আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় আবারো গৌরব বয়ে আনলেন তাকরীম
সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে (১৫ পারা কোরআন মুখস্থ) বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ সময় তাকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাঁর উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে এর চূড়ান্ত পর্ব গতকাল সমাপ্ত হয়। এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে ১৫৩ জন অংশ নেন। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১৫ প্রতিযোগীকে ২৭ লাখ রিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়।
সৌদির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, এবার ৫টি বিভাগে ১৫ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
সুকণ্ঠে সুন্দর উচ্চারণে কোরআনের ১৫ পারা মুখস্থ বলা বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের সালেহ আহমদ তাকরিম। এ বিভাগে প্রথম হয়েছে লিবিয়ার জিয়াদ মুহাম্মাদ খলিল হাবেশ এবং দ্বিতীয় হয়েছে কেনিয়ার আবদুলরহমান মুসা আবদুল্লাহ।
এর আগে গত ১৬ জুন লিবিয়ার রাজধানী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪০টি দেশের মধ্যে সালেহ আহমাদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জনের পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা লাভ করে। তাছাড়া গত ৫ মার্চ ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ২৯টি দেশের মধ্যে তাকরীম প্রথম হয়েছিল।
উল্লেখ্য, হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী।
আবারো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা: সাদেক কুরাইশী
হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বর্তমান জেলা প্রশাসক ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, জেলা আ.লীগ সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবাওড়
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পর মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে বেসরকারিভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ঠ নির্বাচন কর্তৃপক্ষ।
মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী নব ঘোষিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় জেলা ও উপজেলা গুলোতে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক খুশির আমেজ সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন নতুন চেয়ারম্যান মুহাঃ সাদেক কুরাইশী। এসময় আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে যান তার কাছে। এবং তিনি সবার সাথে কুশল বিনিময় করেন।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে এ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সাধারণ সদস্য পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এবং কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সদস্য পদে একজন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে একজনকে এদিনই বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
আসন্ন নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর,মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত: ঠাকুরগাঁও জেলার ৫৩ টি ইউনিয়ন, ৫ টি উপজেলা ও ৩ টি পৌরসভার ইলেকটোরাল ভোটারদের নিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবং জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭৩৩ জন।
কালিয়াকৈরে চুরি হওয়া অটো রিক্সা উদ্ধার গ্রেফতার -২
কালিয়াকৈর (গাজীপুর)প্রতিনিধিঃগাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটো রিক্সা চুরির ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে অটো রিক্সা টি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সুত্র জানায়, উপজেলার চাপাইর গ্রামের পলাশ (২৫) ভাড়ায় এনে একটি মিশুক অটো রিক্সা চালাচ্ছিল।বৃহস্পতিবার বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলা সদরের সাহেব বাজার এলাকা থেকে যাত্রী বেসে ৩চোর পলাশের অটো রিক্সায় টিএনটি এলাকায় যেতে চায়।পলাশ তাদের নিয়ে টিএনটি এলাকায় গেলে সেখান থেকে আবার বলিয়াদি যায় এভাবে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে পরে সুযোগ বুঝে পলাশকে তারা নেশা মিশ্রিত জুস পান করালে সে অচেতন হয়ে পরে।
শেওড়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পলাশকে ফেলে রেখে অটো রিক্সাটি নিয়ে চোরেরা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা পলাশকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এঘনায় পলাশের বড়ভাই জীবন হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে কালিয়াকৈর থানা পুলিশের এসআই জামিনুর রহমান অভিযান চালিয়ে আশিক নগর পার্ক এলাকা থেকে চুরি হওয়া অটো রিক্সাটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় আনোয়ার (২৩) ও হাসান (২২) নামক দুই চোরকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করেছে।
সাভারে নেশা করার সময় রহিজ উদ্দিন নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা(ভিডিও)
সাভারে নেশা করার সময় রহিজ উদ্দিন নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা
শুক্রবার দুপুরে সাভারের চাঁপাইনের তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, দুপুরে তালতলা এলাকায় রহিজ উদ্দিন সহ কয়েকজন যুবক মাদক সেবন করছিলেন এ সময় কথাকাটাকাটির জের ধরে কয়েকজন যুবক রহিজ উদ্দিন কে এলোপাথারিভাবে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। প্রকাশ্যে ওই যুবককে হত্যা করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন নিহত ওই যুবকের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে ও সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত ওই যুবক চাঁপাইনের তালতলা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। অপরদিকে আর এক ঘটনায় সাভারের কোন্ডা এলাকা থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার করছে- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই, নিয়ন্ত্রণই নেই। সরকারি কর্মকর্তারা কি করছে? তাদের হিসাব নিকাশও নেই।
বর্তমানে যারা এমপি, চেয়ারম্যান আছেন, তাদের কাজের কোন জবাবদিহিতা নেই। তারা যা খুশি তা করছে। যার ফলে আজ গোটা সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গেছে। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার সে কাজগুলো করে যাচ্ছে, জনগনের যে স্বার্থ সেটাকে তারা বিবেচনা করছে না। এজন্য তারা মুক্ত গণতন্ত্রকে বহু আগেই বিনষ্ট করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের পৌরশহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফকরুল বলেন, এই সরকারের অধীনে আমরা কোন নির্বাচনে যাব না। যাচ্ছি না। এটা আমাদের অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। পুলিশের নতুন আইজিপি নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের কোন মন্তব্য নেই। তত্বাবধায়ক সকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি এবং বিরোধীদলীয় যারা আন্দোলন করছে তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এটা অত্যন্ত পরিস্কার করে বলছি বাংলাদেশের জনগনের যে, বেঁচে থাকা এটাই এখন কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, ডাল, তেল, লবনের যে দাম তো আকাশচুম্বি হয়েছেই সেই সঙ্গে অন্যান্য যে বিষয়গুলো আছে যেমন শিক্ষা, শিক্ষাক্ষেত্রে স্কুলে যারা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা যায় তাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। শিক্ষার উপকরণ গুলোর দাম অনেকাংশে বেড়ে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটা পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। একইভাবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একই অবস্থা। রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পায় না। ঔষুধের দাম বেড়েছে। কয়েকদিন আগে প্রায় ৫০টি ঔষুধের দাম ৫৪ শতাংশ থেকে ১৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা মানুষের জন্য একটা ভয়ংকর একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে ফেলা হয়েছে। মুল্যস্ফৃতি বেড়েছে প্রচন্ডভাবে। আমরা এ লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেদিন থেকে তত্তাবধায়ক বিধান বাতিল করা হয়েছে, সরকার যে সমস্ত আইনগুলো করেছে, সংবিধানে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তখন থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। যখন একটি সরকার তারা জনগণের সমর্থন হারায় কিন্তু তারা রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে থাকে এবং তারা নির্বাচনও করে। তারা সেটাকে ম্যানুপুলেট করে। পুরোপুরি সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যায়। সেখানেই আমরা আন্দোলনগুলো করছি। আমরা গণতন্ত্রে ফিরে যেতে চাই। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ৭২ এ সংবিধান তৈরী হয়েছিল। পরবর্তিকালে সৈরচার এরশাদকে সরিয়ে গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম। পরে আবার তত্তাবধায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচন কালীন সময়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে করে হতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একই সাথে আমরা বলেছি এ দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি না হয়, জনসাধারণ তাদের পছন্দের মানুষদের নির্বাচিত করতে না পারে তাহলে সমস্ত ব্যবস্থাগুলো ভেঙ্গে পরবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা বহু আগেই আ’লীগ ধ্বংস করেছে। তারা বিভিন্ন আইনগুলো করেছে, এর মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে। সাংবাদিক হত্যা, নিপীড়ন চলছে। যার ফলে কেউ সাহস করে কেউ কিছু বলছে না, লিখছে না। যারা সুবিধাবাদী তারা ওই জায়গাগুলো থেকে সরতে চায় না। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের বিভিন্ন কিছু দিয়ে খুশি রাখা হয়েছে। তারা এ কারনে বলে এ ধরনের সরকারই ভাল। এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। সেখানে বাংলাদেশ উন্নত দেশ কিভাবে করবেন, মধ্যম আয়ের দেশ কিভাবে করবেন। এগুলো সম্ভব না। এখানে তো কারও কোন নিরাপত্তা নাই। বিচার নাই। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। পুলিশকে দলীয়করণ করা হয়েছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটিকে দলীয়করণ করা হয়েছে। শুনলাম ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ১২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে। তাহলে সে কিভাবে শিক্ষা দান করবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হকসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রাণীশংকৈলে সভা অনুষ্ঠিত
হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে এদিন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা, কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান।সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন- ইউএনও স্টিভ কবির।
আরোও বক্তব্য রাখেন- ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, উপজেলা মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো.মিজানুর রহমান, বড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো: শরিফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক, প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।