27 C
Dhaka, BD
সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় আনা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় আনা হচ্ছে।

সৈয়দ আশরাফের মরদেহ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যোগে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা মরদেহ গ্রহণ করবেন।

সন্ধ্যা ৭টায় মরদেহ ২১ বেইলি রোডস্থ তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।

নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়রকে কুপিয়ে আহত

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মতিউর রহমানকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আরো ১৪ জন আহত হন।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার নতুন-বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মণ্ডলের সমর্থক আব্দুল হান্নানের সাথে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মতিউর রহমানের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আদমজী নতুনবাজার এলাকায় এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

শপথ নিলেন নবনির্বাচিত সাংসদরা

শপথ নিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সদস্যরা। বৃহস্পতিবার( ৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রথমে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ শপথ নেয়। এতে নেতৃত্ব দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে একে একে অন্য দলের নির্বাচিতরা শপথ নেয়। তবে উপস্থিত ছিলেন না ঐক্যফ্রন্ট থেকে জয় পাওয়া সাত সদস্যের কেউই।

একাদশ জাতীয় সংসদের শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতে নিজে শপথ নেন বর্তমান স্পিকার ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর- ৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী।

এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগসহ অন্য দল থেকে নির্বাচিতরা শপথ নেন। তাদের শপথ পড়ান স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী। এতে আওয়ামী লীগ দলের নেতৃত্ব দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রায় ২০ মিনিট চলা এই শপথ অনুষ্ঠান শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সচিবালয়ের স্বাক্ষর খাতায় সই করেন। এসময় শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে সকাল ১০টা থেকে একে একে সংসদ ভবনে আসতে থাকেন নির্বাচনে নব- নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ।

শপথ অনুষ্ঠানে আগে নব- নির্বাচিত সাংসদরা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন, এসময় তারা এমপি হিসেবে নিজেদের ভূমিকা জাতীয় সংসদে তুলে ধরার প্রত্যাশার কথা জানান।

গেলো ৩০ ডিসেম্বর দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দিনভর ২৯৯ টি আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও গোলযোগের কারণে স্থগিত থাকে ১টি আসনের ভোট। এই নির্বাচনে ২৮৮ টি আসনে বিজয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট। অন্যদিকে বিএনপি এই নির্বাচনে ৫টি আসন, গণফোরাম ২টি আসন, এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছে ৩টি আসনে। মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ফল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনের ফলাফল আবারও প্রত্যাখ্যান করলেন ঐক্যফ্রন্ট শপথ নেবেন না বললেন মির্জা ফখরুল ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল আবারও প্রত্যাখ্যান করে শপথ না নেয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ধানের শীষ ও উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‌‘আমরা তো নির্বাচনের ফলাফল আগেই প্রত্যাখ্যান করেছি। অন্যদের শপথ নেওয়া হয়ে গেছে। আমরা শপথ নিচ্ছি না।

তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই নির্বাচনে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আজকে আমরা স্মারকলিপি দেবো।

এর আগে বেলা ১১টার পর জাতীয় সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও স্বতন্ত্রভাবে নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিলেও এই এলাকায়ই আসতে দেখা যায়নি ঐক্যফ্রন্টের কাউকে।

তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ,ভুয়া খবর ছড়ালে কঠোর সাজা ।

তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত । শিশু পর্নোগ্রাফি ও ভুয়া খবর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে সাজা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে । প্রস্তাবিত আইনে বিধি লঙ্ঘন করলে অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার কঠোর সাজার ব্যবস্থা রাখা হবে।
বুধবার (২ জানুয়ারি) টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে এ খবর প্রকাশ করা হয়। খবরে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বৈঠকের কয়েক দিন পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রতিনিধিরা অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বেআইনি বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে প্রস্তাবিত আইনের ব্যাপারে তাদের মতামত জানান। এই একটি মূল ক্ষেত্রে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ছিল।

সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, আইন ভঙ্গ করলে বা সহায়তা করতে না চাইলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতার প্রয়োজন রয়েছে। আইনে সংশোধন আনার পর তা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, গুগল, টুইটার ও টেলিগ্রামের মতো জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। ভুয়া খবরের উৎস শনাক্ত করা, এনক্রিপশনের সুযোগ পাওয়া (এনক্রিপশন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কেউ তথ্যে প্রবেশ করতে পারে না), রাজনীতি ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে এমন বিষয়, শিশু হয়রানি ও প্রতিশোধমূলক পর্নো চিত্র ছড়ানোর ব্যাপারে এসব যোগযোগমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের মতবিরোধ ছিল।

আরেক সরকারি কর্মকর্তা জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এখন যেসব শাস্তির বিধান রয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। এটা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক আয় রয়েছে, সেই তুলনায় সাজা অনেক কম। ডেটা সুরক্ষা বিলে সাজা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে।

ভারতের সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ পুনিত ভাসিনের মতে – ভুয়া খবর ঠেকানোর প্রবণতা রোধে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে খুব কমই ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতের এমন কোনো আইন নেই, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ইস্যুতে কাজ করতে বলা যায়। একমাত্র ভারতের দণ্ডবিধি অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ডেটা স্থানীয়করণসহ ভারতের এ–সংক্রান্ত আইনটিকে আরও কঠোর করা উচিত এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য- গত জুলাই মাসে রাজ্য সভায় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক মন্ত্রী রবি শংকর বলেছিলেন, অপরাধ সংঘটন, ঘৃণা ছড়ানো, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দেওয়া এবং অর্থ পাচারে ইন্টারনেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতে আইন করা হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, ভারতে বিদেশি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানকে ভারতের আইন ও বিচার বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপিকে ভোট দেয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ : প্রধান অভিযুক্ত আসামি আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

ধানের শীষে ভোট দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের দুর্গম এলাকায় এক গৃহবধূকে (৩২) ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল তিন জনে।

বুধবার কুমিল্লার বড়ুয়া উপজেলার মহেশপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি মো. সোহলকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার হন মামলার আরও দুই আসামি। তারা হলেন-স্বপন ও বাদশা আলম প্রকাশ বাসু। বাকি ছয় আসামি এখনো পলাতক।

নোয়াখালী ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে কুমিল্লার বড়ুয়া উপজেলার মহেশপুর এলাকার একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত রোববার একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর রাত ১২টার দিকে ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এসময় তার স্বামীকে মারধর ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। গ্রেপ্তার তিন জন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-হানিফ, চৌধুরী, মোশাররফ, সালাহউদ্দিন, আবুল ও বেচু।

ধর্ষিতার স্বামী সিএনজি অটোরিকশাচালক বলেন, গত রোববার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তার বাড়িতে এসে পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে। তিনি দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকে তার হাত-পা-মুখ বেঁধে তার স্ত্রীকে ঘরের বাইরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভোরে তার বাড়ির পাশ থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার দাবি, ধর্ষকরা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী। তার স্ত্রী ধানের শীষে ভোট দিয়েছিল বলে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে ধর্ষণ করেছে।

এদিকে, বুধবার (০২ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের দুর্গম এলাকায় এক গৃহবধূকে (৩২) ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। কেউ রেহাই পাবে না।

জাতীয় পার্টির (জাপা) অবস্থান কী সরকারে না বিরোধী দলে, সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির (জাপা) অবস্থান কী হবে, সে বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সিদ্ধান্ত নেবে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড।

বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের প্রথম বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

সভায় দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফয়সল চিশতী, আবু হোসেন বাবলা, মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন, সালমা ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। গত সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে অবশ্য সভায় দেখা যায়নি।

সংসদে বিরোধী দল হতে গেলে ১০ শতাংশ আসন (৩৮টি) থাকতে হয়, সেখানে জাতীয় পার্টির আছে ২২টি আসন। এ বিষয়ে এবং মন্ত্রিত্বের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে- সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, ‘এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনসংখ্যার দিক দিকে আওয়ামী লীগের পরই আমাদের অবস্থান। আমরা মহাজোটে ছিলাম, এখনও আছি। ভবিষ্যৎ বুঝে দেখা হবে।’

তিনি বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়ে সংসদীয় দলের সভায় অংশ নেবেন। দেশ ও মহাজোটের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে পার্টির সংসদীয় দলের সভায় সিদ্ধান্ত হবে সংসদে জাতীয় পার্টির কী ভূমিকা হবে।

জি এম কাদের আরও বলেন, এরপর আলাপ-আলোচনা হবে মহাজোটের সঙ্গে। কারণ, আমরা মহাজোটে ছিলাম, মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্বাচন করেছি। আমাদের লক্ষ্য এবং কথা ছিল অভিন্ন। তাই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ না নিলে তারা জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করবেন । সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ না নিলে তারা জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এরআগে গতকাল মঙ্গলবার জনগণের রায় মেনে নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী নেতাদের শপথ নেয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ গ্রহণের জন্য ২৯৮ আসনে নির্বাচিতদের গেজেট সংসদ সচিবালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ নাও নিতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আভাস মিলেছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কমিশন সচিবালয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসবে। অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এরমধ্যে কেউ যদি শপথ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ওই আসন শূন্য হবে।

এরশাদের অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দলটি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে দলটির ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সেই নির্দেশনা মেনে চলে তাকে সহযোগিতা করারও নির্দেশনা দেন এরশাদ।

বিজয়ীদের শপথ অনুষ্ঠানের দিন বিএনপি তাদের প্রার্থীদের গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক .

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯ আসনে যারা প্রার্থী ছিলেন, তাদের নিয়ে ইসিতে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেওয়ার পর বিএনপি মহাসচিবের এই নির্দেশনা গেল।

এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাত্র সাতজন বিজয়ী হন, বিপরীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট জেতে ২৮৮ আসনে।

ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের হারানো হয়েছে দাবি করে এই ভোট বাতিলের দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তুললেও সিইসি কে এম নূরুল হুদা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের “নতুন এমপিদের শপথ বৃহস্পতিবার” শপথ অনুষ্ঠানের কথা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মঙ্গলবার জানানোর পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একই দিন ধানের শীষের প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকার কথা জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রার্থীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের ‘অস্বাভাবিক’ ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়েছে।

এই নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী দলের ২৯৮ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এর বাইরে একটি আসনে এলডিপির অলি আহমদ দলীয় প্রতীকে এবং জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। পরে আদালতের আদেশে দেড় ডজনের মতো আসনে বিএনপির প্রার্থীরা বাদ পড়ে।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান কামাল। ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল।

বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলেও ইঙ্গিত মিলেছে দলটির নেতাদের কথায়। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

সোমবার ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকের পর কামাল জানান, পুনঃনির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই তাদের জোটের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেবেন।

সর্বশেষ আপডেট...