25 C
Dhaka, BD
বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫

ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াদ্দেছ হোসেন বিজয়ী ।

ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া কেন্দ্র কান্দাপটল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রটিতে আনারস প্রতীক জয়লাভ করেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত একযুগে ভোট গ্রহণ হয়। কান্দাপটল স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮৯১। এতে আনারস প্রতীক ৮০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। তার নিকটতম প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ৫৩ ভোট, লাঙ্গল প্রতীক ০১ ভোট, মশাল প্রতীকে ০২ ভোট পেয়েছে। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান স্তগিত হওয়া কেন্দ্রসহ মোট ভোট পেয়েছে ৩৯০৫৪টি , স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোয়াদ্দেছ হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ৪১৩৭৫ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকে মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান মিলন পেয়েছে ৮৩ ভোট এবং মশাল প্রতীকে আনোয়ার হোসেন মুন্নু পেয়েছে ১২৩ ভোট। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াদ্দেছ হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে ২৩২১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।

উল্যেখ্য, গত ৩১ মার্চ সকাল ৮ঘটিকার সময় থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪ ঘটিকার সময় পর্যন্ত এক যোগে ১৪৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। তবে প্রথমে শান্তি পৃর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলাকালে হঠাৎ করে কান্দাপটল কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের সহয়তাই জালভোট দিতে গিয়ে কর্তব্যরত আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পরে। পরে প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আবুল বাশারকে আটক করে ম্যাজিষ্ট্রেট।এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোয়াদ্দেস হোসেন অভিযোগ করলে কেন্দ্রটি স্থগিত করে দেয় সহকারী রির্টানিং অফিসার মোঃ আবুল কালাম।

ধামরাই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ২০হাজার ৩৩২টি। এতে মোট কেন্দ্র ছিল ১৪৮টি, কান্দাপটল কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার কারণে কেন্দ্রটি স্থগিত করে সহকারী রির্টানিং অফিসার। ভোট গ্রহণ শেষে বাকি ১৪৭ টি কেন্দ্রের ফলা ফল ঘোষনা করেন সহকারী রির্টানিং অফিসার। ১৪৭টি কেন্দ্রের ফলা ফলে দেখা যায় বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে মোঃ মিজানুর রহমান পেয়েছে ৩৯০০১ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে মোঃ মোয়াদ্দেছ হোসেন পেয়েছে ৪০৫৬৬ভোট। এতে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমানের চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোয়াদ্দেস হোসেন ১৫৬৫ ভোটে এগিয়ে ছিল।

বেনাপোল ব্যাংকার্স ফোরাম গঠিত : সভাপতি রকিবুল হাসান সম্পাদক আবুল হাসান

দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে অবস্থিত সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত কর্তাদের নিয়ে বুধবার সকালে সোনালী ব্যাংক বেনাপোল শাখায় বেনাপোল ব্যাংকার্স ফোরাম (বিবিএফ) গঠিত হয়েছে।

১৬ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বেনাপোল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর ম্যানেজার এ আর এম রকিবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল হাসান। ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল থাকবে এক বছর।

বেনাপোলস্থ ব্যাংক সমূহের যে সকল ম্যানেজার/শাখা প্রধানগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম আশিকুজ্জামান, এবি ব্যাংক লিমিটেড, কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, দপ্তর সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, দি সিটি ব্যাংক লিঃ।

কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, মোঃ তছির উদ্দীন বিশ্বাস, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, মোঃ শফিকুল হোসেন, স্ট্যান্ডার্স ব্যাংক লিমিটেড, মোঃ আশরাফুল আলম, সিমান্ত ব্যাংক লিমিটেড, মোঃ মফিদুল হাসনাত, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, রিপন কুমার বিশ্বাস, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, মোঃ আমিনুর রহমান, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, মোঃ জোবায়ের হোসেন, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, মোঃ মোশারেফ হোসেন, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ও গৌতম কুমার দে, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক।

ধামরাইয়ে মসজিদ ভাঙ্গচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাইচাইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে এক চল্লিশ বছরের পুরোনো একটি জামে মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে ওই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী লিটনসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা হয়েছে। এবিষয়ে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পুলিশ হান্নান ও মোজা দেওয়ান নামে দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে । এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।

সরে জমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাইচাইল গ্রামে ‘ইনসাফ’ নামে একটি আনরেজিষ্ট্রার্ড সমিতি রয়েছে। এই সমিতির পাঁচশত ৮৪ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমিতে একটি বড় ঈদগাহ মাঠ, তিনটি পুকুর, একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা ও অনেকগুলো বড় বড় মূল্যবান গাছ রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই সমিতির দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। এনিয়ে শনিবার গভীর রাতে সন্ত্রাসী দেওয়ান মোতাহার হোসেন ও লিটনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনি ওই চৌচালা মসজিদটি ভেঙ্গে পাশে একটি পুকুরে ফেলে রাখে।

পরেদিন সন্ত্রাসী লিটন তার বাহিনি নিয়ে এলাকায় বলে যে মসজিদেও পক্ষে কথা বলবে তার লাশ পরে থাকবে পুকুরে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদ ভাঙ্গা ও গাছ কাটার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হান্নান ও মোজা নামের দুই জনকে গ্রেফতার করে।

বাইচাইল গ্রামের আব্দুল বারেক, তোতা মিয়া,আবুল কালাম সহ এলাকার অন্যান্য লোকজন জানান, বেশ কিছু দিন থেকে এলাকার মোতাহার, মুশফিকুর রহমান চৌধুরী জাহাঙ্গীর,লিটন গংরা ওই মসজিদে তাদের নামাজ পড়তে বাঁধা দিয়ে আসছিল। গত শনিবারও মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়েছেন। কিন্তু পর দিন রবিবার সকালে এলাকাবাসী মসজিদটি গুঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার হান্নান ও মোজা দেওয়ানকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জানান,গ্রামের দীর্ঘদিনের পুরাতন মসজিদ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন বাহিনি রাতের আধারে ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। তাই আমি এলাকাবাসীর পক্ষে ৩৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছি।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনায় ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

মুজিব নগর দিবসে জাবি ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন ।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

আজ(বুধবার) ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের

এই দিনে সে সময়ের মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সকালে বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মুজিবনগর সরকারের প্রতি সম্মান জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা সংঘটিত ছিল।’

এ সময় আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন,‘ অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আমাদের কাছে দিনটি গৌরবের।’

জাবিছাত্রলীগেরসহ-সম্পাদক, হাবিবুররহমানলিটনবলেন,“আজএইদিনটিআমাদেরজন্যগৌরবের
এইদিনেঅস্থায়ীসরকারগঠনেরমাধ্যমেআমাদেরস্বাধীনতারপ্রথমসূর্যউদয়হয়,আমরাএইদিনটিশ্রদ্ধাভরেস্মরণকরব”।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আলম শেখ,সহ-সম্পাদকহাবিবুররহমানলিটন,শিক্ষাওপাঠচক্রবিষয়কসম্পাদককৌশিকরহমানশিমুল,পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদকমাহবুবহক রাফা,সহ-সম্পাদক তানজিলুল ইসলাম,তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক রাকিবুল হাসান শাওন,উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ সহ অন্যান্য হলের নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য,১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান তাজউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদ সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগলো প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করে থাকে।

মান্দায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত ।

নওগাঁর মান্দায় ঐতিহাসিক মজিবনগর দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের হল রুমে, খন্দকার মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মজিব নগর দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম হাবিবুল হাসান, নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার জসিম উদ্দিন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফসার আলী মণ্ডল, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রেজাউল করিম , উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, উপজেলা কৃৃষি কর্মকর্তা গোলাম ফারুক, উপজেলা সমবায় অফিসার আলতাব হোসেন, শিক্ষক, সাংবাদিক ও উপজেলা অনান্য কর্মকর্তাসহ প্রমুখ ।

ধামরাইয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহন

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আটকের ঘটনায় স্থগিত হওয়া কান্দা পটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে ভোট গ্রহন।

বুধবার(১৭ এপ্রিল) সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে চলবে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ।তবে ভোর উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মত।১৮৯১ ভোট নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে নৌকা ও আনারস প্রতীকের মধ্যে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক যোগে ১৪৮ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ন ভোট গ্রহণ চলাকালে কান্দাপটল কেন্দ্র গিয়ে ভোটার উপস্থিতির চেয়ে ভোট কাস্টিং এর হার বেশী দেখতে পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তিনি যাচাই বাচাই করে প্রমাণ পান ওই কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল বাশার সম্প্রতি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও পরিচয় গোপন করে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করায় এবং তার সহযোগিতায় জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে আটক করে। এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রধান করে ভোট গ্রহণ শেষ করেন।

পরে ভোট গনণা শেষে ১৪৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৭ টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।আর ১৪৭ টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাদ্দেস হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ১৫৬৫ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান,কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চলছে কান্দা পটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহন চলছে । আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।

শার্শার পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফের ম্যাস হিস্ট্রেরিয়া আতঙ্ক ২ শিক্ষকসহ ২০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ।

যশোরের শার্শায় ৬দিন পর ফের ম্যাস হিস্ট্রোরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুহজন শিক্ষকসহ কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।

অসুস্থ্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শার্শা উপজেলার পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন সময়ে ম্যাস হিস্ট্রোরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ভয়াবহ এ বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাতক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জসহ স্থানীয় ব্যক্তি বর্গ। স্কুলের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে ম্যাস হিস্টিরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে স্কুলের ১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ২ শিক্ষক পর্যায় ক্রমে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে। আক্রান্তরা ছটফট করতে থাকে।

আহতরা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের দ্রত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে পাটদান চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা একের পর এক অসুস্থ্য হতে থাকে। এসময় সহকর্মী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তাদেরকে গাড়িতে করে দ্রæত চিকিৎসার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

অসুস্থ্য শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা হলো-(মোস্তাফিজুর রহমান বাবু স্যার), (হোসেন আলী স্যার) রিতু খাতুন ৮ম শ্রেণী, সিনথিয়া দশম শ্রেণী, বৃথী ৮ম শ্রেণী, শাপলা ৭ম শ্রেণী, শ্রাবণ ৬ষ্ট শ্রেণী, নয়ন ৬ষ্ট শ্রেণী, ইব্রাহিম খলিল ৬ষ্ট শ্রেণী, মিথিলা খাতুন, ৬ষ্ট শ্রেণী, তাহসিন হোসেন ৭ম শ্রেণী,রিয়া খাতুন ৭ম শ্রেণী, রসুল ইসলাম ৬ষ্ট শ্রেণী, বিল্লাল হোসেন ৬ষ্ট শ্রেণী, রিমা খাতুন, ৭ম শ্রেণী তৃষ্ণা বেগম ৯ম শ্রেণী, রুপা বেগম ৭ম শ্রেণী, প্রীতি ৯ম শ্রেণীসহ আরো অনেকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ম্যাস হিস্ট্রোরিয়া আক্রান্ত হয়ে শিক্ষকসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা নিলে সকলেই সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অশোক কমুার সাহা জানান, পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ম্যাস হিস্ট্রোরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসলে তাদের দ্রত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নাই চিকিৎসা নিলে সকলে সুস্থ্য হয়ে উঠবে।

জাবিতে দুই সাংবাদিকের নেতৃত্বে র‌্যাগিং

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক জাকির হোসেন জীবন ও এনামুল হক তামীমের নেতৃত্বে একই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, জাকির হোসেন জীবন সময়ের আলো পত্রিকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,ও এনামুল হক তামীম লাস্টনিউজবিডি.কম এর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

এ ঘটনায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে প্রথমবর্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে এই ধরনের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, ‘সোমবার (১৫ এপ্রিল) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের আয়োজনে জেএমএস প্রিমিয়ার লীগ শুরু হয়। এ উপলক্ষে খেলা দেখার জন্য প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে মাঠে যেতে নির্দেশ দেয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবং মাঠে সকলকে খেলা দেখার জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয় কিন্তু প্রথম বর্ষের মাত্র ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী মাঠে উপস্থিত থাকে।

সকলে মাঠে না যাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে রাত ৮টায় তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার উপস্থিত হতে বলে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখাসহ ও হাত পা মুড়িয়ে বসিয়ে রাখে তারা।

এসময় দ্বিতীয় বর্ষের রাইসুল ইসলাম রাজু নামের এক শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর দিকে জুতা নিক্ষেপ করে, তাছাড়াও আরও অনেককে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই ঘটনায় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মাওলানা ভাসানী হলের জাকির হোসেন জীবন ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এনামুল হক তামীম এর নেতৃত্বে শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হারুন উর রশীদ, মওলানা ভাসানী হলের রাইসুল ইসলাম রাজু,তাওসীফ আবদুল্লাহ, মাহবুবুর রহমান,স্টিভ সলগা রেমা, বেগম খালেদা জিয়া হলের সারা বিনতে সালাহ, প্রীতিলতা হলের ফারিয়া বিনতে হক,সায়মা লিমা সহ ১২ জন শিক্ষার্থী র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ভুক্তভোগী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘রাত ১০ টার দিকে এক শিক্ষার্থী ও বিভাগের সভাপতির কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কিন্তু সেখানে আমরা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সেখানে পায়নি, প্রথম বর্ষের ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থীদের কাছে ঘটনা শুনে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছি,এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’‌।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ বলেন, ‘গতকাল রাতে ঘটনা জেনেছি। আমরা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছি, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

স্বপ্ন পূরন বা ইচ্ছে পূরন লটারি বিক্রি বন্ধ করায় নওগাঁর মান্দায় জনমনে স্বস্তি ।

স্বপ্ন পূরন বা ইচ্ছে পূরনের নামে দেশব্যাপী চলছে এক ভয়ংকর প্রতারনা। এর অন্যতম বড় টার্গেট গ্রুপ হলো দিনমজুর, শ্রমিক সহ শ্রমজীবী মানুষ। রঙিন টিভি, মোটর সাইকেল, গাড়ী, ফ্রিজ, ল্যাপটপ সহ নানা রকম পন্যের চটকদার বিজ্ঞাপনে ভরা এসব লটারী টিকিট।

শ্রমজীবী এসব মানুষ দিনশেষে তার সারা দিনের কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে কিনে নেন এসব টিকিট। আর তীর্থের কাকের মতন বসে থাকেন ভাগ্যদেবীর জন্য!

প্রটিটি টিকিট ২০টাকা। কিন্তু ভাগ্যদেবী তো আজকেও মুখ তুলে তাকাল না! আদৌ তাকাবে কিনা হতভাগা ভ্যান চালক রহিম মিয়া কিছুই জানেন না! মান্দাতে গতকাল সোমবার রাজশাহী মোহনপুরের দৈনিক আলোর ভুবন নামে এমনই একটি অনুমোদনহীন লটারী বিক্রি পরিচালক কে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়েছে এবং মান্দা উপজেলায় এসব অবৈধ লটারি বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব প্রতারনার ফাাঁদে পা না দিতে সকল কে অনুরোধ করছেন মান্দা প্রশাসন ।

দিনমজুর আব্দুল সালাম বলেন আমি প্রতিদিন ৪টি করে টিকিট কিনি একটি মটর সাইকেলের আশায়, এ পযন্ত প্রায় ১৫০০ টাকার টিকিট কেটেছি, কিন্তু এখনো কিছুুুু পাই নাই আশায় আছি কিছু পাব ।

মান্দার স্থায়ী বাসিন্দা ইমাদ উদ্দিন বলেন, আমার বাড়িতেও টিকিট কাটা রোগী আছে, তবে লটারি বন্ধে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে চাই ।তিনি আরো বলেন তিনি, নতুন বছর শুরু হোক নতুন কিছু দিয়ে প্রতারণা দিয়ে নয়।

এ ব্যাপারে মান্দা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম হাবিবুল হাসান বলেন মান্দায় লটারি বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে করা হয়েছে এবং মোবাইল কোড চলমান থাকবে ।

যশোরের ঝিকরগাছা ইউপি সদস্যের অনৈতিক কর্মকান্ডে ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাচ্ছেন না গ্রামবাসী

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় গত ৩১/০৩/২০১৯ইং তারিখ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।

ঐ উপজেলার নির্বাস খোলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে চলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনা। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত রেশনিং ব্যস্থায় ১০ টাকা দরের চাল-ডাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঐ ওয়ার্ডের মানুষ। ঘটনার সত্যতা জানতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট এই অভিযোগ করেছেন ঐ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

তারা সাংবাদিকদের বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের মেম্বারের দায়িত্ব পান (বিএনপি-জামায়াত) আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রাথী আইনাল হক। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আইনাল হক ক্ষমতাসীল দল আওয়ামীলীগের ছত্র-ছায়ায় থেকে সে এলাকায় নানা ভাবে বিপরীতমূখী কার্যক্রম হাতে নেয়। প্রকৃত আওয়ামীলীগ সমর্থকদের উপর নানান ভাবে অত্যাচার চালাতে শুর করে। এতে করে সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হতে থাকে। সরকার কর্তৃক প্রদেয় ১০ টাকা দরের চাল বিতরনে ব্যাপক কারচুপী করে।

আওয়ালীগ সমর্থক এমন লোকজনদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত পন্থী ওয়ার্ডবাসীর এক তালিকা করে তাদেরকে রেশন কার্ড প্রদান করে চাল দিতে থাকে আইনাল মেম্বর। আগে থেকে রেশন কার্ড পাওয়া আ,লীগ সমর্থক ওয়ার্ডবাসীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে কার্ড ছিনিয়ে নেয়। ফলে ১নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ আ,লীগ সমর্থকেরা রেশনিং ব্যবস্থায় চাল সহ অন্যান্য সুবিধা থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চিত হয়ে চলেছে। আইনাল মেম্বারের এমন কুকীর্তি নির্বাসখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের কানে পৌছালে চেয়ারমান বিষয়টি ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হন। বিষয়টি সুরাহার জন্য ঝিকরগাছার নির্বাহী কর্মকর্তা চেয়ারম্যান মেম্বারদের ডেকে গরীব এবং দুস্তদের একটি নামের তালিকা তৈরী করেন। তৈরীকৃত তালিকায় চেয়াম্যান নজরুল ইসলাম সহি দিলেও আইনাল মেম্বর সহি দিতে অস্বিকার করে। তালিকা মোতাবেক প্রকৃতদের মাঝে রেশন কার্ড পৌছালে মেম্বর তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে সে বিপরীত পথ খুজতে থাকে। রেশন কার্ড পাওয়া গ্রামবাসীদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে রেশন কার্ড ছিনিয়ে নেয় এবং গ্রামবাসীদের বলে তোমরা যে রেশন কার্ড পেয়েছ তাতে তোমরা চাল পাবা না, এটা অফিস থেকে ঠিক করে আনতে হবে।

এর জন্য আইনাল মেম্বর প্রতিটি রেশন কার্র্ড ধারীদের নিকট ২০০০(দুইহাজার) টাকা খরচ হবে বলে দাবী করে। এতে কার্ড ধারী গ্রামবাসী প্রতিবাদ করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ইউপি সদস্য আইনালের স্মরনা পন্ন হলে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে তিনি সম্পুর্ন না স্বীকার করেন এবং সম্পুর্ন দোষ চেয়ারম্যান নজরুলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। অপরদিকে চেয়ারম্যানের ভাষ্যমতে আইনাল মেম্বর একজন(বিএনপি-জামায়াত) পন্থী সে আওয়ালীগের ছাত্র ছায়ায় থেকে এই কাজ গুলো করছে বলে তিনি দাবী করেন এবং প্রকৃত কার্ড ধারীদের মাঝে চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও আইনাল মেম্বর চাল আত্মসাত করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।

এদিকে এখনও পর্যন্ত ঐ ওয়ার্ডে রেশন কার্ড পাননি কিংবা রেশন কার্ড পেয়েও ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন না এমন ৩০-৪০ জনের নামের তালিকা আমাদের হাতে এসে পৌছায়েছে। তারা হলেন, লুৎফা রহমান-স্বামী আব্দুল করিম,নুর আলী-পিতা আবদুস সোবহান,কিটু হোসেন-পিতা আজিজুর রহমান,আনারুল ইসলাম-পিতা আনছার আলী,আলমগীর হোসেন- পিতা হাজের আলী,জরিনা বেগম-স্বামী জিয়া হোসেন,আছমা খাতুন- স্বামী ইসরাত আলী,মজনু-পিতা বাক্কার,তাইজেল-পিতা আফহার,হাচানুর জামান- পিতা আব্দুল মালেক,আহম্মদ আলী-পিতা জাদের মোড়ল,ফায়সাল ইসলাম-পিতা আফছার আলী,আলাউদ্দিন-পিতা গোলামবারী,আরজিনা খাতুন-স্বামী শরিফুল ইসলাম,জাহাঙ্গীর আলম-পিতা হাজের আলী,রাহাদ বেগম-স্বামী আব্দুল খালেক,রকেয়া বেগম- স্বামী মহাম্মদ আলী,রোকসানা খাতুন-স্বামী আব্দুল আজিজ,বুলবুল খাতুন-স্বামী মহাসীন আলী,জালার উদ্দিন-পিতা এনায়েত আলী,আব্দুল ছাত্তার পিতা-মনি সরদার,এরসাদ গাজী-পিতা হান্নান,তবিবুর রহমান-পিতা ইদু খাঁ,আম্বিয়া খাতুন-স্বামী আব্দুল ছাত্তার,রাবিয়া-স্বামী মোঃ সহিদুল,নাসির-পিতা আবুল হোসেন,আলফাজ হোসেন-পিতা আরজান মুন্সী,ছায়ফাল ইসলাম-পিতা আফছার,কাশেম আলী-পিতা মৃত জোহর আলী গাজী,খাইরুল বিবি-স্বামী শফিকুল এরা সকলেই ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাস খোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রামের সচেতন মহল আশা করেন বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশু পদক্ষেপ গ্রহনের ব্যবস্থা নিবেন।

সর্বশেষ আপডেট...