29.3 C
Dhaka, BD
সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

সাভারে বর্ণাট্য র‌্যালী ও নানা আয়োজনে মুভি বাংলা টিভির ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

সাভারে বর্ণাট্য র‌্যালী ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে চ্যানেল মুভি বাংলা টেলিভিশনের ৪র্থ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
রবিবার বিকেলে চ্যানেল মুভি বাংলা টেলিভিশনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৫ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরারী বটতলা থেকে একটি বর্ণাট্য র‌্যালী বের করা হয়।
এসময় বর্ণাট্য র‌্যালীটি ভরারী বটতলা থেকে বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিন করে পুনরায় ভরারী বটতলা এসে শেষ হয়।
পরে মুভি বাংলা টিভির ৪র্থ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
এসময় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের যুব লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল কাইয়ুম, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ আসলাম হোসেন।

আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের যুব লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মুভি বাংলা টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন করে এরই মধ্যে সারা দেশে সর্বস্তরের মানুষের কাছে একটি জন প্রিয় চ্যানেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, এবং মুভি বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছে।
মুভি বাংলা টেলিভিশন আরো ভাল বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন করবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করে মুভি বাংলা টিভি চ্যানেল পরিবারের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চ্যানেল মুভি বাংলা টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি মোঃ মহিবুব আলম রানা, দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার সাভার উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ওমর ফারুক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে বাদ আছর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৬ জানুয়ারি) বাদ আছর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে আশরাফের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বনানী কবরস্থানে এসে পৌঁছায়। দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে চিরবিদায় জানাতে উপস্থিত হন বনানী কবরস্থানে।

এর আগে সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সর্বস্তরের নাগরিক, রাজনৈতিক সহকর্মী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক শুভাকাঙ্খীরা অংশ নেন।

নামাজে জানাজা শেষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্রথমে মরহুমের কফিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের পক্ষে দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আরেকবার শ্রদ্ধা জানান।

কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তার একটি তালিকা

নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ আগামীকাল সোমবার (৭ জানুয়ারি)। মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যারা ফোন পেয়েছেন তাদের মধ্যে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তার একটি তালিকা সংবাদমাধ্যমের কাছে এসেছে।

এবারের মন্ত্রিসভার আকার হচ্ছে ৪৬ জন। এর মধ্যে মন্ত্রী ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ৩ জন। রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রী হলেন যারা

আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়) ,ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) মো. আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি মন্ত্রণালয়), আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), মো. হাছান মাহমুদ তথ্য মন্ত্রণালয়, আনিসুল হক (আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), আ হ ম মোস্তফা কামাল (অর্থ মন্ত্রণালয়), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়), ডা. দীপু মনি (শিক্ষা মন্ত্রণালয়), এ কে আব্দুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প মন্ত্রণালয়), গোলাম দস্তগীর (গাজী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য মন্ত্রণালয়), টিপু মুনশী (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়), শ ম রেজাউল করিম (গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়) , মো. শাহাবুদ্দিন (পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়), বীর বাহাদুর উ শে শিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি মন্ত্রণালয়), মো. নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ মন্ত্রণালয়), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়), মোস্তাফা জব্বার (ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়)।

প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন যারা

কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প মন্ত্রণালয়), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়) মুন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়) খালিদ মাহমুদ চৌধুরী  (নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়) শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ) ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়), স্বপন ভট্টাচার্য্য (স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়) জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়), মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়) কে এম খালিদ (সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়) ডা. মো. এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়) মো. মাহবুব আলী  (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়) শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়)

উপমন্ত্রী হলেন যারা

বেগম হাবিবুন নাহার (পরিবশে ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়), একে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়), মহিবুল হাসান চৌধুরী (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)

গণধর্ষণের শিকার নারীকে দেখে কাঁদলেন ফখরুল

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে গিয়েছেন বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদল৷ রাজনীতিতে এ মুহূর্তে আলোচিত চরিত্র হিরো আলমও গিয়েছেন সেখানে৷ এদিকে, জাতিসংঘ নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার তদন্ত দাবি করেছে৷

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেয়ায় এক নারীকে রাতের আঁধারে গণধর্ষণের খবর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে৷ সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতাকেও ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ৷

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম জানাজা শেষে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

রোববার সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘর থেকে তার মরদেহ সংসদ ভবনে নেয়া হয়। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বিশিষ্টজনরা।

সংসদ ভবন থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ তার সংসদীয় এলাকায় (কিশোরগঞ্জ-১ আসনে) নেয়া হবে। সেখানে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জ থেকে আশরাফের মরদেহ নেয়া হবে তার জন্মস্থান ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহে তৃতীয় জানাজার পর বিকেলে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে বাদ আসর তাকে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) মৃত্যুবরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

দলীয় শৃঙ্খলার অভাবেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

দলীয় শৃঙ্খলার অভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৫ জানুয়ারি) নোয়াখালীতে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

এদিকে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুবর্ণচরে ধর্ষিতা গৃহবধূকে দেখতে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিবকে সামনে রেখেও অশান্ত দলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের শান্ত করতে বারবার চেষ্টা করতে দেখা যায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

মির্জা ফখরুলের অনুরোধ করে বলেন, ‘এই তোমরা থামো। প্লিজ তোমরা থামো। এই শুধু স্লোগান দিলেই হবে না।

নোয়াখালীতে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আইনি সহায়তা নিশ্চিতের লক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় ঐক্যফ্রন্টের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রবসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব নিয়ে গেছে। আপনারা কেউ বাঁধা দিতে পারেন নাই। কারণ আমরা সংখ্যায় অনেক, আবেগ অনেক। কিন্তু শৃঙ্খলা নেই। সারা বাংলাদেশে এটাই হয়েছে। কেন পারেনি, কারণ আমরা মরার আগেই মরে যাচ্ছি। কেন মরে যাচ্ছি আমরা? কেন রুখতে পারছি না আমরা। কারণ আমরা শৃঙ্খলা না রেখেই যুদ্ধ করে যাচ্ছি।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেখার জন্য বিকেল থেকে মানুষের ঢল

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বেইলি রোডের বাসায় মানুষের ঢল নেমেছে। এক নজর তার মরদেহ দেখার জন্য বিকেল থেকে মানুষের ঢল নামে। অাওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষও ভিড় জমায় বাসা ও এর অাশপাশে।

সৈয়দ অাশরাফের বাসায় একটি শোক বই রাখা হয়েছে। অনেকে সেই শোক বইয়ে সই করছেন এবং মন্তব্য লেখছেন। ভিড় থামানোর জন্য বার বার মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবের মোড় থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবে গাড়ি রেখে সৈয়দ অাশরাফের বাসায় প্রবেশ করছেন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা। এছাড়া কোরঅান তেলোয়াত করা হচ্ছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা বিমানবন্দরে সৈয়দ আশরাফের কফিন গ্রহণ করেন।

এরপর তার মরদেহ সন্ধ্যা ৭টায় বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাতে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।

ধামরাইয়ে অবৈধ ইটভাটা গ্রাস করছে ফসলি জমি।

ধামরাইয়ের অবৈধ ইটভাটা গ্রাস করছে ফসলি জমি। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় গড়ে উঠেছে প্রায় দুইশত ইটভাটা। নিয়ম অনিয়মে গড়ে উঠা এ সকল ইটভাটার অধিকাংশই মানছে না পরিবেশ আইন এছাড়া সিংহভাগ ইটভাটার নেই বৈধ কাগজপত্র। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ইটভাটার দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি থাকতে পারবে না। কিন্ত সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বে-আইনিভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক ইটভাটা।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কয়েক মাস র্পূবে ২০টি ইটভাটা অবৈধ ঘোষণা করে সব র্কাযক্রম বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ প্রদান করা সত্বেও বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ ইটভাটার র্কাযক্রম কমছেনা অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটা মালিকদের দৌরাত্ম্য। উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছে যে সব ভাটার বিরদ্ধে নোটিশ প্রদান করা হেেয়ছ সেসব ভাটা র্কাযক্রম বন্ধ না রাখলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নোটিশ প্রদান করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অমান্য করে ও প্রশাসন ম্যানেজ করে জনবসতি ও ফসলি জমি এলাকায় গড়ে উঠা ইটভাটার কারণে ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এসকল ইটাভাটায় বছরে প্রায় ৩০ লাখ টন মাটি ব্যাবহৃত হয়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়। ইট তৈরিতে ব্যাবহৃত হয় টপ সয়েল অথ্যাৎ মাটির উপরিভাগ হতে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত মাটির এ অংশটি ফসল উৎপাদনের উপযোগী অথ্যাৎ উর্বর অংশ।
নগদ টাকা পেয়ে জমির মালিকরা ও বিক্রি করে দিচ্ছে মাটি।একারনে মাটির উর্বর অংশ ধবংস হচ্ছে কৃষিজমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। ইট ভাটার আশেপাশের এলাকার গাছের ফলের আকৃতি হচ্ছে উদ্ভট, আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে সব্জির স্বাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এভাবে জমির উর্বরতা কাটতে থাকলে দিনদিন ফসল উৎপাদনের মাত্রা হ্রাস পাবে বলে আশংকা করছেন কৃষিবিদরা।
ইটভাটা থেকে যে দূষিত গ্যাস ও তাপ নির্গিত হয় তা আশেপাশের জীবজন্তুু, গাছ-পালা এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে এবং মানুষের স্বাস্থ্যহানির কারণ ঘটায়। ইট ভাটার জন্য অনেক সময় ফল গাছে কোনো ফলই ধরে না, বা ধরলেও তা অকালে ঝড়ে পড়ে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এক সময় দেশে কৃষি জমির পরিমান হ্রাস পাবে । খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা ব্যাহত হবে। ইট ভাটায় কয়লার ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকলেও বেশী লাভের আশায় কয়লার পরিবর্তে অবধৈভাবে পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। নিধন করা হচ্ছে বৃক্ষ। উজার করা হচ্ছে বনভূমি।এতে বিনিষ্ট হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র ও চিরচেনা প্রকৃতি ও পরিবেশ।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে ইট ভাটায় ফসলি জমরি উপরের মাটি (টপ সয়েল) ব্যবহার করলে প্রথম বারের জন্য দুই বছররে কারাদন্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয় বার ঐএকই অপরাধের জন্য ভাটা র্কতৃপক্ষকে ২ থেকে ১০ বছরে জেল এবং ২ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করলে তিন বছরের কারাদন্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে। এসব আইন সরকারের অফিস আদালতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ দৃশ্যমান হচ্ছে না। ফলে কৃষি, পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ধামরাইয়ের সচেতন নাগরিক সমাজ ও সাধারণ জনগণ।

মোটর মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে দ্বিতীয় দিনেও নওগাঁ জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ

মোটর মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বে দ্বিতীয় দিনেও নওগাঁ জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিকল্প হিসেবে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত গাড়িতে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ আছে।

নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অভিযোগ, নওগাঁ জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক কোনো নিয়মনীতি না মেনে গত তিন মাস যাবৎ ঢাকা থেকে নওগাঁ রুটে ‘ফারুক এন্টারপ্রাইজ’ নামে বাস চালাচ্ছেন।

তিনি মালিক সমিতিতে ভর্তি ও রুট পারমিট না নিয়ে গত ১৫/২০ দিন আবারও নতুন করে ৪/৫টি বাস নামানোতে নিয়মনীতি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং বাস চলাচলে স্বপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।

সমিতির নিয়ম মানতে একাধিকবার চিঠি দেয়া হলেও কোনো সদুত্তর না দিয়ে তিনি জোরপূর্বক বাস চালাচ্ছেন। এ কারণে সকাল থেকে আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, মোটরশ্রমিকের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। মালিকরাই বাস বন্ধ রেখেছেন। আর আমার সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। বিধায় রাস্তায় নামিয়েছি এবং নিয়মিত চলাচল করছে।

নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, ফারুক এন্টারপ্রাইজকে কেন্দ্র করে আমাদের মালিক পক্ষের বাস বন্ধ আছে। তিনি নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে কোনো কিছুর নিয়মকানুন না মেনে অভ্যন্তরীণ রুট থেকে ঢাকায় বাস চলাচল করাচ্ছেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের স্থানীয় বিরোধের জেরে স্থানীয় যে যানবাহন আছে তা চলাচল বন্ধ আছে। আমরা দ্রুত নিরসনের ব্যবস্থ গ্রহণ করছি।

কক্সবাজারের টেকনাফে দুই রোহিঙ্গার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে দুই রোহিঙ্গার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের নিকটবর্তী মিঠাপানির ছড়া এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হওয়া নিহতরা হলেন, টেকনাফের উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের মৃত কাশিমের ছেলে খাইরুল আমিন (৩৫) ও হাজী মুহাম্মাদের ছেলে আব্দুল্লাহ (৪০)।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন মিঠাপানির ছড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ দুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, তারা দুজনই মাদক ব্যবসায়ী ও রোহিঙ্গা অধিবাসী। তারা ক্যাম্পে থাকত এবং মাদক কেনা বেচায় জড়িত ছিল। ইয়াবার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

ওসি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

উল্লেখ, শুক্রবার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া বিচ উপকূল থেকে গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার শিক্ষার্থী জাহেদের বলে শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ আপডেট...