুল ওষুধের কারণে আরিয়ান নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ গেল ২৪ শে ডিসেম্বর হঠাৎ করেই আরিয়ানের পেটে ব্যথা শুরু হলে আরিয়ানের পরিবার আরিয়ানকে সিংগাইর বাজারস্থ জয় ফার্মেসি নামের একটি দোকানে গেলে, সেই দোকানের মালিক বিকাশ সাহা বেশ কিছু ঔষধ দেন আরিয়ান খাওয়ানোর জন্য, পরবর্তীতে সে ওষুধ খাওয়ানোর পরেও আরিয়ানের অবস্থার অবনতি হলে, আরিয়ানের পরিবার জয় ফার্মেসির বিকাশ সাহা কে জানালে তিনি আবার একটা ডোজ দিলে, তাতে অবস্থার পরিবর্তন না হলে, ২৫ তারিখ রবিবার সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় তার পরিবার , সিংগাইর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্য চিকিৎসক দ্রুত আরিয়ানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হাসপাতালে যাওয়ার পরপরই আরিয়ান হঠাৎ করেই সংজ্ঞা হারালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে আইসিওতে বেট খালি নেই বলে জানালে আরিয়ানের পরিবার আরিয়ানকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থার পরিবর্তন না ঘটায়, পরে ঢাকার রেমেডি কেয়ার হাসপাতালে ভোর রাতে শিশু আরিয়ানের মৃত্যু হয়।
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, যদি আরিয়ানকে এমন ভুল ওষুধ না দেয়া হতো তবে, আরিয়ান বেঁচে যেতো।
তারই সূত্র ধরে জয় ফার্মেসী তে গিয়ে সরেজমিনে ফার্মেসীর মালিক বিকাশ সাহার দেখা মিলল- তিনি ফার্মেসীতে ই চিকিৎসা ও ঔষধ দিচ্ছেন রোগীদের । শিশু আরিয়ানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার এখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি , এমনকি আরিয়ানকে দেওয়া ঔষধ ও তিনি দেননি বলে অস্বীকার করেন। তিনি কোন ডাক্তার বা পল্লী চিকিৎসক নয় বলেও জানান ওষুধ ফার্মেসী ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা ।
তার এখানেই বিভিন্ন ডাক্তারদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে চেম্বার দেয়া হয়েছে, যেখানে রোগীদের ইমার্জেন্সি চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে । তবে জরুরী চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যেসব ডাক্তারি সরঞ্জামাদি আছে, তাপরে আছে অযত্ন আর অবহেলায়, জরুরী চিকিৎসার রোগীদের জন্য ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ও বিভিন্ন ওষুধপত্র পড়ে আছে দোকান ঝাড়ুর নিচে ।
তবে এমন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বিকাশ সাহার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন ভুক্তভোগী পরিবার ।
মৃত আরিয়ান মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার দক্ষিণ আজিমপুর এলাকার প্রবাসী রাকিব আহমেদের ছেলে ।
স্টাফ রিপোর্টার:মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অম্বেসণ প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিংগাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় এর আয়োজনে উপজেলা সভাকক্ষে এই বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অম্বেসণ প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা তালিকা উত্তীর্ণদের ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের হাতে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।
এ সময় সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার , দীপন দেবনাথের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিংগাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিনা পারভীন ।
এছাড়াও সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অসংখ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে, ওয়ারেন্টভুক্ত তিন ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর)দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার রাতে উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের বকচর ও শান্তিপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে আসলাম (৪৩), একই উপজেলার সোনাতেংড়া গ্রামের মৃত। চা দোকানদারের ছেলে মনির হোসেন (৩৫) ও ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শ্যামপুর-দক্ষিণ মেইটকা এলাকার নিহত এখলাস মিয়ার ছেলে মো. জাভেদ (২৬)।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান, সোমবার ২৫শে ডিসেম্বর রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে সিংগাইর থানাধীন বকচর আযান এগ্রো গরুর ফার্ম এর দক্ষিনে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়া সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাদেরকে আটক করা হয় । এ সময় তাদের কাছ থেকে ছুরি, কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাদের আদালতে পাঠানোর হয়েছে বলে জানান সিঙ্গার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা ।
স্টাফ রিপোর্টার:মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ধল্লা পুলিশ ক্যাম্পে মাদকসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ ।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিংগাইর থানার ধল্লা ফাঁড়ি পুলিশের নেতৃত্বে এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আব্বাস মোল্লা (৩২) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৭ গ্রাম হেরোইন যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ হাজার টাকা, সহ আটক করে ধল্লা ফাঁড়ি পুলিশ ।
আসামি আব্বাস মোল্লা সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে তেঁতুলঝোড়া এলাকার মৃত:কুদ্দুস মিয়ার নাতি, সে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার মৃত আজিজ মোল্লার ছেলে ।
ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান,সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে ,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংগাইর হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে হেরোইন মাদক নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে আব্বাস মোল্লা (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়েছে ।জানা যায় আব্বাস মোল্লা দীর্ঘদিন যাবত লোক চক্ষুর আড়ালে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন ।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম মোল্যা নিশ্চিত করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাপ্তি হলো মাসব্যাপী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সুবর্ণজয়ন্তী ও তৃতীয় পুনর্মিলনী উৎসব।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সড়ে ৯টায় র্যালির মাধ্যমে সমাপনী দিনের আয়োজন শুরু হয় ।
‘অতীতের আলোতেই এই বর্তমান, পঞ্চাশে ইতিহাস হোক অম্লান’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে , সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও গুণীজন সম্মাননা প্রদান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় স্বেচ্ছায় রক্তদান, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র পরিচালিত ফ্রি চক্ষু শিবির ও র্যাফেল ড্রর আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় , সুবর্ণজয়ন্তী ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সাভার উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক,ইতিহাস বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জাকসুর সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা দেশ-বিদেশে অবস্থানরত ইতিহাস বিভাগের সাবেকদের থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এভাবেই আমাদের বন্ধন আরো অটুট হবে বলে আশা রাখছি। ইতিহাস বিভাগের জয়ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,
৩২ তম ব্যাচের ড. পিংকি সাহা,
২৪ তম ব্যাচের হোসনে আরা বেবি, ২০ তম ব্যাচের প্রফেসর ড. এ কে এম জসিম উদ্দিন, ২১ তম ব্যাচের এ,এম,আল মামুন , ১৫ তম ব্যাচের সৈয়দ মাহফুজ আলী , ২২ তম ব্যাচের মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম , নবম ব্যাচের অধ্যাপক এ,টি,এম আতিকুর রহমান, ৪৫ তম ব্যাচের এস,এন,সোহেল রানা ।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে এদিন সকালে অপারেজেয় একাত্তর চত্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নরেন্দ্র নাথ সরকার, প্রেস ক্লাব সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ। পরে সন্ধ্যা ৬.০০ টায় ডিসি পর্যটন পার্কে অবস্থিত মুজিববর্ষ চত্বরে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়।
প্রসঙ্গত : ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা বিভিন্ন পেশার বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এবং বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাঙালি জাতির স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই ঢাকাঃ-ঢাকার ধামরাইয়ে যাদবপুর স্কুল এন্ড কলেজের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার (৪৪) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে স্কুল কলেজের টাকা তছরুপের ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
মামলার পরই সকালেই আলী হায়দারকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ ।এর আগে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ধানতাড়া বাজারে এলাকাবাসী স্কুল কলেজের টাকা তছরুপের ঘটনায় আলী হায়দারকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।আসামিরা হলেন, যাদবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার (৪৪) ও যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতারা গ্রামের সুরজত আলীর ছেলে লিটন মিয়া (৪৫)। আলী হায়দার ভোলা জেলার ভিদুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে। সে বর্তমানে ধানতারা বাজারে আলালের বাড়ির ভাড়াটিয়া।মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা মামলার ২নং আমসামি লিটন মিয়ার সহায়তায় প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২০২২ সালের ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ফি বাবদ ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮ শত ৬০ টাকা আদায় করেন। আলী হায়দার ৫ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার রিসিভ দেখান। কিন্তু মামলার বিবাধী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার কেন্দ্র সচিব ও অন্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২ লক্ষ টাকা জমা করেছেন। বাকি টাকা তিনি তসরুপ করেন। স্কুল হইতে বার বার বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বললে তিনি দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
প্রতিষ্ঠানের টাকা না দিয়ে তসরুপ করার চেষ্টা করেন তিনি। নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অপরাধে প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে কয়েক মাস আগে অব্যাহতি দেন প্রতিষ্ঠান থেকে।এছাড়াও স্কুল কলেজে চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানতারা বাজারে পাওনাদাররা আলী হায়দারকে গণধোলাই দেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, প্রতিষ্ঠানের টাকা নিজের কাছে বা তসরুপ করার কোন পথ নেই। টাকা ব্যাংকে জমা দিবে প্রয়োজনে সেখান থেকে উত্তোলন করে খরচ করবে। এই টাকা সে আত্মসাৎ করেছে।তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি অনেক অনিয়ম দূর্ণিতির সাথে জড়িত। নানা অভিযোগের কারণে তাকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অব্যাহতির পরও স্কুলে পিয়ন নিয়োগের বিষয়ে তিনি একজনের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক ( এস আই) মফিজুর রহমান মল্লিক বলেন, যাদবপুর বি এম স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারসহ দুজনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ তসরুপের মামলা হয়েছে।
সেই মামলায় শিক্ষক কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আরেক আসামি লিটনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
মোঃ সিফাত রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ,প্রতিনিধিঃ
বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প র্যাব-৫ এর অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলে ভূয়া এনজিও’ র মূলহোতা এবং ম্যানেজার সহ ০৬ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫) পিতা-মোঃ আব্দুল জলিল,মোঃ তৌহিদুর রহমান (৩৮) পিতা-মৃত আফাজ উদ্দিন, মোঃ জিয়াউল হক (৪০) পিতা-মৃত আব্দুল কুদ্দুস,মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, সাং-ফতেহপুর, মোঃ গোলাম আযম (৩৮) পিতা-মৃত আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ মোশারফ হোসেন (৩৭) পিতা-মৃত ইসমাইল হোসেন।
রাজশাহীর একটি অপারেশন দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানাধীন খোলসী বাজারের পশ্চিম দিকে জনৈক খলিল ডিলার এর ১তলা বিল্ডিং বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে উক্ত আসামীগণকে গ্রেফতার করেন।
এই সময় তাদের কাছ থেকে, ভূয়া পাশ বই-১০০০টি, ভূয়া সীল-১৫ টি, চেক/লোন-রেজিষ্টার-১৪ টি, এবং ব্যাগ-০৩ টি জব্দ করেন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা চক্রের সাথে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে আঞ্চলিক উন্নয়ন সংস্থা (আউস) নামে একটি ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। উক্ত এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গরীব অসহায় লোকদের টাকা বিনিয়োগ এবং টাকা ঋণ নেয়ার জন্য উস্কানি প্রদান করে। অসহায় লোকজন তাদের উস্কানিতে টাকা বিনিয়োগ করে এবং তাদের এনজিও হতে ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা বাংক চেক বাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন র্যাব।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে সুবিধা বঞ্চিত অনুগ্রসর পরিবার থেকে আসা এক শিশুর সপ্রতিভ উত্তর, “আমি ইঞ্জিনিয়ার। পরক্ষনেই হাত উঁচিয়ে অন্যজন বলছে,স্যার আমি ইসলামিক স্কলার।
আর তুমি?
আমি হতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ।
অথচ কদিন আগেও যাদের জীবন ছিল ধূসর বিবর্ণ আর ভবিষ্যৎ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, তাদের এসব লক্ষ্যের পথ ধরে জীবনের পথে হেঁটে চলা দূরের কথা, খোদ পরিবারের কারো ভাবনাতেও আসেনি, সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের ভবিষ্যৎ কি হবে- তা নিয়ে।
ফেরদৌস, আহাদ,শামীম, খালেদদের মতো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তাই দিনটি ছিলো অন্য রকম।
আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ার প্রত্যয় আর সংকল্পকে আরো সুদৃঢ় করতে তারা এ দিনটিতে নিবিড় সান্নিধ্য পেয়েছে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর।
গভীর মমতা স্নেহের পরশে প্রতিটি শিশুর সাথে কুশল করলেন প্রতিমন্ত্রী। জিজ্ঞেস করলেন তাদের বাড়ির কথা। ভবিষ্যতে তারা কি কি হতে চায় সেটাও আদরে আদরে জেনে নিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত প্রতিমন্ত্রী নিজেও নিঃসন্তান। স্ত্রী কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রীর দি হলি চাইল্ড কিন্ডার গার্টেন এর অধ্যক্ষ। পরিচালনা করেন প্রতিবন্ধীদের স্কুল।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে সমাজে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছেন- সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করে সেটা নিয়েও সগর্বে নিজের আনন্দ এবং স্বস্তির কথা বলতেও ভোলেন নি প্রতিমন্ত্রী।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, আশ্রয় এবং অভিভাবকহীন শিশুরা বিনা খরচে পড়বে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। সমাজের মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দেশের কল্যাণে নিবেদনের জন্য তাদের গড়ে তোলা হবে আদর্শ মানুষ হিসেবে- এমন প্রত্যয়ে চারহাজার সুবিধা বঞ্চিত শিশুর জীবন বদলে দেবার প্রত্যয়ে সাভারের আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে গড়ে উঠেছে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেস (ডিআইএসএস) ।
ভারতের ওডিশায় (পুরোনো নাম উড়িষ্যা) লোকসভার সদস্য ও ড.অচ্ছুত সামন্তের প্রতিষ্ঠিত খ্যাতনামা কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের (কিস)। আদলে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেস (ডিআইএসএস) গড়ে তুলেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও
অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনিভার্সিটিজ অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এইউএপি) সভাপতি মো. সবুর খান।
গোটা প্রতিষ্ঠান ঘুরে শিশুদের উন্নত ক্লাসরুম শিক্ষক, গাইড,জীবনযাপন লেখাপড়া, খাবারদাবারের মান প্রত্যক্ষ করে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানালেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
বললেন, এই প্রতিষ্ঠান একদিন বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শিশুদের বাতিঘর হিসেবে পথ দেখাবে।
সমাজের বিত্তবানরা এমন প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে এলে এদেশে ভবিষ্যতে আর কোন পথশিশু খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেসের (ডিআইএসএস) প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর নাকির হোসেন জানান, আমাদের স্লোগান,প্রতিটি শিশুর জীবন হোক আলোকিত তাদেরও আছে অধিকার, জীবন গড়ার।
মূল্যবোধ এবং সম্মানের সাথে শিশুদের গড়ে তোলার বিষয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা মো. সবুর খানের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেসের (ডিআইএসএস) ।
এখানে কেজি থেকে বিনা বেতনে থাকা,খাওয়া ও পড়ার সুযোগ থাকবে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত। বলতে পারেন, ‘কেজি টু পিজি’।
কেবল পড়ালেখাই নয়, -ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেসের (ডিআইএসএস) সকল ছাত্রছাত্রীর জন্য থাকা, খাওয়া, বিনোদন, খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসেবা—সবকিছুই ফ্রি। কম্পিউটার ল্যাব, কনফারেন্স ল্যাব, ওয়াই-ফাই সিস্টেম—কোনো কিছুরই অভাব নেই এখানে। একটু সহযোগিতা আর সত্যিকার ভালোবাসা নিয়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ালে তারা দেশকে কতটা বদলে দিতে পারেন – সেটাই বাস্তবে রূপ দিতে বদ্ধ পরিকর ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেসের (ডিআইএসএস)।
ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেসের (ডিআইএসএস) প্রতিষ্ঠাতা মো. সবুর খান জানান, আধুনিকভাবে ৩০ জন্য শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আগামী বছর নির্মিত হবে ড্যাফোডিল স্কুল এন্ড কলেজ। এই শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজে অধ্যায়নের কালেই উচ্চশিক্ষার জন্য কেবল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিই নয়,তাদের জন্য কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কেআইআইটি বা কিট) দুয়ার খুলে দিয়েছেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার ‘আইকন অব ওডিশা’,সর্বভারতে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টিকারী ডঃ অচ্ছুত সামন্ত।
তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠান ঘুরে আমি সত্যিই এতটা অনুপ্রাণিত হয়েছি দেশে ফেরার পর আমার স্বপ্ন ছিল কবে আমি এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো।
আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা। আমরা ভালো কিছু করার প্রত্যাশায় যাত্রা শুরু করেছি। জেনে আনন্দিত হবেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবছর ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেসের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ১০ থেকে ১৫ জনকে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিতে নিখরচায় থাকা-খাওয়া এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন ডঃ অচ্ছুত সামন্ত।
এটা আমার জন্য কতটা আনন্দের এবং অনুপ্রেরণার তা বলে বোঝানো যাবে না।
আমাদের এই প্রকল্প চালুর মাধ্যমে, সুশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
পড়াশোনার পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।